এক পশলা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার বিষাক্ত থাবা, কোটি টাকার উন্নয়ন প্রশ্নবিদ্ধ
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইভ নারায়ণগঞ্জ: মাত্র কয়েক মিনিটের বৃষ্টিতেই নগরীর বেশ কিছু এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। বিশেষ করে বঙ্গবন্ধু সড়কের নিম্নাঞ্চলগুলোতে রাস্তাঘাটে হাঁটু পর্যন্ত জল জমে যাওয়ায় জনজীবনে চরম দুর্ভোগ নেমে এসেছে। পথচারীরা বলছেন, সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা নারায়ণগঞ্জের একটি দীর্ঘদিনের সমস্যা।
শহরের প্রাণকেন্দ্র চাষাঢ়া, উকিলপাড়া এবং বঙ্গবন্ধু সড়কের নিম্নাঞ্চল যেন এক বিষাক্ত সাগরে পরিণত হয়েছে! কয়েক পশলা বৃষ্টিতেই হাঁটু সমান জল, আর এই জলবন্দী দশায় নাকাল নগরীর জীবনযাত্রা। মূল সড়কগুলো অথৈ পানিতে নিমজ্জিত, স্তব্ধ হয়ে গেছে স্বাভাবিক ছন্দ।
বিশেষ করে বঙ্গবন্ধু সড়কের দুইপাশের চিত্র আরও ভয়াবহ। উন্নয়নের নামে গত বছর শুরু হওয়া ড্রেনের পুনর্নির্মাণকার্য যেন অভিশাপ হয়ে নেমে এসেছে নগরবাসীর জীবনে। দীর্ঘ প্রায়ি এক বছর পেরিয়ে গেলেও সেই কাজ আজও আলোর মুখ দেখেনি। খোড়াখুঁড়ির কারণে ড্রেনগুলো আরও অগভীর হয়েছে, পানি নিষ্কাশনের পথ হয়েছে আরও বন্ধুর। ফলে, সামান্য বৃষ্টিতেই জলমগ্ন হচ্ছে বিস্তীর্ণ এলাকা, পানিবন্দী সড়ক হয়ে পড়ছে দোকানপাট ও বিভিন্ন মার্কেট গুলো।
কোটি কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের এই নির্মম পরিণতি যেন এক প্রহসন। নগরবাসীর দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ লাঘবের স্বপ্ন আজ গভীর হতাশায় নিমজ্জিত। স্থানীয়রা ক্ষোভের সাথে বলছেন, “উন্নয়নের নামে এই তামাশা আর কতদিন চলবে? বর্ষা এলেই আমাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। দেখার যেন কেউ নেই!”
ব্যবসায়ীরা জানান, জলাবদ্ধতার কারণে ক্রেতারা বাজারে আসতে পারছেন না, পোশাক শ্রমিক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ—সবার পথ একটাই, কাদাপানি আর নোংরা জলের নরক।
এই পরিস্থিতিতে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। দীর্ঘ সময় ধরে ড্রেনের কাজ অসমাপ্ত রাখা এবং জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ায় জনমনে তীব্র অসন্তোষ বিরাজ করছে।
নগরবাসী এখন একটাই প্রশ্ন—কবে মুক্তি মিলবে এই জলবন্দী জীবন থেকে? কবে শেষ হবে এই উন্নয়ন নামের প্রহসন?