বুধবার, মে ১৪, ২০২৫
Led02রাজনীতি

আইভীকে গ্রেপ্তারে বাধা ও হামলা: মামলায় আসামী হলেন যারা..

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: সাবেক মেয়র আইভীকে গ্রেপ্তারের সময় পুলিশের গাড়িতে হামলার ঘটনা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৩ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অপারেশন) তারেক আল মেহেদী। এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় সদর মডেল থানার উপ পরিদর্শক রিপন মৃধা বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন।

এ মামলায় ৫২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২০০ জনকে আসামী করা হয়েছে।

মামলায় এজাহারে উল্লেখিত আসামীরা হলেন, সদরের সৈয়দপুর বড় বাড়ি মৃত খালেদ সরদারের ছেলে ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ সদর থানার সভাপতি শফিকুল ইসলাম বাবু (৪৭), সিদ্ধিরগঞ্জ আরামবাগ মৃত ডক্টর নুরুল হুদার ছেলে ও ওয়ার্ড ছেদবিরগঞ্জ যুবলীগের সহ-সভাপতি কামরুল হুদা বাবু (৫২), সদরের আলী আহমেদ চুলকা সড়ক এলাকার মৃত আমিনুল ইসলামের ছেলে শফিকুল ইসলাম লিটন (৫৮), বন্ধন নবীগঞ্জ কদম রসুল এলাকার নুরুদ্দিন আহমেদ এর ছেলে রাসেল আহমেদ ওরফেই রাসেল কন্ট্রাক্টর (৪৮), বন্দর বড়বাড়ি কদম রসুল এলাকার মৃত ফরিদ হোসেনের ছেলে কবির হোসেন (৪৭), সদরের তামাক পট্টি এলাকার বাসিন্দা জামির হোসেন রনি (৪১), বন্দরের কাইতাখালি এলাকার মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে মোতালেব হোসেন মাস্টার (৫০), সদরের এক নং বাবুরাইল ডিবা হাসান এর বাড়ির পাশের এলাকার বাসিন্দা আজিম (৫৫), দেওভোগ মেয়রের বাড়ির এলাকার বাসিন্দা আলিনুর সুমন (৪৭), ফতুল্লা এনায়েতনগর ইউনিয়নের শাসনগাঁও এলাকার আলী উদ্দিনের ছেলে ও যুবলীগ নেতা শামীম তালুকদার (৫০), মর্গান স্কুলের সামনে পাক্কা রোড এলাকার হৃদয় প্লাজার বাসিন্দা মৃত জনু মিয়ার ছেলে গোলাম সরোয়ার শুভ (৪৫) ও তার ভাই চঞ্চল (৪০), সদরের ৩৯৭ আলি আহমেদ চুলকা সড়কে মৃত আমিনুল ইসলামের ছেলে মুকুল (৪৯), দেওভোগ পানির ট্যাংকি এলাকার সোহরাবের স্ত্রী আসিয়া খানম সুমি (৪৫)।

সদরের শহীদ নগর ২ নং গুলি ১৮ নং ওয়ার্ড এলাকার আব্দুল কুদ্দুস আজাদের ছেলে পলাশ (৪৫), শহীদ নগর ১ নং গলি এলাকার কাসেমের ছেলে হানিফ (৪০), একই এলাকার চানমিয়ার ছেলে সুধীর (৫২), হায়দার আলীর ছেলে শাকিল (২৮), হানিফের ছেলে জিসান (২৮), মৃত সালাউদ্দিনের ছেলে আরাফাত (২৩), মিজানুর রহমানের ছেলে শিপলু সাদিক (৫০), মৃত হাজী সত্তারের ছেলে রাসেল (৪২), আব্দুল হাইয়ের ছেলে শওকত মিঠুন (৪৩) ও তার স্ত্রী মাহমুদা (৩৮), নাজিম উদ্দিনের ছেলে সাদ্দাম সানি (৩৫), ২ নং গলির কাদের প্রধানের ছেলে রতন প্রধান (৪০), মৃত জামাল মাতব্বরের ছেলে রুমেল (৪৭), সিদ্ধিরগঞ্জ জালকুড়ি এলাকার জয়নাল আবেদীনের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম বেপারী (৫২), শহীদ নগর মেম্বার গলির এলাকার মৃত আওলাদের ছেলে শামীম (৪৮), বাচ্চু মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলাম (৫১), বন্ধর নবীগঞ্জের ২৩ নং ওয়ার্ড এলাকার নজরুলের ছেলে মাহিন, সদরের দেও ভোগ সর্দার বাড়ি এলাকার বাদশা সর্দারের ছেলে রাতুল (৩৪), দেওবন্দর পুরান বাড়ির সংলগ্ন এলাকার গিয়াস উদ্দিনের ছেলে মিঠু (৫২), নন্দীপাড়া বিএনডি রোড এলাকার মৃত সাহাবুদ্দিন প্রধানের ছেলে শফি উদ্দিন প্রধান (৫৩), ফতুল্লা লিচুবাগ পশ্চিম দেওভোগ এলাকার মৃত রমিজ উদ্দিন মোল্লার সন্তান মাথিন, দেও ভোগের মৃত দিলীপ মিয়ার ছেলে অভি (২৯), ফতুল্লা কাশীপুর খিল মার্কেট এলাকার রনি হরফে মুরগি রনি (৩০), নিতাইগঞ্জ মাইছছাপাড়া বাজার এলাকার জয়নালের ছেলে রনি (৪১), সদরের বাড়ির টেক মসিনাবন্দ এলাকার মুক্তার আলীর ছেলে নয়ন (২৯), ২ নং বাবুরাই এলাকার মৃত ভাসা মিয়ার ছেলে রনি, সৈয়দপুর বাড়ীর টেক এলাকার মনসুর আলীর ছেলে শাজাহান (৩৭), সদরের বউ বাজার এলাকার ফয়েজ মোল্লার ছেলে ইমরান দেওয়ান, দেওবুক সরদার বাড়ি এলাকার মৃত নান্নু সরদারের ছেলে রিফাত সরদার , ফতুল্লার বাজার এলাকার আমির আলী ছাদের ছেলে সিদ্দিক মিয়া, সদরের নন্দীপাড়া ডি এন রোড এলাকার নূর মোহাম্মদ খানের ছেলে আবুল বাশার বাশেদ (৫০), বন্দর নবীগঞ্জের মাইরপরশ পাড়া এলাকার নসু মিয়ার ছেলে খোকন ভেন্ডার, সদরের পাইকপাড়া ১৭ নং ওয়ার্ড এলাকার মৃত সোবাহান মিয়ার ছেলে সজল হরফে কানকাটা সজল (৪৫), সদরের গোগনগর সৈয়দপুর কড়াইতলা এলাকার মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে রতন সিকদার, বন্দরের ২০ নং ওয়ার্ড সোনারকান্দা হাজিপুর এলাকার বাসিন্দা রফিক পাগলা, খানপুর মেইন রোড ( এমিলির বাড়ির পিছনে) ১২ নং ওয়ার্ড এলাকার বাসিন্দা হরমুজ আলীর ছেলে রাসেল, সদরের সুকুম পট্টি এলাকার মৃত বারেকের ছেলে ইমরান (৩২)।

প্রসঙ্গত, সোমবার সন্ধ্যায় মামলা দায়ের করার পর অভিযান শুরু করে পুলিশ। এরপর অভিযানে সদরের শহীদ নগর ১নং গলির এলাকার বাসিন্দা হানিফ, তার ছেলে জিসান ও শওকত মিথুনকে আটক করা হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাত এগারেটায় সাবেক মেয়র আইভীকে গ্রেপ্তার করতে অভিযান চালায় পুলিশ। রাতভর চেষ্টারপর শুক্রবার সকালে আইভীকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয় নারায়ণগঞ্জ এসপি অফিসে। যাওয়ার সময় শহরের উকিলপাড়া মোড়ে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশের একাধিক সদস্য আহত হোন। গ্রেপ্তারের পর আইভীকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন আদালত। তাকে ঢাকা কাশিমপুর মহিলা কারাগাড়ে প্রেরণ করা হয়। সর্বশেষ সোমবার (১২ মে) আইভীর জামিনের আবেদন করেন আসামী পক্ষের আইনজীবীরা। শুনানী শেষে জেলার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-২য় আদালতের বিচারক শামসুর রহমান তা নামঞ্জুর করেন।

RSS
Follow by Email