মঙ্গলবার, ডিসেম্বর ২৪, ২০২৪
Led02রাজনীতি

ফলাফল প্রকাশ ও পুরুষ্কার বিতরণে গিয়াসউদ্দিন ‘শিক্ষার্থীদের মনকে বুঝার জন্য গুরুত্ব দিতে হবে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইভ নারায়ণগঞ্জ: কেন্দ্রীয় বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, জেলা বিএনপির সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন বলেছেন, দীর্ঘ ১৬ বছর আমরা একটা স্বৈরাতান্ত্রিক সরকারের অধিনে ছিলাম। স্বৈরাশাসক দ্বারা আমরা বিভিন্ন মামলা মোকদ্দমায় জর্জরিত ছিলাম। স্কুল-শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আমাদের কাজ করার সুযোগ ছিলো আমরা সেটা পাইনি। ২০০২ সালে আমার বাবা হিরাজিলে গিয়াসউদ্দিন মডেল স্কুলের ফলক উন্মোচন করে দোয়া করেছেন। সেখান থেকেই মূলত আমাদের যাত্রা শুরু।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকালে সিদ্ধিরগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা গিয়াসউদ্দিন ইসলামিক সিটি স্কুলের, বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ ও পুরুষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন বলেন, স্কুল কলেজ ৩টি পার্টনারের সমন্বয়ে পরিচালিত হয়ে থাকে। আমরা কতৃপক্ষ এবং যারা শিক্ষক তারা হলো ১ম পার্টনার, ২য় পার্টনার হলো আমাদের অভিভাবকবৃন্দ ও ৩য় পার্টনার হলো ছাত্র-ছাত্রী। এই ৩টি পার্টনারের সমন্বয়ে আমরা স্কুল কলেজ পরিচালনা করি। এখানে কোন পার্টনার যদি ব্যর্থ হয় তাহলে সফলতা করতে পারে না। এদের মধ্যে কেউ যদি দায়িত্ব পালন ঠিক ভাবে করতে না পারে তাহলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভালো চলবে না। এখন একটা বড় সমস্যা হয়েছে মোবাইল ফোন। মোবাইল ফোনের মধ্যে আছে জান্নাত ও জাহান্নাম। তাদের মন এখন কি চায় এটা অভিভাবকরা বুঝবেন না, তাই মনকে বুঝার জন্য ২য় পার্টনার তথা অভিভাবকদের বেশী সময় বের করতে হবে। গুরুত্ব দিতে হবে তাদের প্রতি।

শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের উদ্দেশ্য করে গিয়াসউদ্দিন বলেন, অভিভাবক মায়েদের বলবো। আপনার কণ্যা সন্তানকে ১ দিনের জন্য অথবা ১রাতের জন্যও বন্ধু বা আত্মীয়র বাসায় থাকতে দিবেন না। সে যতবড়ই আত্মীয় হোক। হতে পারে আপন ভাই, কিন্তু সেখানেও আপনাকে সাথে থাকতে হবে। কোন অবস্থায় দরজা জানালা বন্ধ করে পড়া শোনা করতে দিবেন না। সে যদি রাগ করে তাহলে খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দিবেন। আপনাকে যদি ধমকি দেয় তাহলে আপনিও তাকে ধমকি দিবেন। তারা ঘরে বসে যাতে বুঝতে পারে যে, যেকোন সময় আমার বাবা-মা ভাই আসতে পারে।

এ সময় স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।

RSS
Follow by Email