সীমান্ত হত্যা: দুটি ওয়ারেন্টসহ ৮টি মামলার ছিনতাইকারী আটক
# ছিনতাই হয়তো এত সহজে নির্মূল হবে না, তবে কমে আসবে: এসপি
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ওয়াজেদ সীমান্তকে (২০) হত্যার ঘটনায় ঘাতক ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকু ও সীমান্তের মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) প্রত্যুষ কুমার মজুমদার।
গ্রেপ্তার আসামির নাম অনিক (২৮)। সে নগরীর নয়ামাটি এলাকার মো. নয়ন ওরফে মরু সাহার ছেলে। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ছিনতাই, ডাকাতি প্রস্তুতি, মাদক মামলাসহ মোট ৮টি মামলা এবং ডাকাতির প্রস্তুতি ও মাদক মামলার ২টি গ্রেফতারী ওয়ারেন্ট আছে বলে জানায় পুলিশ।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) প্রত্যুষ কুমার মজুমদার বলেছেন, আমরা গতকাল রাতে যে ছিনতাইকারী সীমান্তকে ছুরিকাঘাত করে তাকে চাকুসহ গ্রেপ্তার করেছি এবং তার কাছ থেকে সীমান্তের মোবাইল ফোনটি জব্দ করেছি। এ ঘটনায় আরও কয়েকজন জড়িত রয়েছে। আমরা প্রাথমিকভাবে তিনজনের নাম জানতে পেরেছি। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। ছিনতাই রোধে আমরা আমাদের সিনিয়র অফিসারদের দিয়ে আমাদের মোবাইল টিমগুলো ঠিকমতো কাজ করছে কীনা তা তদারকি হচ্ছে। আমরা এটা কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। ছিনতাই হয়তো এত সহজে নির্মূল হবে না তবে অনেক কমে আসবে। আপনাদের এলাকায় যে দুষ্ট লোক আছে আমাদের আপনারা তথ্য দিয়ে সহায়তা করবেন। পুলিশ তো আর সবাইকে চেনে না। আমরা দুষ্কৃতকারীদের আইনের আওতায় আনবো।
এর আগে, ১২ ডিসেম্বর ভোর ৬টার দিকে কলেজের উদ্দেশে যাওয়ার সময় নারায়ণগঞ্জ শহরের দেওভোগ মিন্নত আলী মাজারের সামনে একদল ছিনতাইকারী ওয়াজেদ সীমান্তকে ছুরিকাঘাত করে। পরে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। ১৪ ডিসেম্বর রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।