ফতুল্লায় কিশোরীকে অপহরণ, ৮ বছর পর আসামি পিবিআই’র জালে
স্টাফ রিপোর্টার, লাইভ নারায়ণগঞ্জ: সাত বছর ধরে চলছিলো নিখুঁত আত্মগোপন। কিন্তু আইনের চোখ এড়ানো যায়নি! ২০১৭ সালে ফতুল্লার এক স্কুলছাত্রী অপহরণ মামলার মূল আসামি মো. আল আমিনকে দীর্ঘ আট বছর পর ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কদমতলী থানা এলাকা থেকে নাটকীয়ভাবে গ্রেপ্তর করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) নারায়ণগঞ্জ জেলা।
প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়েই এই অপহরণের ঘটনা ঘটিয়েছিল আল আমিন। পিবিআই’র তদন্তকারী দল তাকে ধরতে অবশেষে সফল হলো।
পিবিআই সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২০ এপ্রিল ফতুল্লা পাগলা মসজিদ মার্কেট এলাকা থেকে রেহানা আক্তার (ছদ্মনাম) (১৩) নামের এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করা হয়। ভিকটিম মাসদাইরস্থ সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়তো। ১নং আসামি মো. আল আমিন (২৮) স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে তাকে নিয়মিত উত্ত্যক্ত করত এবং কু-প্রস্তাব দিত।
এই বিষয়ে ভিকটিমের বাবা নালিশ করলে আল আমিন উল্টো হুমকি দেয়। এরপরই ১৮ মে ২০১৭ তারিখ সকাল সাড়ে ৯ টায় আল আমিন অন্যান্য সহযোগীদের সহায়তায় পাগলা মসজিদ মার্কেটের সামনে থেকে ভিকটিমকে জোরপূর্বক অপহরণ করে। যদিও ফতুল্লা থানা পুলিশ দ্রুত ভিকটিমকে উদ্ধার করে এবং দু’জন সহযোগীকে গ্রেফতার করে, কিন্তু মামলার মূল হোতা আল আমিন পালিয়ে যায়। দীর্ঘ তদন্ত শেষে পূর্ববর্তী কর্মকর্তা চূড়ান্ত রিপোর্ট সত্য দাখিল করলে বাদী নারাজির আবেদন করেন এবং আদালত পিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব দেন।
পিবিআই নারায়ণগঞ্জ জেলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মোঃ আব্দুল বাতেন মিয়া তথ্য-প্রযুক্তির বিশ্লেষণ এবং গোপন তদন্তের মাধ্যমে দীর্ঘ আট বছর পর গত ২৫ সেপ্টেম্বর বিকেলে আল আমিনের অবস্থান শনাক্ত করেন। ডিএমপি ঢাকার কদমতলী থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আল আমিন স্বীকার করেছে যে, ভিকটিম প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে সে তাকে অপহরণ করেছিল।
গ্রেফতারকৃত আল আমিনকে শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। মামলার মূল রহস্য উদ্ঘাটন এবং পলাতক অন্যান্য আসামিদের ধরতে বিজ্ঞ আদালত তার ৩ (দিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।