বুধবার, জানুয়ারি ১৫, ২০২৫
Led03জেলাজুড়ে

না.গঞ্জসহ ৩ জেলায় ডিএমপি’র অভিযানে পাঁচজন আটক, ৩ কোটি টাকার গাড়ি উদ্ধার

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জসহ ঢাকা ও গাজীপুর এলাকায় ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা করে, ৫ জনকে আটক করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে ৩ কোটি টাকা মূল্যের চারটি গাড়ি আত্মসাতের অভিযোগে চারটি গাড়ি উদ্ধার করা হয় বলে জানায় পুলিশ।

আটককৃতরা হলো জারাক আহমেদ (৩৮), আবুল কালাম রিফতিয়ার (৩৮), মো. জামির হোসেন (৩৬), মো. সজল আহম্মেদ (৩০) ও আব্দুর রহমান রুবেল (৫৬)।

তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা সূত্রে জানা গেছে, জনৈক মো. ইমদাদুল হক খান ওরফে নওশাদ (৪২) একজন গাড়ি ব্যবসায়ী। তেজগাঁওয়ের ২৪০-আজিজ কোর্ট গ্রাউন্ড ফ্লোরে তার একটি গাড়ি বিক্রির শো-রুম আছে। এবি ড্রাইভ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জারাক আহমেদ ও চেয়ারম্যান মো. জামির হোসেন গত ২৬ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে বিক্রয়ের উদ্দেশে চারটি গাড়ি ডেলিভারি চালান মূলে ভাটারা থানাধীন নর্দ্দা প্রগতি সরণি এলাকায় এবি ড্রাইভ লিমিটেডের শো-রুমে নিয়ে যায়।

গাড়ি চারটি হলো—২০২৩ মডেলের একটি টয়োটা হ্যারিয়ার জিপ, ২০১৮ মডেলের একটি টয়োটা ভেলফায়ার জিপ, ২০১৮ মডেলের একটি টয়োটা এসকোয়্যার মাইক্রোবাস ও ২০১৯ মডেলের একটি টয়োটা এক্সিও প্রাইভেটকার। গাড়ি চারটির সর্বমোট বাজার মূল্য তিন কোটি টাকা।

পরবর্তী সময়ে জারাক ও জামিরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা গাড়িগুলো ফেরত দেবে না বলে জানায় এবং ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে থাকে। ইমদাদুল হক খান খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, তাঁরা গাড়িগুলো প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাতের উদ্দেশে এবি ড্রাইভের শো-রুম থেকে অন্যত্র সরিয়ে ফেলেছে। এ ঘটনায় গত ৫ জানুয়ারি ইমদাদুল হক খানের অভিযোগের প্রেক্ষিতে জারাক আহমেদ ও জামির হোসেনসহ অজ্ঞাতনামা ২-৩ জনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় একটি প্রতারণার মামলা রুজু হয়।

তদন্তাধীন এই মামলায় থানা-পুলিশ গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ২টার দিকে গুলশান লিংক রোড এলাকা হতে জারাককে আটক করে। পরে তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গাজীপুরের কালিয়াকৈর ও কাশিমপুর থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এজাহারনামীয় আসামি জামির হোসেনের সহযোগী আবুল কালাম রিফতিয়ারকে আটক করা হয়।

থানা সূত্রে আরও জানা যায়, আটককৃত আবুল কালাম রিফতিয়ারকে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে সে জানায়, তাঁর বস জামির হোসেন তাঁকে একটি টয়োটা এসকোয়্যার মাইক্রোবাস এবং একটি টয়োটা এক্সিও প্রাইভেটকার তাঁর এক আত্মীয়ের বাসায় রাখতে বলে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে তাঁকে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে ঢাকার আফতাবনগর এলাকা হতে ওই গাড়ি দুইটি উদ্ধার করা হয়। পরে তাঁকে আরও দুইটি গাড়ির কথা জিজ্ঞাসাবাদ করলে, সে জানায়—অন্য গাড়ি দুইটির বিষয়ে মো. সজল আহম্মেদ অবগত। পরে সজল ও আব্দুর রহমান রুবেলকে আটক করা হয়।

তাদের জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানাধীন নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড ভূইগড় এলাকা হতে মো. সাইদুর রহমানের হেফাজত হতে একটি টয়োটা ভেলফায়ার জিপ ও একটি টয়োটা হ্যারিয়ার জিপ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা এই চারটি গাড়ি আটককৃতরা পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছিল মর্মে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে।

মামলার নিবিড় তদন্ত ও আটককৃতদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।

RSS
Follow by Email