পোশাক শিল্পে এখন বাংলাদেশের পরিবেশ বিশ্বের সেরা: মোহাম্মদ হাতেম
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প এখন বিশ্বজুড়ে এক নতুন পরিচয়ে নিজেদের তুলে ধরছে। কারখানার কর্মপরিবেশ এবং শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় যে রূপান্তর ঘটেছে, তা এখন যেকোনো দেশের জন্য অনুকরণীয়। এমনটাই মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ) এবং এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইএবি)-এর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম। তিনি বলেন, তাজরীন ফ্যাশনস ও রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির পর থেকে পোশাক শিল্পে যে ইমেজ সংকট তৈরি হয়েছিল, তা কাটিয়ে এখন বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশ এক অনন্য মডেল হিসেবে দাঁড়িয়েছে।
রাজধানীতে শ্রমিক, মালিক এবং সরকার পক্ষের যৌথ মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মোহাম্মদ হাতেম তার বক্তব্যে শ্রমিক অধিকারের ওপর বিশেষভাবে জোর দেন। তিনি বলেন, “শ্রমিকের যে কোনো ন্যায্য অধিকার বা দাবি নিয়ে রাজপথে নামার দরকার নাই। আইনসম্মত বা তার বাইরেও যদি কোনো দাবি ন্যায্য থাকে, আমরা তা মেনে নিব।”
তিনি আরও বলেন, গত এক বছরে নারায়ণগঞ্জের কিছু কারখানায় যে অস্থিরতা দেখা গেছে, তার কারণ ছিল অযৌক্তিক দাবি। “কেউ প্রমাণ করতে পারবে না যে আইনসংগত বা কোনো ন্যায্য দাবি নিয়ে তারা রাস্তায় নেমেছিলো। কাজ বন্ধ রাখা, অন্য শ্রমিকদের কাজে বাধা দেওয়া, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনা ঘটেছে অন্যায্য দাবি নিয়ে।”
তিনি জানান, এসব সমস্যা সমাধানে জেলা প্রশাসক, শিল্প পুলিশ এবং জেলা পুলিশের সহায়তায় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কোথাও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, আবার কোথাও সমঝোতার মাধ্যমে সমাধান করা হয়েছে।
মোহাম্মদ হাতেম আরও বলেন, কিছু ব্যতিক্রম বাদে পোশাক শিল্পে যতগুলো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে, তা সমাধানে প্রায়শই সরকার অর্থ ব্যয় করে থাকে। অনেক কারখানার মালিক ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের কাছে অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছেন, কারণ তারা শ্রমিকদের অন্যায্য দাবির কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন।
তিনি দায়িত্বশীল শ্রমিক নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “শ্রমিকের অন্যায্য এবং অন্যায় দাবি থেকে বিরত থাকার জন্য আপনারা শ্রমিকদের বোঝাবেন।”
তার মতে, মালিক, শ্রমিক এবং সরকার – এই তিন পক্ষের মধ্যে ২০ বছর আগে এমন কোনো সমন্বয় ছিল না। এখনকার এই ইতিবাচক ধারা ভবিষ্যতে আরও শক্তিশালী হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।