নির্বাচন হলে যারা ভোট পাবে না তারা বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে: এড. সাখাওয়াত
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, এখন জনগণের দাবি হলো দীর্ঘ ১৬ বছর তাদের ভোটাধিকার থেকে বিরত রাখা হয়েছে, এখন তারা একটি সুষ্ঠু নির্বাচন মাধ্যমে সরকার গঠন করতে চায়। কিন্তু এখন আমরা দেখতে পাচ্ছি, সরকারের মধ্যে থাকা কিছু কিছু ব্যক্তি এবং নির্বাচন হলে যারা কোন ভোট পাবে না তারা বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। বিভিন্ন ষড়যন্ত্র এবং তথ্য সন্ত্রাস করে বিএনপিকে বদনামের চেষ্টা করার চেষ্টা করছে। তবে বাংলাদেশের মানুষ এই সকল ষড়যন্ত্রকার নস্যাৎ করে দিয়ে, জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করবে।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সকালে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা হাসপাতালে জুলাইয়ের আন্দোলনের স্মরণে বিএনপির রক্তদান কর্মসূচি পালন করা হয়। ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের আয়োজেন এ কর্মসূচিতে উপস্থিত থেকে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি’র পক্ষ থেকে এই জুলাই আগস্ট এর আন্দোলনকে শ্রদ্ধা রেখে ৩৬ দিনের একটি কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। জুলাই বিপ্লব একদিনে হয়নি। অনেক গুম, খুন, হত্যা, নির্যাতন, মামলা ও হামলার পর দেশের জনগণ একত্রিত হয়ে জুলাই বিপ্লব সংগঠিত করেছে। এ আন্দোলনে ছাত্র-জনতা যেভাবে ভূমিকা পালন করেছে ঠিক একইভাবে বিরোধী দল হিসেবে বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা সমভূমিকা পালন করেছে। এই জুলাই আন্দোলনের তুলনামূলকভাবে বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের ত্যাগ সবথেকে বেশি। সে সময় আমাদের ৪২২ জন নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে এবং হাজার হাজারজনকে পঙ্গুত্ববরণ করতে হয়েছে। ১৩ জুলাই যখন থেকে আন্দোলন ডানা মিলতে শুরু করে, তখন নারায়ণগঞ্জের সন্ত্রাসী শামীম ওসমানের সেলিম ওসমানের নেতৃত্বে বিএনপিকে দমন করার জন্য পুলিশ গণআটক চালায়। সে সময় সেই আটকের ৯৫ ভাগ ছিল বিএনপি নেতাকর্মী। সেই থেকে ৫ই আগস্ট পর্যন্ত ৫২ টি মামলা দাড় করানো হয়েছে। সে ৫২টি মামলার মধ্যে চল্লিশটির মধ্যেই আসামি আমি, মামুন মাহমুদ, টিপু ও রাজিবসগ আরও বিএনপির নেতাকর্মীরা আছেন।
এড. সাখাওয়াত আরও বলেন, অনেকেই জুলাই বিপ্লবের নিজের নামে করতে চায়। যদি এই জুলাইয়ের আন্দোলনে সাফলতা অর্জন না করতো তাহলে সেই বায়ান্ন মামলায় আমাদের বিএনপি নেতাকর্মীদের কি অবস্থা হতো সেটা সবার জানা। সে সময় নারায়ণগঞ্জে ৫৫টি খুন হয়েছে, এগুলোর মধ্যে বিএনপির ছাত্রদল যুবদলের নেতাকর্মী বেশি। আর যদি জুলাই আগস্ট সফল না হতো তাহলে সেই পঞ্চান্নটি খুনের মামলায় আমাদের আসামি করা হতো। এ মামলাগুলোতে জেল থেকে আর জীবনেও বের হতে পারতাম কিনা সন্দেহ রয়েছে। আমরা বলছিনা বিএনপির একার অর্জন জুলাই আগস্ট। তবে এ আন্দোলনে ওই আমলের সরকার ব্যতীত সকল রাজনীতিক দল এবং সকল স্তরের জনগণের অংশ ছিল। সকলের ঐক্যবদ্ধ অংশগ্রহণের মাধ্যমে ভারতের বিভিন্ন ষড়যন্ত্রকে নস্যাৎ করে স্বৈরাচারী সরকারের পতন হয়েছে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব এড. আব্দুস সালাম, জেলা বিএনপির আহবায়ক মামুন মাহমুদ, যুগ্ম আহবায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজীব, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু প্রমুখ।