বিএনপির উচ্চ পর্যায়ের নেতাদেরকে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে: এড. টিপু
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খাঁন টিপু বলেন, শেখ হাসিনা পাশের দেশে পালিয়ে গিয়েও এখনো শান্ত হয়নি, এই বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারকে কিভাবে নামানো যায় সেই ষড়যন্ত্র এখনো করছে। শেখ হাসিনা ওই যুবলীগ নেতা নানককে দিয়ে চট্টগ্রাম থেকে অনেক অস্ত্র কিনিয়ে নিয়েছে। এগুলো দিয়ে বিএনপির উচ্চ পর্যায়ের বিভিন্ন নেতাদেরকে হত্যা করে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি করা ষড়যন্ত্র করছে। আমি সকল উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাকে বলব আপনারা সজাগ থাকবেন। যে কোনো সময় তারা অরাজগতা সৃষ্টি করতে পারে।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সকালে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা হাসপাতালে জুলাইয়ের আন্দোলনের স্মরণে বিএনপির রক্তদান কর্মসূচি পালন করা হয়। ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের আয়োজেন এ কর্মসূচিতে উপস্থিত থেকে এ কথা বলেন তিনি
এসময় এড. টিপু আরও বলেন, মানুষের পাঁচটি মৌলিক অধিকার রয়েছে যেমন খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা। এগুলোর মধ্যে জিয়াউর রহমান চিকিৎসা ক্ষেত্রে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। তাই তিনি খানপুর হসপিটালের মতো ৩০০ শয্যা হাসপাতাল নির্মাণ করেছেন। খুনি হাসিনা ও শেখ মুজিবুর রহমানের ইতিহাস বলে শেষ করা যাবে না। যেভাবে বাবা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে সেভাবে মেয়েও গনতন্ত্রকে হত্যা করেছে। যেমন ভাবে বাবা বাকস্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছিল ঠিক একইভাবে তার মেয়েও বাক স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে। যেভাবে ৭২ এর শেখ মুজিবুর জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছিল ঠিক একইভাবে গত ১৬ বছর শেখ হাসিনা জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে। আমাদের মধ্যে কেউ ১৬টি বছর রাতে বাড়িতে ঘুমাতে পারিনি। আমি অসুস্থ বাবার কবরের ও স্ত্রী সন্তানদের খবর নিতে পারিনি। আপনারা জানেন যখন কোটা আন্দোলনের ৬ জন নেতাকে ডিবির কুখ্যাত হারুন ধরে নিয়ে গিয়েছিল এবং আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। তখন সারাদেশে কোটা আন্দোলন থমকে গিয়েছিল। কিন্তু আমাদের তারেক রহমান তখন সারাদেশের জনগণের সাথে এই নেতাদের বিভিন্ন উৎসাহ-উদ্দীপনা দিয়ে সহযোগিতা করেছে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব এড. আব্দুস সালাম, জেলা বিএনপির আহবায়ক মামুন মাহমুদ, যুগ্ম আহবায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজীব, মহানগর বিএনপির আহবায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান প্রমুখ।