নগরীর ভোগান্তি থেকে বিষফোঁড়া হয়ে দাড়িয়েছে সিরাজউদ্দৌলা সড়ক
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: নগরীর একটি ব্যস্ততম ও গুরুত্বপূর্ন সড়কের নাম শুনলেই ভ্রু কুঁচকে যায় জনসাধারণের। চোখে ভেসে উঠে অসহনীয় ভোগান্তির অভিজ্ঞতা। সে সড়কে একদিকে যেমন সহ্য করতে হয় ময়লা আবর্জনার তীব্র গন্ধ, তেমনই সহ্য করতে হয় খানাখন্দের ঝাকুনি। কাগজ-কলমে এটি ওয়ান ওয়ে সড়ক হলেও দু-মুখি যানবাহন চলাচল করায় প্রায় সব সময় লেগে থাকে দীর্ঘ জ্যাম। ৫ মিনিটের সড়ক পাড় করতে হয় ২০ মিনিট বসে। এতো দিন এভাবে পাড় হলেও রমজান মাস আসার পর এ সড়কে ভোগান্তি হয়েছে সীমাহীন। সম্পূর্ন সড়কের মাঝে বৃহত গর্ত করে মাস ব্যাপি করা হচ্ছে ড্রেনের কাজ। এতেদিন কোন রকম এই সড়ক ব্যবহার করা গেলেও বর্তমানে এটি যেন নগরবাসীর জন্য বিষফোঁড়া হয়ে দাড়িয়েছে এ সড়কটি।
বুধবার (১৯ মার্চ) এমন চিত্র দেখা যায় নগরীর নবাব সিরাজউদ্দৌলা সড়কের কালিরবাজার এলাকায় । মূলত কালিরবাজার, ১নং রেল গেট, টানবাজার, বন্দর ঘাট, বাস টার্মিনাল ও লঞ্চ টার্মিনালে আসার জন্য অধিকাংশ মানুষ এ সড়কটি ব্যবহার করে। দীর্ঘ সময় সড়কের বেহাল দশা থাকলেও রমজানের শুরুতে নতুন করে কাজ ধরা হয়। এতেই যেন ভোগান্তি বাড়ে আরও কয়েকগুন। বৃহত গর্ত থেকে মাটি সড়িয়ে রাখা হয়েছে সড়কের উপরেই। ময়লা দুর্গন্ধযুক্ত সেই মাটির উপর পাশে দিয়ে ঝুকি নিয়ে পাড় হচ্ছে নগরবাসী। রমজানে সড়কের এ দশার কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে জণসাধারণ। ঈদের আগে এ সংস্কার শেষ হবে কিনা তা নিয়েও আংঙ্কা প্রকাশ করেছে তারা।
এসময় চাকুরিজীবি আতাউর বলেন, ‘এ সড়কে আগে সকালে ময়লা নিয়ে যাওয়ার জন্য সিটি কর্পোরেনের গাড়ি আসতো। শুধু একটা গাড়ির জন্য পুরো সড়ক আটকে যেত। এখন সড়কে এতো বড় বড় গর্ত করা হয়েছে। সারা বছর এই সড়কে কারো নজর পরে নাই, এই রমজান মাস আসলো আর সাথে সাথে ফ্রেন্ডস মার্কেটের সামনে আর কুমুদিনির সামনে বিশাল বিশার গর্ত করে রেখেছে। গর্তের মাটি রাখা হয়েছে সড়কের উপর। সেখানে পা দিয়ে ময়লায় ডেবে যায়। আগে এ সড়কে যানজটের আর বর্জ্যের দুর্গন্ধের সমস্য ছিলো। কিন্তু এখন একবারে ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।’
টানবাজারের এক দোকানি সাইফ মজুমদার বলেন, ‘সারাদিন রোজা থেকে রাতে বাসায় যাই। রাতে এই রাস্তায় এমনি আলো থাকে না। যে বিশাল বিশার গর্ত করে রাখা হয়েছে তাতে পড়ে যাওয়ার ভয় থাকে। তার মধ্যে ময়লার দূগন্ধের জন্য রাস্তা দিয়ে চলাচলের মতো পরিবেশ থাকে না। এই একটা সড়কের ৩-৪ টা জায়গায় ময়লা ফেলা হয়। যেমন একটা মেট্রোহলের সামনে সড়কের বিপরতি পাশে, তারপর একটু এগিয়ে আসতেই কুমুদিনির গেট ঘেসে আরেকটা জায়গায় ময়লা ফেলা হয়, আবার আরেকটু সামনে আসতেই আমলাপাড়া মোড়ে তারপর কালিরবাজার ফলের আড়তের সামনে। এখন নতুন করে কালির বাজার আর ফ্রেন্ডস মাকের্টের সামনে গর্ত করে কাজ চলছে। একটা সড়কে চলতে এতো ভোগান্তি কেন পোহাতে হবে, তাও এই রমজান মাসে। যে ভাবে গর্ত করে ফেলে রেখেছে ঈদের আগে শেষ হবে কিনা তাও কে জানে।’
এ বিষয়ে সিটি কপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকির হোসনের সাথে মুঠফোনে যোগাযোগ করতে চাইলে তা সম্ভব হয়নি।