শেখ মুজিব গণতন্ত্রকে গলাটিপে হত্যা করে বাকশাল কায়েম করেছেন: এড. টিপু
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেছেন, যাদের বয়স ৫০ এর উপরে আছে, তারা আওয়ামী লীগের রাজনীতির ইতিহাস দেখেছেন, বিএনপির রাজনীতির ইতিহাস দেখেছেন, স্বৈরাচারী জাতীয় পার্টির ইতিহাসও জানেন, জামায়েতী ইসলামীর ইতিহাসও জানেন। ১৯৭১ সালে যে স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলো বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা ও বিএনপির চেয়ারম্যান শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। উনি স্বাধীনতা ঘোষণা দিয়ে কোন লোভ লালসা করেননি, উনি উনার ব্যারাকে ফিরে গিয়েছিলেন। কিন্তু সে সময় যে দেশের প্রেসিডেন্ট হইলেন সে কি করলেন। ১৯৭১ থেকে ১৯৭৫ দেশের মধ্যে দুর্ভিক্ষ তৈরী করেছেন। দেশের মা বোন লজ্জা নিবারণ করার জন্য রংপুরে বাসন্তির মতো জাল পরিধান করলেন।
রবিবার (১২ জানুয়ারি) মহানগর বিএনপি’র আওতাধীন নারায়ণগঞ্জ সদর থানার অন্তর্ভুক্ত ১৩নং ওয়ার্ড বিএনপি’র উদ্দ্যেগে, রাষ্ট্রীয় কাঠামো মেরামতে ৩১ দফা বাস্তবায়নে জনসম্পৃক্ততা ও শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ এবং লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান।
এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, ১৯৭১ সালের পরে দুর্ভিক্ষে দেখা গেলো মানুষের বুমি ভক্ষণ করলেন কুকুর। সে সময় উনার ছেলে শেখ জামাল-শেখ কামাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢাকসু নির্বাচনে মা-বোনদের শ্লীলতাহানি করলেন। ১৯৭৫ সালে ২৫ জানুয়ারি শেখ মুজিব ১২ মিনিটের ব্যবধানে গণতন্ত্রকে গলাটিপে হত্যা করলেন, বাকশাল কায়েম করলেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালে সিপাহী বিপ্লবের মধ্য দিয়ে যখন এই দেশে রাষ্ট্র ক্ষমতা পেলেন। উনি সর্বপ্রথম বাংলাদেশের রাজনীতিতে যে সংস্কার প্রয়োজন সেটা তিনি করলেন। বাংলাদেশের সংবিধানে বিসমিল্লাহ সংযোজন করলেন। শেখ মুজিবের একনায়কতন্ত্র বাকশাল বাতিল করে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করলেন।
তিনি বলেন, ২০০৯ সাল থেকে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থেকে কি দিলেন দেশের জনগণকে। খুন, গুম, হত্যা, আয়নাঘর, বাক স্বাধীনতা হরণ, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণ ও গণতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করা। যারাই এগুলোর প্রতিবাদ করেছে, তাদের খুম-গুম করেছে। এমনকি বাংলাদেশ থেকে তাদের হত্যা করে পার্শ্ববর্তী দেশে ফেলে দিয়েছে। বাংলাদেশের প্রতিটি ব্যাংকের অর্থ লুট করে দেশের বাহিরে পাচার করে, ব্যাংক গুলোকে শূণ্যের কোঠায় নিয়ে এসেছে। দ্রব্য মূল্যের উধ্বগতি সিমাহীনভাবে বাড়িয়ে দিয়েছে। সিন্ডিকেট করে বসুন্ধারা গ্রুপসহ বিভিন্ন গ্রুপের কাছে দিয়ে, দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। শেখ হাসিনা ও উনার বোন, ছেলে, মেয়ে, ভাগিনা, ভাগ্নি যে দুর্নিতী করেছে, বাংলাদেশের ইতিহাসে এতো দুর্নিতী কেউ করে নাই।