না.গঞ্জে মৌসুমের আগেই চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গু: এখনই সচেতন না হলে বিপদ
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইভ নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জে মৌসুমের আগেই ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়তে শুরু করেছে। অতিরিক্ত গরম এবং থেমে থেমে বৃষ্টি এডিস মশার বংশবৃদ্ধির জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করায় জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা আগে থেকেই সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।
অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ কিছুটা বাড়তে শুরু করেছে। যদিও ডেঙ্গু ওয়ার্ডের সুনির্দিষ্ট তথ্য এই মুহূর্তে পাওয়া না গেলেও, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, মার্চ মাসের তুলনায় এপ্রিলে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। এই সময়ে পরিস্থিতি উদ্বেগজনক।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেঙ্গু ভাইরাসের লক্ষণগুলো এবারও একই রকম। জ্বর হলেই দ্রুত এনএসওয়ান পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। আক্রান্তদের অভিজ্ঞতা বলছে, জ্বর, বমি ও মাথাব্যথার পাশাপাশি মুখ দিয়ে রক্তক্ষরণের মতো গুরুতর লক্ষণও দেখা যাচ্ছে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পরিস্থিতিকে ডেঙ্গুর বিস্তার এবং এডিস মশার প্রজননের জন্য অত্যন্ত অনুকূল। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনকে এখনই সতর্ক হওয়ার এবং যেখানেই পানি জমে আছে, সেই কন্টেইনারগুলো দ্রুত অপসারণ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তার মতে, মে মাসে যথাযথ উদ্যোগ নিলে এডিস মশার প্রজনন ক্ষেত্র ধ্বংস করা সম্ভব এবং ডেঙ্গু প্রতিরোধ করা যেতে পারে।
এ বিষয়ে সিটি কর্পোরেশন ১৩ নং ওয়ার্ড বাসিন্দা মো. আল মেহেদী জানায়, নারায়ণগঞ্জেও মশা নিধনে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। ঢাকা সিটি কর্পোরেশন ইতিমধ্যেই মশা মারতে সেনাবাহিনীর সহায়তা নিচ্ছে এবং সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু ইউনিট খোলার আহ্বান জানিয়েছে। তাদের নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং মাতৃসদন কেন্দ্রে বিনামূল্যে ডেঙ্গু পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জেও এই ধরনের পদক্ষেপ ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হতে পারে।
গরম ও বৃষ্টির এই মিশ্র আবহাওয়ায় নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দাদের মশার উপদ্রব থেকে বাঁচতে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। বাড়ির আশেপাশে জল জমা রোধ করা, মশারী ব্যবহার করা এবং ডেঙ্গুর লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অপরিহার্য। দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে নারায়ণগঞ্জে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও মেডিকেল অফিসার’র মুঠোফোনে একাধিক ফোন করা হলে, তাঁরা সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়।