মঙ্গলবার, জুলাই ১৫, ২০২৫
Led03রাজনীতি

তারেক রহমানের নেতৃত্ব ও জনপ্রিয়তাকে মোকাবেলা করতে না পেরে কতিপয় দল ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে: গিয়াসউদ্দিন

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, জেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন বলেন, দীর্ঘ আন্দোলনের পর এ জাতি ঐক্যবদ্ধভাবে ফ্যাসিস্ট সরকারের হাত থেকে মুক্ত হলেও, এখনো দেশটি দেশি-বিদেশি নানা ষড়যন্ত্রের মাঝে ডুবে আছে। বর্তমানে দেশে নতুন করে একটি ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে কতিপয় দল। আর সেই ষড়যন্ত্রটি হলো, জাতীয়তাবাদী শক্তির গতিশীল নেতৃত্ব আমাদের নেতা জনাব তারেক রহমানের বিরুদ্ধে। বাংলার কোটি মানুষের নেতা জনাব তারেক রহমানের গতিশীল নেতৃত্ব ও তার জনপ্রিয়তাকে মোকাবেলা করতে না পেরে, ভয় পেয়ে কতিপয় দল ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে।

সোমবার (১৪ জুলাই) সন্ত্রাস ও চাদাবাঁজদের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইল এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন সাবেক এমপি গিয়াসউদ্দিন।

তিনি আরও বলেন, তারা নানা রকমের মিথ্যা কুৎসার পাশাপাশি গভীর নোংরামিতে মেতে উঠেছে তারা। বাংলা জনগণকে এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সজাগ থাকতে হবে, এদের বিরুদ্ধে দাঁতভাঙ্গা জবাব দিতে হবে। নারায়ণগঞ্জের সকল নেতাকর্মীদের আহ্বান জানাবো, আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধ হই। ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই সকল ষড়যন্ত্রের দাঁতভাঙ্গা জবাব দেব। আমরা তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করবো এবং চাঁদাবাজ সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবো। যেদিন আমাদের নেতা তারেক রহমান দেশে আসবেন, ঢাকার রাজপথে এক ফোটা জায়গা ফাঁকা থাকবে না। সারা বাংলাদেশের মানুষ তাকে স্বাগত জানানোর জন্য আসবে। তিনি দেশে ফিরে আসলে ইতিহাস রচনা হবে।

সাবেক এই এমপি আরও বলেন, আজ থেকে আমার এলাকা তথা নারায়ণগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জকে চাদাঁবাজ-সন্ত্রাস মুক্ত ঘোষনা করলাম। এখন থেকে কেউ চাদাঁবাজি সন্ত্রাসী করতে পারবে না এবং কেউ চাদাঁ দিতে পারবে না। এখানে চাদাঁবাজি সহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ড শুরু করে গেছে। আওয়ামী দোসর ও সাত খুনের ফাসির আসামী নুর হোসেন পরিবার এখনো সে জেল খানায় বসে টেলিফোনের মাধ্যমে বিভিন্ন অরাজকতা করছে। জেল কর্তৃপক্ষে সর্তক করে বলতে চাই, জেল খানায় বসে যদি নুর হোসেন কোন অরাজকতা পরিস্থিতি সৃষ্টি করে এর দায়ভার আপনাদের নিতে হবে। কেউ যদি চাদাঁবাজি করতে আসে তার হাত-পা ভেঙ্গে দিবেন। ব্যবসায়ি ভাইরা কেউকে কাউকে চাদাঁ দিবেন না, যদি কেউ চাদাঁ দাবি করে তাদের শক্ত হাতে প্রতিরোধ করবেন। আর যদি আপনারা না পারেন তাহলে সরাসরি আমাকে জানাবেন আমরা এদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিবো।

তিনি আরও বলেন, নারায়ণঞ্জে একজন গডফাদার ছিল শামীম ওসমান, তার লালিত সন্ত্রাসী ছিলো এই সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইলের সাত খুনের ফাসিঁর প্রধান আসামি। সে অত্র এলাকায় নগ্ন নিত্য, জুয়া, মদ নেশা বিক্রি করে স্বর্গরাজ্য কায়েম করেছিল। সেদিন যারা আওয়ামী লীগের নেতা ও শামীম ওসমানের দোসর ছিলো, আজ তারা নামাজ পড়ে, রোজা রাখে। কিন্তু এসময় তারাও নগ্ন নৃত্য দেখার জন্য এবং ভাগ বাটোয়ারা নেওয়ার জন্য বসে ছিল। এগুলোর প্রমান আছে আমাদের কাছে। সাত খুনের যে প্রধান আসামির ভাই এবং তার ভাতিজা এখানে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছিল। কিভাবে নির্বাচিত হয়েছিল তা আপনারা জানেন। নির্বাচিত হয়ে কিভাবে লুটপাট করেছে, কিভাবে এলাকা অন্যায় অত্যাচার করেছে, মানুষের জায়গা জমি দখল করেছে, চাঁদাবাজি করেছে, এগুলো সব আপনারা জানেন। আজকে তারা পলাতক। পলাতক কোথায় তাও আমরা জানি। তারা পলাতক থেকে ও সাত খুনের আসামি জেলখানা থেকে ফোনের মাধ্যমে সন্ত্রাসীদের সাথে যোগাযোগ করে চাঁদাবাজি ও মাস্তানি করছে। তারা জণগনের টাকা হাতিয়ে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। এগুলো তরে তারা বিএনপিকে দোষারোপ করছে।

সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি মাজেদুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন, সহ সভাপতি ও নাসিক সাবেক কাউন্সিলর গোলাম মুহাম্মদ সাদরিল, মহানগর শ্রমিকদলের আহবায়ক এস এম আসলাম, থানার সহ সভাপতি রওশন আলী, যুবদলের সাবেক আহবায়ক মমতাজ উদ্দিন মন্তু, মহানগর যুবদলের সিনিয়র নেতা শাহজালাল কালুসহ প্রমুখ।

RSS
Follow by Email