যুক্তরাষ্ট্রের ২০% শুল্ক স্বস্তিদায়ক, বাণিজ্য উপদেষ্টা ও তাঁর টিমকে মোহাম্মদ হাতেমের অভিনন্দন
# মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পণ্যে শুল্ক হ্রাস, রপ্তানি বাড়ার সুযোগ দেখছেন বিকেএমইএ সভাপতি
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যে শুল্ক ২০% নির্ধারণ করা হয়েছে, যা দেশের রপ্তানিকারকদের জন্য স্বস্তিদায়ক খবর। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে রপ্তানি আরও বাড়বে বলে মনে করছেন বাংলাদেশ নীটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ) এবং এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইএবি) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম।
শনিবার (২ আগস্ট) এক বার্তায় তিনি এ কথা বলেন। হাতেম বলেন, “আমরা ওয়াশিংটন থেকে একটা স্বস্তির খবর পেয়েছি। আমাদের বাণিজ্য উপদেষ্টার নেতৃত্বে যে টিমটি নিরলসভাবে কাজ করেছে, তাদের ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানাব। তাদের প্রচেষ্টার ফল হিসেবে বাংলাদেশের জন্য শুল্ক ২০ শতাংশ। এটা বাংলাদেশের জন্য, বিশেষ করে রপ্তানিকারকদের জন্য খুবই স্বস্তিদায়ক।”
তিনি রপ্তানিকারকদের প্রতি বিশেষ অনুরোধ জানিয়ে বলেন, “গত তিন মাসে ১০% শুল্কের মধ্যে ৫% আমাদের উপর বায়াররা চাপিয়ে দিয়েছিল। এবার আপনারা কোনোভাবেই বায়ারদের এই চাপ আমলে নেবেন না। নিগোসিয়েশনে একটু কঠিন হতে হবে।”
মোহাম্মদ হাতেম আরও বলেন, এই নতুন সিদ্ধান্তের ফলে বাংলাদেশে রপ্তানির আদেশ বাড়বে। “ইনশাআল্লাহ, সেই সুযোগ তৈরি হয়েছে। চীনের রপ্তানি আরও কমবে, ফলে মার্কিন ক্রেতাদের সেই ঘাটতি পূরণ হবে বাংলাদেশ এবং ভারতের মতো দেশগুলোর মাধ্যমে। সহসা অন্য কোন বিকল্প খুঁজে পাবেনা।”
তিনি আশা প্রকাশ করেন, আগামী মৌসুম থেকে বাংলাদেশের রপ্তানি আরও বাড়বে। “এই ২০% শুল্কের পাশাপাশি আমাদের আগের যে ট্যারিফ, অর্থাৎ কটন আইটেমে ১৫.৫% এবং নন-কটন ও ম্যান মেইড ফাইবারের ওপর ৩২% শুল্ক বহাল থাকবে।”
হাতেম জানান, বাণিজ্য উপদেষ্টার সঙ্গে আজ সকালেও তার কথা হয়েছে এবং তিনি তাকে বলেছেন, যদি পরবর্তী আলোচনায় মার্কিন কটন বা কাঁচামাল দ্বারা তৈরী পণ্যে সে দেশে রপ্তানির ক্ষেত্রে ডিউটি-ফ্রি অ্যাকসেস পাওয়া যায়, তাহলে দেশের রপ্তানি বহুগুণ বেড়ে যাবে। বিশেষ করে নিটওয়্যারের ক্ষেত্রে এটি একটি বিশাল সুযোগ তৈরি করবে।
তিনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের কটন রপ্তানিকারকরাও আমাদের সঙ্গে একমত এবং তারাও তাদের সরকারের কাছে চেষ্টা করছে যাতে তাদের কাঁচামাল থেকে তৈরী পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে ডিউটি-ফ্রি অ্যাকসেস দেওয়া হয়। যদি আমরা এই আলোচনায় সফল হতে পারি, তাহলে আবারও আমাদের জন্য একটি বড় সুযোগ তৈরি হবে।”