বাজারে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে খাইট্টা-হোগলাপাটি
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: রাত পোহালেই ঈদ। আত্মত্যাগের এই মহাপর্বের প্রস্তুতি এখন নারায়ণগঞ্জের অলিতে-গলিতে। কোরবানির পশুর মাংস প্রক্রিয়াজাতকরণের অপরিহার্য সরঞ্জাম, বিশেষ করে ‘খাইট্টা’ (মাংস কাটার কাঠের গুঁড়ি) ও হোগলাপাটি, কিনতে শহরের বাজারগুলোতে ভিড় জমাতে শুরু করেছেন ক্রেতারা। তবে, বাজারের চিত্র ভিন্ন। বৃষ্টি আর দামের উচ্চতায় ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ই এক নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন।
শুক্রবার (৬ জুন) দুপুর থেকে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন বাজারে, বিশেষ করে মৌসুমি বিক্রেতাদের কাছে, এসব পণ্য চড়া দামে বিক্রি হতে দেখা গেছে। সকাল থেকে মেঘ-বৃষ্টির লুকোচুরি খেলায় বেচাকেনা তেমন জমে উঠেনি বলে অভিযোগ করছেন বিক্রেতারা। অন্যদিকে, ক্রেতারা বলছেন, বিক্রেতারা গতবারের তুলনায় প্রতি পণ্যে ৫০-১০০ টাকা বেশি দাম হাঁকছেন, যা তাদের বাজেটকে প্রভাবিত করছে।
নারায়ণগঞ্জের স্থানীয় বাজারগুলোতে যেমন – নিতাইগঞ্জ, কালির বাজার, মন্ডলপাড়া, ডিআইটি এলাকায় এসব পণ্য বিক্রি করতে দেখা যায়। বর্তমানে ৫ হাত লম্বা ও ৪ হাত চওড়া হোগলাপাটির দাম চাওয়া হচ্ছে ৩০০ টাকা, বড় সাইজের খাইট্টা ১০০০-১২০০ টাকা এবং মাঝারি সাইজের খাইট্টা ৪০০-৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
নগরীর মন্ডলপাড়া এলাকায় তিন যুগের বেশি সময় ধরে মো. কবির খাইট্টা ও হোগলাপাটি বিক্রি করেন। তিনি জানান, “সকাল থেকে বেশ ভালোই বিক্রি হয়েছে। আশা করি সব গুলো আজকেই শেষ হয়ে যাবে। বাজার ভালো হলে দাম আরও বেড়ে যাবে।”
তেঁতুল গাছের এসব গুঁড়ি বিভিন্ন জেলা থেকে সংগ্রহ করা হয় এবং মৌসুমি বিক্রেতারা সামান্য লাভে সেগুলো বিক্রি করেন। কিন্তু বুধবারের বৃষ্টি তাদের বেচাকেনায় বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সবুজ নামের এক বিক্রেতা হতাশ সুরে বলেন, “বৃষ্টি না কমলে আমাদের বেচাকেনা হবে না। মানুষ হয়তো পুরোনো জিনিস দিয়ে কাজ চালাবে। রোদ উঠলে আমরা কিছু টাকা আয় করতে পারবো।”
হোগলাপাটি কিনতে আসা এক ক্রেতা তার অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, “খাইট্টার দাম গতবারের তুলনায় ১০০ টাকা বেশি চাইছে। আর পাটি দুইটা ৫০০ টাকা বললাম, তাও দিচ্ছে না। এবার বিক্রেতারা খুবই বেশি দাম চাচ্ছেন।