সমাজসেবা করতে এমপি হওয়া লাগে না: গিয়াসউদ্দিন
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্য গিয়াস উদ্দিন বলেন, ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় যদি কোন নেতা কোথাও যায় তাহলে সে তখন অনেক ভালোবাসা পাই স্লোগান পায়। কিন্তু ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় যে ভালোবাসা পেয়েছি ক্ষমতা না থেকে তার থেকেও বেশি পাচ্ছি। এ বক্তাবলীর পূর্বপুরুষের অনেক সুনাম রয়েছে, সেই সুনাম এখানে যুবকদেরও ধরে রাখতে হবে। এখনকার যুবকের সবার কাছেই মোবাইল ফোন আছে, কিন্তু মোবাইল ফোনে জাহান্নাম আছে আবার জান্নাত আছে। যুবকদের কাছে অনুরোধ থাকবে নিজেদের ধ্বংস করো না। পরকালের চিন্তা মাথায় রেখে নিজেদের ভালো ভালো গুণের দিকে নিয়ে যাও।
রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ফতুল্লার বক্তাবলীতে ইউনিয়ন ফুটবল প্রিমিয়ার লীগ পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এসময় প্রধান অতিতির বক্তব্য এ কথা বলেন গিয়াস উদ্দিন।
বক্তব্য তিনি আরও বলেন, ‘বাজারে ৩০০ টাকার বিস্কিট পাওয়া যায় আবার তিন হাজার টাকার বিস্কিট পাওয়া যায়। দুইটাই ময়দার বিস্কিট হলেও যে বিস্কিট এ ময়দার সাথে বেশি ভালো উপাদান দেয়া হয়, সেই বিস্কিট খেতে সুস্বাদ দেওয়া হয় ও দামও বেশি হয়। তেমনি আজকে এখানের কম বেশি সকলে ছাত্র আছে। এদের মধ্যে নিজেকে মূল্যবান করতে হলে নিজের মধ্যে গুনাগুন বৃদ্ধি করতে হবে। সমাজের সত্যবাদী, পিতা-মাতামাকে সম্মান করা যুবকদের দাম বেশি। আজকের এই টুর্নামেন্টের অনুষ্ঠানে আমি রাজনীতির বক্তব্য দিতে আসিনি, ছাত্রদের সাথে বন্ধুত্বের সম্পর্ক করতে এসেছি । এখানে যত যুবক আছে সবাই আমার ফোন নাম্বার নিয়ে রেখো। যে কেউ আমাকে ফোন করেছে কোন প্রশ্ন করতে পারবে, প্রয়োজন আমার বাসায় মেহমান হয়ে এসো এ অধিকার আমি সবাইকে দিয়ে গেলাম। যেখানে এলাকার মুরুব্বীরা আমাকে এত স্নেহ ভালোবাসা দিয়েছে সেখানে আমি তোমাদের জন্য এইটুকু করতে চাই। অনেকে বলে এমপি হলে এটা করবো, ক্ষমতায় গেলে সেটা করবো। কিন্তু সমাজসেবা করার জন্য এমপি হওয়া লাগে না, ক্ষমতায় না গিয়েও সমাজসেবা করা যায়। খালেদা জিয়ার সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন অবস্থায় শুধু এই বক্তাবলিতে ২৬ টি ব্রিজ-কালভার্ট করেছি। মানুষ আমাকে ভালোবাসে, যদি আল্লাহ তৌফিক দেয় তাহলে এইভাবে কাজ করে যাবো। ১৯৭১ সালে যুদ্ধ করেছি, তখন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিলেন। বাড়ি থেকে পালিয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছে তারপর যুদ্ধে গেছি। তখন পাকিস্তানরা আমাদের মানুষের মৌলিক অধিকার দিত না তাই জীবন বাজি রেখে দেশকে স্বাধীন করেছি। একইভাবে ২৪১৪ করেছিলাম অধিকারের জন্য সেখানেও বিজয় হয়েছি। আমার জীবনে আমি দুটি যুদ্ধে গিয়েছিলাম দুটিতেই আমার নেতৃত্বে বিজয় হয়েছে। ৭১ সালেও কমান্ডার ছিলাম, ২৪শেও কমান্ডার ছিলাম। ৭১ ও ২৪শের যুদ্ধের চেতনাক বুকে ধারণ করে আমাদের সবাইকে দেশের জন্য কাজ করতে হবে।’