ওসমান পরিবারের ফেলে যাওয়া সম্পত্তি রক্ষার দায়িত্ব নিয়েছে ফকির গ্রুপ: রফিউর রাব্বি
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: নিহত ত্বকীর বাবা সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রফিউর রাব্বি বলেছেন, শেখ হাসিনা ত্বকীসহ দেশে বহু হত্যার বিচার বন্ধ করে রেখেছিলেন। গুম, খুন, আয়নাঘর প্রতিষ্ঠা করে, বিচার ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে ভয়াবহ এক রাষ্ট্র—ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। রাষ্ট্র—ক্ষমতার মোহ তাকে উন্মাদ করে ফেলেছিল। কিন্তু হাজারো ছাত্র—তরুণদের হত্যা করেও তিনি ক্ষমতা ধরে রাখতে পারেন নি। তিনি পুরোপুরি নির্ভর করেছিলেন পুলিশ ও মাফিয়াগোষ্ঠীর উপর। জনগণ ছিল উপেক্ষিত। নারায়ণগঞ্জে ওসমান পরিবারকে দিয়ে নারায়ণগঞ্জের মানুষের জীবন দুর্বিসহ করে রেখেছিলেন। সে পরিবার আজকে তার মতই পালিয়ে গেছে।
শনিবার (৮ মার্চ) সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে, তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যার ১২ বছর উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোট আলোক প্রজ্বালন কর্মসূচি তিনি এসব কথা বলেন।
রফিউর রাব্বি বলেন, এখন ওসমান পরিবারের ফেলে যাওয়া সম্পত্তি রক্ষার দায়িত্ব নিয়েছে ফকির গ্রুপ। ‘ক্রয় সুত্রে এই সম্পত্তির মালিক ফকির এ্যপারেলস’ এমনি ভুয়া সাইনবোর্ড লাগিয়ে তারা ওসমানদের সম্পত্তি রক্ষার কৌশল নিয়েছে। ফকির গ্রুপ, নীট কনসার্ন এরা ওসমান পরিবারের লুটপাটের নৈতিক সহায়ক ছিল। ওসমান পরিবারের সম্পত্তি নারায়ণগঞ্জের মানুষের রক্তে গড়া সম্পত্তি। আমাদের দাবি ওসমান পরিবারের সকল সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে রাষ্ট্রের কোষাগারে জমা করতে হবে। তারা হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করে বিদেশে পাচার করেছে। দলের সর্বোচ্চ মহল থেকে মন্ত্রী, এমপি, আমলা সকল পর্যায়ে তারা এই লুটের টাকা বণ্টন করেছে।
তিনি বলেন, তাদের নিজ দলীয় নেতারা বলেছেন, মন্ত্রী ওবায়েদুল কাদেরকে দশ কোটি টাকা দিয়ে ‘নাসিম ওসমান সেতু’, ‘শামসুজ্জোহা সড়ক’ ও ‘নাগিনা জোহা সড়ক’ নাম করণ করা হয়েছে। সে সময় আমি প্রশ্ন করেছিলাম, আমরা জানতে চাই নারায়ণগঞ্জে এই মানুষগুলোর অবদান কী? কেন একই সাথে তিনটি রাস্তা ও সেতুর নাম একই পরিবারের নামে করা হলো। তারা তখন আমার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দিয়েছিল। আমরা আজকে সরকারের কাছে এই খুনী পরিবারের নামে থাকা সেতু ও সড়কের নাম পরিবর্তন দাবি করছি।
তিনি আরও বলেন, ত্বকী হত্যার সকল ঘাতকদের অভিযোগপত্রে যুক্ত করে আমরা দ্রুত অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেয়ার দাবি জানাচ্ছি।