সোমবার, মে ১২, ২০২৫
Led02বিশেষ প্রতিবেদন

নগরীতে গরমের সাথে বাড়ছে তরমুজ-ডাবের চাহিদা, চড়া দামের অভিযোগ

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জসহ সারা দেশের তাপমাত্রা বাড়ছে ক্রমশ। আগামীর ২-৩ দিন তাপদাহের পূর্বাভাস দিচ্ছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এসময় পর্যাপ্ত পানি পান ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিসকরা। তীব্র এই গরম থেকে স্বস্তি পেতে রোশালো ফল তরমুজ ও শীতল ডাবের পানির দিকে ঝুঁকছে জণসাধারণ। অন্যান্য ফলের পাশাপাশি ক্রেতারা ভিড় জমিয়ে কিনছেন তরমুজ ও ডাব। তবে চাহিদা বেশি হওয়ায় চড়া দামেরও অভিযোগ করেছেন তারা।

রবিবার (১১ মে) নগরীর ফলের বাজারগুলোতে দেখা যায় এমন চিত্র। ফলের দোকানগুলোতে তরমুজ আকার ভেদে বিক্রি হলেও অনেক সময় কেজি দরেও বিক্রি হয়। একটি তরমুজ দেড় কেজি থেকে হতে পারে ১২ কেজি পর্যন্ত। আকার ভেদে তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৬০০ টাকা আবার কেজি প্রতি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। এদিকে ডাব বিক্রি হচ্ছে প্রতি পিস ১৪০ থেকে ১৮০ টাকা পর্যন্ত। চড়া দামের বিবরণে হিসেবে সরবরাহ কম ও শেষ মৌসুমের কারণে দাম বেড়েছে বলে দাবী করছেন ব্যবসায়িরা।

এসময় নাজমুল হক নামের এক ক্রেতা বলেন, এখনই তাপপ্রবাহ চলছে। সকালে থেকে যে পরিমান গরম পরে তা সহ্য করা মুশকিল হযে যায়। এই সময় ফলের মধ্যে ডাবের পানি আর রশালো বলে তরমুজ বেশি খাওয়া পরে। তবে এই তরমুজের দাম এসই রমজানের বেড়েছে আর কোন কমের দিকে নাই।

নুরুল হুদা বলেন, আমার পরিবারের সদস্য ১১ জন। গরমে বিদেশি ফলের দিকা তো তাকনোই যাবে না। ঘড়ে মায়ের একটু শরীল দূর্বল। এখন যা গরম পেরেছে, ফ্যান ছাড়লে গরম বাতাস আসে। এসময় সবার জণ্য নিতে হলে এই ডাবের পানি, তরমুজ কিংবা ভাঙ্গি নিতে হবে। কিন্তু এই তরমুজ যেটা ধরি সেটাই ৩০০ টাকা, ডাব ছোটটা ১৬০ আর ভাঙ্গির কথা তো বাদই দিলাম। এভাবে হলে তো ফলও কেনা যাবে না। রমজানে সবকিছুর দাম বাড়ে। রমজানের পর কমিয়ে আনলেও হয়, কিন্তু রমজান গেসে সেই প্রায় ২ মাস হলো এখনো সব ফলের দাম বেশি।

এসময় ফলের বিক্রেতা ফাহিম আহমেদ বলেন, ফল বাজারের দাম কম-বেশি উঠা নামা করতেই থাকে। আমাদের এই ডাব আসে বরিশার থেকে। এখন যে ডাবটা ১১০ টাকা কিনতে হলে সেটা আমি সর্বচ্চো ১০ টাকা লাভে ১২০ টাকায় বিক্রি করি। এভাবেই তো আমদের চলতে হয়। ফলের দামতো আমরা বাড়াই না।

আরেকজন তরমুজ বিক্রেতা বলেন, বিদেশি ফলের দাম সবসময় বেশি। তাই রমজান থেকেই তরমুজ মানুষ বেশি নিসে। তখন দামও কম ছিলো। তরমুজের সিজন প্রায় শেষ। আর কয়দিন পর তরমুজ পাওয়া যাইবো না। এই শেষ সময় হওয়ায় দাম বেশি। আমাদের কেনা বেশি পরলে একটু বেশি দামে বিক্রি করা পরে। কম দামে কিনতে পারলে কম দামেই বিক্রিও করতে পারবো।

RSS
Follow by Email