শুক্রবার, জুলাই ৪, ২০২৫
Led02রাজনীতি

পৃথিবীতে পুলিশ, সাংবাদিক ও মসজিদের ইমাম পালানোর ইতিহাস নেই: গিয়াসউদ্দিন

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, জেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক এমপি, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন বলেন, শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর বর্তমান সরকারের কাছে একটি সুষ্ঠু সুন্দর নির্বাচনের দাবি জনগণের। শেখ হাসিনার সরকার এই দেশের সম্পদকে লুণ্ঠন করেছে। অন্তবর্তী কালীন সরকারের প্রথম কাজ এই আসামিদের বিচার করা। স্বৈরাচার প্রান ভয় দেশ থেকে পালিয়ে গেছে। নির্বাচনে কখনো হয়তো একটা দল হারে, অন্যএকটা দল জিতে। কিন্তু আমরা কখনো দেখিনি একটি দলকে পালিয়ে যেতে। ভীতু, কাপুরুষ, চোর, ডাকাত, বদমাশরা পালিয়ে যায়। শেখ হাসিনা ও তার দোসররা এমনকি গ্রামের পান্ডারাও পালিয়ে গেছে। পুলিশ প্রশাসন থেকে শুরু করে সিভিল অফিসের লোক, সাংবাদিক, শিক্ষক ও দলের নেতাকরণের সময় এমনকি মসজিদের ইমামও পালিয়ে গেছে। পৃথিবীতে এমন পালানোর ইতিহাস আর কোথাও নেই। এরা বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার পরও নির্লজ্জের মত এখনো বাংলাদেশ নিয়ে কথা বলে।

বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) ফতুল্লার পঞ্চবটির মোড় আব্দুল গফুর সুপার মার্কেট সংলগ্ন বিএনপির সদস্য সংগ্রহ ও সদস্যতা নবায়ন কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। এসময় সভা প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন সাবেক এমপি গিয়াসউদ্দিন।

তিনি আরও বলেন, যারা পালিয়ে গেছে তারা ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে আমাদের হামলা, মামলা, রিমান্ডে থানায় নির্যাতন করেছে। এখন তো কোন বিরোধী দল ক্ষমতায় নেই। এখন একটি নিরপেক্ষ সরকার ক্ষমতায় আছে। যে রকম নির্যাতন তারা করেছিল সেরকম নির্যাতন তা এখন সরকার করছে না। তাহলে তারা কেন পালিয়ে গেছে। যারা বংশসহ পরিবার নিয়ে পালিয়ে গেছে তাদের কি এখনো লজ্জা হয় না? তাদেরকে এখন লজ্জা হয় না বাংলাদেশের আইন শৃঙ্খলা বিষয়ে কথা বলতে? আর যারা তাদের নেতাকর্মী ছিলেন তাদের বলি, আপনাদের কি এখনো বোধশক্তি নেই। আপনার কি বোঝেন না তারা আর ফিরে আসবেনা। তাহলে এখনো কেন নিজের জীবন বিপন্ন করে, পরিবারকে ধ্বংস করে তাদের কথা শুনছেন।

গিয়াসউদ্দিন বলেন, আমাদের তারেক রহমান নির্দেশ দিয়েছেন বৃহত্তম দল বিএনপির নতুন সদস্য গ্রহণ ও সদস্যতা নবায়ন করার জন্য। এই সুযোগে দেশের লাখো লাখো ছাত্র জনতা যারা রাজনীতি করার জন্য এবং ভোট দেওয়ার জন্য যোগ্য হয়েছে তারা বিএনপি দিকে এগিয়ে আসছে। তারা বিএনপিতে আসছে কারণ বিএনপি একটি বৃহত্তর দল। এখানে সদস্য হলে আপনার বন্ধু ও শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে কোটি কোটি মানুষ থাকবে। এখানে সব মানুষের জন্য কাজ করার সারা বাংলাদেশব্যাপী সুযোগ থাকবে। বিএনপির জনপ্রিয়তা সবার উপরে। শেখ হাসিনা চেয়েছে আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়াকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিতে। তার মৃত্যু হয় না কেন এই ধরনের কথা ও শেখ হাসিনা বলেছেন। এক হাসিনা যখনই বক্তব্য দিত তার পুত্রতুল্য তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অনেক অসভ্য ভাষা প্রয়োগ করছে। অথচ আমাদের নেত্রী আজ সারা বাংলাদেশে সবার কাছে সব থেকে বেশি জনপ্রিয়। বাংলাদেশের জনগণ আমাদের নেত্রী নেতৃত্ব প্রত্যাশা করে। আজ তাদের সন্তানরা কোথায়? যতদিন বেঁচে থাকবে খালেদা জিয়া দেশ জনগণের কল্যাণে কাজ করবে। তিনি এখনো ভাষণ দিলে জাতির উদ্দেশ্যে দেন কোন ব্যক্তি বা দলের বিরুদ্ধে দেন না। অথচ শেখ হাসিনা তার বাবাকে বাবার থেকেও বড় ইতিহাস গড়ার জন্য অনেক কিছু করেছে। সে তার বাবার নামে মুজিব শতবর্ষের দেশে পালন করেছে। জনগণের কোটি কোটি টাকা নষ্ট করেছে।

এনায়েত নগর ইউনিয়ন বিএনপি’র আয়োজিত এ সভায় সংগঠনের সভাপতি শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন, প্রধান বক্তা সিনিয়র সহ-সভাপতি ফতুল্লা থানা বিএনপির সুলতান মাহমুদ, বিশেষ বক্তা ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক খন্দকার মনিরুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতির মাজেদুল ইসলাম, ফতুল্লা থানা বিএনপির সহ-সভাপতি আলাউদ্দিন খন্দকার শিপন, লোকমান হোসেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সহ-সভাপতি জিএম সাদরিল, কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি বিল্লাল হোসেন, ফতুল্লা থানা বিএনপির সহ-সভাপতি একেএম হেলাল উদ্দিন, যুগ্ম সম্পাদক এডভোকেট খন্দকার আক্তার হোসেন, ফতুল্লা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাসান মাহমুদ পলাশ, কাশিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মইনুল হোসেন রতন, সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান আলী, আলমগীর হোসেন, জামিল হোসেন খান স্বাধীন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, শওকত আলী খান জুম্মন, ফতুল্লা থানা যুবদলের আহবায়ক মাসুদুর রহমান মাসুদ, ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব রাসেল মাহমুদ, ফতুল্লা থানা বিএনপি’র কৃষি বিষয়ক সম্পাদক আমির হোসেন। সঞ্চালনায় ছিলেন, ফতুল্লা থানা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান সুমন।

RSS
Follow by Email