বড় ভাইয়ের মৃত্যুবাষির্কীতে হাতেমের আবেগঘন স্মৃতিচারণ
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: ইসলামে ভ্রাতৃত্বের বিশেষ মর্যাদা আছে। পরিবার ছাড়াও সাধারণ মুমিনদের পারস্পরিক ভ্রাতৃত্বের গুরুত্ব রয়েছে। ঈমানের ভিত্তিতে ভ্রাতৃত্বের এই সম্পর্ক কেবল পার্থিব জীবনে সীমিত নয়; বরং পরকালেও এর সুফল রয়েছে। ভাইয়ের সম্পর্ক পৃথিবীর অন্যতম সেরা ও মূল্যবান সম্পর্কের একটি। বন্ধুত্ব, স্নেহ, এবং আন্তরিকতার এক মধুর বন্ধনে আবদ্ধ থাকে বড় ভাই ও ছোট ভাই-বোনের সম্পর্ক। এই সম্পর্ক শুধু রক্তের বাঁধনে আবদ্ধ নয়, বরং ভালোবাসা, দায়িত্ববোধ, এবং পারস্পরিক সহানুভূতিতেও পূর্ণ। ভাইয়ের সম্পর্কের গুরুত্ব বুঝতে পারলে আমরা সবসময়ই চেষ্টা করবো এই সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী ও অক্ষুণ্ণ রাখতে।
বড় ভাই মানে বাবার দ্বিতীয় ছায়া, একটা বিরাট সাপোর্ট পাওয়া। বড় ভাই মানে ভালোবাসার মানুষটা, ভাই মানে অন্যতম এক আবেগ। আর ঠিক এমনি ভালোবাসার প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ মন্ত্রনালয়ের সিপিজিসিবিএল’র ইন্ডিপেন্ডেন্ট ডিরেক্টর (স্বতন্ত্র পরিচালক) ব্যবসায়ী প্রতিনিধি ও বিকেএমইএ’র সভাপতি মোহাম্মদ হাতেমের ফেসবুক স্ট্যাটাসে।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফাইড একাউন্টে, বড় ভাইয়ের প্রথম মৃত্যুবাষির্কীতে মোহাম্মদ হাতেম এক আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
পাঠকের সুবিধায় হুবহু তুলে ধরা হলো-
“বড় ভাই
ক্ষণজন্মা একজন মানুষ। আপাদ মস্তক একজন সাদা মানুষ, ভিতরে বাইরে সাদা, কাজে কর্মে সাদা এবং একেবারেই পরিস্কার পরিচ্ছন্ন। কথা ও কাজে অসম্ভব মিল। অন্তরে ও বাহিরে দুরকম কথা কখনই তাঁর ধ্যাতে নেই। একজন দায়িত্বশীল পিতৃতুল্য আদর্শ ভাই, একজন দায়িত্বশীল আদর্শ পিতা, সমাজের সর্ব শ্রেনীর মানুষের একজন নিরহংকার হিতৈশী। সর্বোপরি একটি পরিবারের, একটি সমাজের পিতৃতুল্য নিখাদ অভিভাবক। অসম্ভব সাহসী একজন উদ্যোক্তা। যেটাতেই হাত দিয়েছেন সেটাতেই সোনা ফলিয়েছেন, হয়েছেন সফল। কর্মক্ষেত্রে কঠোর দায়িত্ববান। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ছিলেন অসম্ভব সৌখিন একজন ব্যক্তি। সৌখিনতার ব্যপারে কোন প্রকার কার্পণ্য ছিলনা কখনো। আমার জীবনে দেখা একজন শ্রেষ্ঠ আদর্শ মানুষ।
তিনি আমার বড় ভাই, আমাদের পুরো পরিবারের অভিভাবক। নীটওয়্যার শিল্পের অন্যতম পথিকৃত, ছিলেন বিকেএমইএ’র প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক এবং ছিলেন বিজিএমইএ’র সদস্য, নেভী হোসিয়ারী ও এম এস ডাইং প্রিন্টিং এন্ড ফিনিশিং লিঃ এর প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা মোঃ সালেম। মাদ্রাসা, মসজিদ, গরীব মানুষদের ঘর করে দেওয়া, খাবারের পানির ব্যবস্থা করে দেওয়া, কাউকে আবার উপার্জনের ব্যবস্থা করে দেওয়া ইত্যাদি নানাভাবে দুনিয়াতে ছদকায়ে জারিয়া রেখে গেছেন। ২০২৩ সালে এই দিনে ২৩ জানুয়ারি দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়ে শুয়ে আছেন কুমিল্লা সদর দক্ষিণের দয়াপুরে আমাদের পারিবারিক কবরস্থানে (কুমিল্লা সদর দক্ষিন থানার উল্টোদিকে হাইওয়ের উত্তরে দয়াপুর মাদ্রাসার পাশে)। আমাদের বিশ্বাস মহান আল্লাহ তাঁকে জান্নাতের সর্বোচ্চ মাকামে স্থান দিবেন নিশ্চয়ই। আমীন।
মোহাম্মদ হাতেম
সভাপতি – বিকেএমইএ
সভাপতি – এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইএবি)”