বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সব কমিটি স্থগিত ঘোষণা
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটি ব্যতীত সারা দেশের সকল কমিটির কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। রবিবার (২৭ জুলাই) বিকালে রাজধানীর শাহবাগ জাদুঘরের সামনে, সাবেক সমন্বয়ক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রিফাত রশিদ এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন। এই পদক্ষেপ এমন এক সময় এল যখন আন্দোলনের সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদসহ চারজনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে।
সংবাদ সম্মেলনে রিফাত রশিদ বলেন, “অর্গানোগ্রামের (সাংগঠনিক কাঠামো) সিদ্ধান্তে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটি ব্যতীত সারা দেশের সকল কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করা হলো।” তিনি আরও বলেন, “বৈষম্যবিরোধী ব্যানারকে কলুষিত করার জন্য পরাজিত শক্তিরা নানাভাবে এ প্লাটফর্ম ব্যবহার করছে।” যারা অনৈতিক কাজ করবে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিও আহ্বান জানান তিনি।
সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদ-এর গুলশানের বাসায় গিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠার পরই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই কমিটি স্থগিতের ঘোষণা এল। এই ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া রিয়াদসহ চারজনকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেছে পুলিশ। রোববার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও গুলশান থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোখলেছুর রহমান এই আবেদন করেন। এ বিষয়ে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শুনানি হবে। রিমান্ড চাওয়া অন্য অভিযুক্তরা হলেন সাকাদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব এবং মো. ইব্রাহিম হোসেন।
এর আগে রোববার সিদ্দিক আবু জাফর বাদী হয়ে গুলশান থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এতে তিনি রিয়াদসহ মোট ছয়জনকে আসামি করেন। রিয়াদ ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন কাজী গৌরব অপু, সাকাদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব, মো. ইব্রাহিম হোসেন এবং আইনের সংঘাতে জড়িত শিশু মো. আমিনুল ইসলাম।