পদ্মা ডিপোর কর্মকর্তার অপসারণ দাবিতে ট্যাংকলরি মালিক-শ্রমিকদের বিক্ষোভ
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: গোদনাইল পদ্মা অয়েল পিএলসি লিঃ ডিপোর সেকেন্ড অফিসার আব্দুর রহিম-এর বিরুদ্ধে ‘অসদাচরণ ও দুর্ব্যবহারের’ অভিযোগ এনে তাঁর তাৎক্ষণিক অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন সাধারণ ট্যাংকলরি মালিক-শ্রমিকরা। রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে গোদনাইল পদ্মা ডিপোর সামনে অনুষ্ঠিত এই মানববন্ধন থেকে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্ত কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে।
বিক্ষুব্ধ মালিক-শ্রমিকরা অভিযোগ করেন যে আব্দুর রহিম এই ডিপোতে যোগদানের পর থেকেই ‘মনগড়া নিয়মে’ সবকিছু চালাচ্ছেন। তাঁদের দাবি, বিএসটিআইয়ের পারমিশন অনুযায়ী তাঁরা তেলের চাহিদা জানাতে পারেন না, বরং ডিপোর সেকেন্ড অফিসারের মর্জিমতো তেল লোড করতে বাধ্য হন।
এতে তাঁদের নানাভাবে হয়রানি ও লাঞ্ছিত হতে হয় বলে অভিযোগ। একজন শ্রমিক বলেন, “তিনি (আব্দুর রহিম) আমাদের অযথাই হয়রানী ও লাঞ্চিত করেন। লোড দিতে দেরি করায় আমাদের প্রায়শই রাত-বিরাতে বিভিন্ন পাম্পে তেল পৌঁছাতে হয়।”
এছাড়াও, লোডের সময় তেলের ঘাটতি (শর্ট) হওয়ার অভিযোগও উঠেছে। মালিক-শ্রমিকরা জানান, এই ঘাটতির কারণে মালিকরা তাঁদের বেতন কেটে নেন, ফলে তাঁরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন। কর্মকর্তারা কোনো বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তাঁদের সাথে অসদাচরণ করা হয় বলেও অভিযোগ করেন তাঁরা। এসব কারণেই মালিক-শ্রমিকরা একযোগে ওই কর্মকর্তার প্রত্যাহার দাবি করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গোদনাইল পদ্মা ডিপোর সেকেন্ড অফিসার আব্দুর রহিম অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “অনেকেই বিগত ৫ থেকে ৭ বছর কিংবা ৩ থেকে ৫ বছর ধরে কেলিব্রেশন (পরিমাপ যাচাই) করেননি। কবে থেকে কেলিব্রেশন করবেন, এ বিষয়ে আমি তাদের কাছ থেকে লিখিত নিয়েছি। হয়তো এজন্যই তারা আমার নামে এসব অভিযোগ তুলছেন।”