শনিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৫
Led01জেলাজুড়ে

ঈদের লম্বা ছুটির পর নগরীর জনস্রোত এখন কর্মস্থলমুখী

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: বিভিন্ন জাতীয় দিবস বাদ দিয়ে ঈদুল ফিতরে ৯ দিন ছুটি ঘোষণা করেছিলো অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এবারের ঈদে এমন লম্বা ছুটির পাওয়ায় নিজের গ্রামের বাড়ি গিয়েছেন হাজারো মানুষ। ঈদ শেষে শহরে ফিরছে নগরবাসী, কর্মস্থলমুখী হয়েছে চাকুরীজীবিরা। ফুটপাত আবারও ভরে গেছে হকার আর পথচারীদের আনাগোনায়। সড়কে বেড়েছে বিভিন্ন গণপরিবহনের ব্যস্ততা। আগের সেই চিরচেনা রূপে ফিরেছে নারায়ণগঞ্জ।

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) বিকেলে নগরীর বাস টার্মিনাল, লঞ্চ ঘাট ও বিভিন্ন প্রধান সড়কে সরেজমিনে দেখা যায় এমন চিত্র। ঈদের ছুটি শেষ হতেই শহরে ফিরেছেন অনেকেই। তবে বাসে টিকিট না পেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ করেছেন অনেকেই। যারা ফিরতি টিকিট আগে থেকেই কেটে রেখেছিলেন তারাই কেবল স্বস্তিতে ফিরতে পারছেন।

খানপুরের, চাষাড়া ও চাঁনমারীসহ আরও আশেপাশের এলাকার বিভিন্ন কোম্পানির বাস কাউন্টারের দেখা যায়, বাসের ভেতরে দাঁড়িয়ে অথবা ইঞ্জিন কাভারে বসে এমনকি কিছু কিছু সময়ে ছাদে চড়ে শহরে ফিরেছেন জণসাধারণ।

বরিশাল থেকে ঈদ করে ফেরা আফতাব হোসেন বলেন, ‘ফিরতি টিকিট কাটতে গিয়ে অনেক কাঠ-খড় পুড়াতে হয়েছে। আগে থেকে টিকেট না কাটায় দাম বেশি চাইছে কাউন্টারে। বরিশাল-নারায়ণগঞ্জের রুটের ভাড়া সাধারনত সাড়ে ৬শ বা ৭শ। কিন্তু এবার ৯শ দিয়ে চেয়েছিলো। কারো কারো কাছে থেকে ১২শ টাকাও নিয়েছে শুনেছি। দুইটি টিকিট নিলে আবার একটু ছাড় দেয়। ফিরতি টিকিট না পেয়ে ভেঙে ভেঙে আসতে হয়েছে।

পোশাককর্মী সাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘ঈদের ছুটি পেয়ে গিয়েছিলাম পরিবার নিয়ে ঈদ করতে। শুধু এই বচরের ২ ঈদে পরিবারকে দেখতে পারি। কিন্তু ফেরার বেলায় সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কোনো টিকিট পাই নি। অনেকগুলো কাউন্টারে গিয়ে খালি হাতে ফিরতে হয়েছে। পরে বাসের ছাদে উঠে গুলিস্তান পর্যন্ত এসেছি।

বাস কাউন্টারের ম্যানেজার খোকন বলেন, ‘ঈদের ছুটি শেষে পরের সাত দিনের টিকিট ঈদের আগেই বিক্রি হয়ে যায়। অনেকে স্বজনদের মাধ্যমে ঈদের ফিরতি টিকিট কেটে নিয়েছিলেন। যারা আগে বাড়ি এসেছেন, তারাও নেমে ফিরতি টিকিট নিয়েছেন। ফলে এখন টিকিট শূন্য। তবে কারও যাত্রা বাতিল হলে সেই টিকিট মিলতে পারে। তাই ফিরতি টিকিট নেওয়া যাত্রীরাই স্বস্তিতে ফিরছেন।

ডলফিন পরিবনের হেলপার হাফিজুর রহমা বলেন, ‘ছাদের ভাড়া ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা আদায় করা হচ্ছে। এতে কিছুটা লাভ হয়। কারণ ঈদের আগে এই লাইনে তেমন যাত্রী হয়না। অনেক সময় ফাঁকা বাস নিয়েই যেতে হয়। ভিড় হয় ঈদের পর। এজন্য বাসের ভেতরে ও ছাদে বাড়তি লোক তুলে সেই ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নেওয়া হয় ঈদের পরে।’

RSS
Follow by Email