শুক্রবার, জুন ২০, ২০২৫
Led02জেলাজুড়ে

আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি: এডি. এসপি তাসমিন

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জকে এখন ‘ডাম্পিং এরিয়া’ বা অপরাধীদের মরদেহ ফেলার স্থানে পরিণত করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তাসমিন আক্তার। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন। বিভিন্ন হাইওয়েতে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে অপরাধীরা নারায়ণগঞ্জে লাশ ফেলে যাচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

তাসমিন আক্তার জানান, সম্প্রতি পাওয়া দুটি অজ্ঞাত মরদেহ শনাক্ত করতে পুলিশ কাজ করছে। তিনি বলেন, “আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। আপনাদের সহযোগিতা আমাদের কাম্য।”

তিনি আরও জানান, গত কয়েকদিনে যে কয়েকটি অজ্ঞাত লাশ পাওয়া গেছে, সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। “গতকাল ফতুল্লায় যে অজ্ঞাত লাশ পাওয়া গেছে, সে ঘটনায় আসামি গ্রেপ্তার করা হয়েছে,” উল্লেখ করে তিনি বলেন, “সেখানে ছেলে মাদকাসক্ত ছিল, তার বাবা ও মা অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। সোনারগাঁয়ে এক মাদক ব্যবসায়ী আরেক মাদক ব্যবসায়ীকে মেরে ফেলে রেখেছে। যিনি মেরেছেন তিনি রূপগঞ্জের।”

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, আড়াইহাজারে পুলিশের সাতটি টহল দল রয়েছে। কিন্তু যে এলাকাগুলোতে ডাকাতি হয়, সেগুলো তিন-চার কিলোমিটার ভেতরে অবস্থিত এবং সেখানে পায়ে হেঁটে যেতে হয়। “পুলিশ তো গাড়ি নিয়ে সেখানে যেতে পারে না,” তিনি জানান। গত মাসে আড়াইহাজারে যে ডাকাতি হয়েছে, সে ঘটনায় ইতিমধ্যে তিনজন গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আড়াইহাজারে দুটি ইউনিয়ন রয়েছে যেখানে প্রায় প্রতিটি ঘরে ডাকাত দলের সদস্য আছে। “বংশানুক্রমে তারা ডাকাত এবং এই পরিচয়ে তারা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। এরা বেশিরভাগই জামিন পেয়ে আসে আবার চলে যাচ্ছে। আমরা ডাকাতদের গ্রেপ্তার করি, তারা আবার জামিনে চলে আসে।” তিনি উল্লেখ করেন, তিনটি জেলা থেকে অপরাধীরা পরস্পর যোগসাজশে এখানে ডাকাতি করে আবার চলে যায়।

তাসমিন আক্তার জানান, সাম্প্রতিক সময়ে নারায়ণগঞ্জে চুরি ও ছিনতাই বেড়েছে। তিনি বলেন, “আমরা চেষ্টা করছি, দিনে ও রাতে আমাদের ৬৮টি টহল চলছে। আমাদের এটা নিয়ন্ত্রণ করতে কষ্ট হচ্ছে কারণ বেশিরভাগ মানুষই ভাসমান। তারা ছিনতাই করে আবার চলে যাচ্ছে।” গত মাস ও তার আগের মাসে যত চুরি হয়েছে, সেগুলোর আসামি ধরা হয়েছে বলেও তিনি জানান। তবে ভাসমান অপরাধীদের কারণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হচ্ছে।

রূপগঞ্জে গত মাসে অনেকগুলো ঘটনা ঘটেছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। “তবে যারা ঘটনাগুলো ঘটিয়েছে তারা এখানে এসে গোলাগুলি করে চলে যায়,” বলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।

RSS
Follow by Email