বৃহস্পতিবার, জানুয়ারি ১৬, ২০২৫
Led05ধর্ম

প্রতিহিংসার রাজনীতি করলে, হামলাকারীদের বাড়ি ঘরের অস্তিত্ব থাকতো না: সাকী

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) মুফতি দেলাওয়ার হোসাইন সাকী বলেছেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সুশৃঙ্খল ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে। ইসলামী আন্দোলন যদি প্রতিহিংসার রাজনীতি করত তাহলে এতক্ষণে নূর হোসেন ভাইয়ের হামলাকারীদের বাড়ীঘরের অস্তিত্ব থাকতো না। অবিলম্বে চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করুন অথবা ব্যর্থতার দায় নিয়ে পতিত্যাগ করুন।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বিকাল ৪ টায় বন্দর শাহী মসজিদ পল্লী বিদ্যুৎ মোড়ে, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগর সহ-সভাপতি মুহা. নুর হোসেন-এর উপর সন্ত্রাসীদের হামলার প্রতিবাদ ও হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে, বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলে।

মুফতি দেলাওয়ার হোসাইন সাকী বলেন, আমরা প্রশাসনের উপর আস্থা রাখতে চাই। আমরা সংঘাত চাই না। তবে এই পরিকল্পিত হামলাকারীদের অবশ্যই খুঁজে বের করে গ্রেপ্তার করতে হবে। মনে রাখতে হবে, জুলাইয়ের বিপ্লবের রক্ত এখনো শুকায় নাই। জুলাই আন্দোলনের আমেজ এখনো শেষ হয়ে যায় নাই। অপরাধীরা যদি অধরা থাকে তাহলে পুনরায় সেই আন্দোলনের দাবানল জ্বলে উঠবে, ইনশাআল্লাহ।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ২১ নং ওয়ার্ড শাখার সভাপতি মুহা. ইমাম হোসেনের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন, নগর সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা সভাপতি মাও. দ্বীন ইসলাম, সহ-সভাপতি মাও. হাবীবুল্লাহ হাবীব, জেলা সেক্রেটারি মুহা. জাহাঙ্গীর কবির, নগর সেক্রেটারি সুলতান মাহমুদ, নগর যুব আন্দোলন সভাপতি রবিউল ইসলাম, নগর ছাত্র আন্দোলন সভাপতি এইচ এম শাহীন আদনান প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

প্রধান বক্তা মুফতি মাসুম বিল্লাহ বলেন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর ছিলেন নুর হোসেন ভাই। এলাকায় মাদক ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন তিনি। এ কারণেই মাদকসেবী ও চাঁদাবাজরা সন্ত্রাসী কায়দায় তার উপর হামলা করেছে। ছাত্র জনতার আন্দোলনে ফ্যাসিস্ট সরকারক উৎখাত হয়েছে। শায়খে চরমোনাই ৪ তারিখ ঘোষণা দিয়েছিলেন গণভবন দখল করার। ঠিক পরের দিন ৫ আগস্ট পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙ্গে গণভবন অভিমূকে রওয়ানা হয়েছিলেন যেটা মিডিয়া ও জনগণ স্বাক্ষী। আমরা প্রশাসনকে বলতে চাই, অনতিবিলম্বে আসামীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিন। অন্যথায় ধৈর্যের বাধ ভেঙ্গে গেলে সেটার দায় প্রশাসনকেই নিতে হবে।

RSS
Follow by Email