শুক্রবার, জানুয়ারি ১০, ২০২৫
Led01রাজনীতি

১৬ বছরে না.গঞ্জে ১৫টি ক্রসফায়ারের অভিযোগ বিএনপি’র

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: গত ১৬ বছরে সারাদেশে ২ হাজার ২৭৬ জনকে ক্রসফায়ারের মাধ্যমে হত্যার অভিযোগ এনেছে বিএনপি। তালিকা অনুসারে সবচেয়ে বেশি ক্রসফায়ার হয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগের জেলা কক্সবাজারে। এ জেলায় গত ১৬ বছর তথা ২০০৮ সাল থেকে গত ৫ আগস্ট পর্যন্ত ক্রসফায়ার হয়েছে ২০০টি। আর সবচেয়ে কম হয়েছে ময়মনসিংহ বিভাগের জেলা শেরপুরে। সেখানে মাত্র একটি হয়েছে।

তবে এ তালিকায় মানিকগঞ্জ,গোপালগঞ্জ, বান্দরবান, নওগাঁ, পঞ্চগড় ও পিরোজপুরের নাম নেই।

বৃহস্পতিবার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের পক্ষে অভিযোগটি দায়ের করেন দলটির মামলা, গুম,খুন তথ্য সংরক্ষণ সমন্বয়কের দায়িত্বে থাকা মো. সালাহউদ্দিন খান পিপিএম। এসময় উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী নুরুল ইসলাম জাহিদ।

এছাড়া ১৫৩ জনকে গুমের অভিযোগের আরেকটি অভিযোগও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনে দাখিল করেছে বিএনপি। এতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।

অভিযোগ দাখিলের পর সালাহউদ্দিন খান একটি তালিকা দেন। সেই তালিকায় চট্টগ্রাম বিভাগের চট্টগ্রাম মহানগরে ১৯ জন, কুমিল্লায় ৭৩, ফেনীতে ৫৭, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২৮, রাঙ্গামাটিতে ৭, নোয়াখালীতে ৫৪, চাঁদপুরে ৩৮, লক্ষ্মীপুরে ৮৮, চট্টগ্রামে ১০৪, কক্সবাজারে ২০০ ও খাগড়াছড়িতে ৫ জনের কথা উল্লেখ করা হয়। তবে এ বিভাগের বান্দরবান জেলার তথ্য তালিকায় নেই।

ঢাকা বিভাগের ঢাকা মহানগরে ৫২ জন, নরসিংদীতে ১১, গাজীপুরে ২১, শরীয়তপুরে ৮, নারায়ণগঞ্জে ১৫, টাঙ্গাইলে ১৫, কিশোরগঞ্জে ৭, ঢাকায় ৮, মুন্সিগঞ্জে ২৬, রাজবাড়ী ১১, মাদারীপুর ৬, ফরিদপুরে ২৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এ তালিকায় এ বিভাগের গোপালগঞ্জ ও মানিকগঞ্জের তথ্য নেই।

রাজশাহী বিভাগের রাজশাহী মহানগরে ৪৩ জন, সিরাজগঞ্জে ৪২, পাবনায় ৪৪, বগুড়ায় ১৭, রাজশাহীতে ৩৩, নাটোরে ২১, জয়পুরহাটে ২৬ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২৯ জনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এ বিভাগের নওগাঁ জেলার তথ্য তালিকায় নেই।

খুলনা বিভাগের যশোরে ৮৮ জন,সাতক্ষীরায় ৫১, মেহেরপুরে ৩৭, নড়াইলে ৮, চুয়াডাঙ্গায় ১৬, কুষ্টিয়ায় ৬২, মাগুরায় ১১,খুলনায় ৫৪,বাগেরহাটে ২৮ এবং ঝিনাইদহে ৫৯ জনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

বরিশাল বিভাগের ঝালকাঠিতে ২ জন, পটুয়াখালীতে ৯, বরিশালে ১১, ভোলায় ১২ এবং বরগুনায় ৮ জনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এ বিভাগের পিরোজপুর জেলার তথ্য তালিকায় নেই।

সিলেট বিভাগের সিলেটে ১১ জন, মৌলভীবাজারে ৫, হবিগঞ্জে ৬ এবং সুনামগঞ্জে ৪ জনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

রংপুর বিভাগের দিনাজপুরে ১৮ জন, লালমনিরহাটে ১০, নীলফামারী ৯, গাইবান্ধা ২৮, ঠাকুরগাঁও ১৭, রংপুর ২৬ এবং কুড়িগ্রামে ৬ জনের কথা রয়েছে। তবে এ বিভাগের পঞ্চগড় জেলার নাম তালিকায় নেই।

ময়মনসিংহ বিভাগের শেরপুরে ১, ময়মনসিংহে ৫৪, জামালপুরে ১১ এবং নেত্রকোণায় ৫ জনের নাম রয়েছে।

দাখিল করা অভিযোগে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ২০০৮ সাল থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত অবৈধ ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগ সরকার ও কিছু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় বিএনপির নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের অপহরণপূর্বক নির্যাতন করে, গুম করে দিনের পর দিন রেখে ক্রসফায়ারের নামে হত্যা করে। বিএনপিকে ধ্বংস ও নিশ্চিহ্ন করার জন্য এবং দল থেকে লোকজন বিচ্ছিন্ন করার জন্যই ক্রসফায়ারের নামে জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড চালায়।

তিনি আরও বলেন, ক্রসফায়ারের নামে এই হত্যাকাণ্ডে মোট ২ হাজার ২৭৬ জনকে হত্যা করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এই জঘন্য কর্মকাণ্ডে ও মিথ্যা বানোয়াট পরিকল্পনা সৃষ্টি করে ক্রসফায়ারের নামে ২২৭৬ জনদের হত্যার ন্যায়বিচার করা লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার মাধ্যমে তদন্ত করে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারের ব্যবস্থা করার জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে জোর দাবি করছি।

RSS
Follow by Email