সোমবার, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৫
Led04রাজনীতি

রূপগঞ্জে জামায়াত নেতৃবৃন্দের ওপর বিএনপি’র হামলার অভিযোগ

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: রূপগঞ্জ উপজেলার কাঞ্চন পৌরসভার বিরাব এলাকায় জামায়াতে ইসলামী নেতৃবৃন্দ ও কর্মীদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, নারায়ণগঞ্জ জেলা। তারা অবিলম্বে দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ জেলা আমীর মুহাম্মদ মমিনুল হক সরকার এবং কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ জেলা সেক্রেটারি মুহাম্মদ হাফিজুর রহমান এক যৌথ বিবৃতিতে এই নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ জানান, জামায়াতে ইসলামী একটি দায়িত্বশীল সংগঠন হিসেবে সব সম্প্রদায়ের মানুষের পাশে থাকার কর্মসূচি পালন করে। এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে রূপগঞ্জ উত্তর সাংগঠনিক থানার আমীর মাহফুজুল ইসলাম আবদুল মজিদসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাথে সাক্ষাৎ, মতবিনিময় এবং তারৈল পূজা মণ্ডপের খোঁজ-খবর নিয়ে ফেরার পথে হামলার শিকার হন।

বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়, স্থানীয় বিএনপি কর্মী পরিচয়দানকারী সাখাওয়াত হোসেন সাকা, উজ্জ্বল, জামান, বাবুল, সেলিম, সুজন, রাব্বি, আজিম, মোজাম্মেলের নেতৃত্বে কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল লোক তাঁদের পথরোধ করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে।

একই দিনে তারা জামায়াতে ইসলামীর কর্মীদের ভয়ভীতি দেখানোর উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয় এবং আগামী নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী আনোয়ার হোসাইন মোল্লার অনেকগুলো ফেস্টুন ভাঙচুর করে ও ছিঁড়ে ফেলে দেয় বলেও অভিযোগ করা হয়।

যৌথ বিবৃতিতে জামায়াত নেতৃদ্বয় বলেন, দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রামের পর দেশবাসী মত প্রকাশ ও গণতন্ত্র চর্চার অবাধ পরিবেশ প্রত্যাশা করেছিল। জুলাই আন্দোলনসহ দীর্ঘ সতেরো বছরের ত্যাগ ও শাহাদাতের বিনিময়ে যে মুক্ত বাংলাদেশ অর্জিত হয়েছে, সেখানে এভাবে একটি রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও কর্মী বাহিনীকে পথরোধ করে লাঞ্ছিত করা, মারধর করা এবং অস্ত্রের মহড়া দেওয়া আইন ও গণতন্ত্রের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। তাঁরা এই কর্মকাণ্ডকে আইন, মানবাধিকার ও গণতান্ত্রিক রাজনীতির সম্পূর্ণ বিপরীত বলে উল্লেখ করেন।

নেতৃদ্বয় আরও বলেন, ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে যখন সকলের কাছে গণতান্ত্রিক ও ন্যায্য আচরণ কাম্য, তখন একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দলের কর্মী পরিচয়ে জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীদের সাংগঠনিক কাজে বাধা প্রদান, শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা, ফেস্টুন ভেঙে ফেলা এবং দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়া কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না।

তাঁরা এই ন্যাক্কারজনক ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। একইসাথে, গণতান্ত্রিক রাজনীতির স্বার্থে সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দকে তাদের কর্মীদেরকে এই ধরনের ঘৃণ্য কাজ থেকে বিরত রাখার জন্য আহ্বান জানান।

RSS
Follow by Email