না.গঞ্জে শহীদ পরিবারের অভিযোগ ‘চার মাসেও খোজ খবর নেয়নি সরকার’
# যথার্থ সম্মান না পাওয়া পর্যন্ত সর্বস্ব দিয়ে লড়াই চালিয়ে যাবো: সাইদুর
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: সরকারি তোলারাম কলেজ “শহীদ মানিক-রহমান-পান্থ-নাঈম স্মৃতি সংসদ” এর পক্ষ থেকে, শহীদ শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান নাঈম এর বাসায় সাক্ষাৎ করেছেন নেতৃবৃন্দ। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) পূর্বঘোষিত সরকারি তোলারাম কলেজের শহীদ চার পরিবারের সাথে সাক্ষাতের অংশ হিসেবে ওই সাক্ষাত করেন তারা। এর আগে বৃহস্পতিবার শহীদ মানিক মিয়া (শাহরিক চৌধুরী)’র বাসায় সাক্ষাতে গিয়েছিলেন সংসদের নেতৃবৃন্দরা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্মৃতি সংসদ এর অন্যতম সংগঠক সাইদুর রহমান, মুন্নি আক্তার প্রত্যাশা, রাইসা ইসলাম, সিয়াম হাওলাদার, আয়াতুল ইসলামসহ নেতৃবৃন্দ।
সাইদুর রহমান বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আমরা একটি নতুন সম্ভাবনার বাংলাদেশে উপনীত হয়েছি। এই অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ১৬ বছরের ফ্যাসিস্ট শক্তির পতন ঘটেছে। বাংলাদেশকে একটি গণতান্ত্রিক রূপান্তরের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সাম্য, মানবিক মর্যাদা এবং সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা তৈরী হয়েছে। এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে ২৪ এবং ৭১ এর চেতনাকে বাস্তবায়ন করতে চাইলে আমাদের প্রয়োজন নিজেদের ঐক্যবদ্ধতা বজায় রাখা এবং এই অভ্যুত্থানের আহত ও নিহতদের সর্বোচ্চ সম্মান প্রদর্শন। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক একটি বিষয় হলো, আমাদেরকে শহীদ মেহেদী হাসান নাঈম এর বাবা জানালেন এখনো পর্যন্ত সরকারি বা বেসরকারি কোনো আর্থিক অনুদান তাদের পর্যন্ত পৌছায়নি। এমনকি ৪ মাস পার হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে কেউ তাদের খোজ-খবর নেয়নি। আমরা “শহীদ মানিক-রহমান-পান্থ-নাঈম স্মৃতি সংসদ”র পক্ষ থেকে এর তীব্র নিন্দা জানাই।
আমরা প্রতিজ্ঞা করছি যে, তোলারাম কলেজের চার শহীদসহ সকল শহীদদের যথার্থ সম্মান না পাওয়া পর্যন্ত আমরা “শহীদ মানিক-রহমান-পান্থ-নাঈম স্মৃতি সংসদ” আমাদের সর্বস্ব দিয়ে লড়াই চালিয়ে যাবো। শহীদ নাঈমের পরিবারকেও আমরা তা আস্বস্ত করেছি, তাদের প্রাপ্য সম্মান না মেলা পর্যন্ত আমদের স্মৃতি সংসদ তাদের পাশে থাকবে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে আমাদের একটি প্রতিনিধি দল জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনে গিয়ে তাদের সাথে এ বিষয়ে কথা বলবে।
সাইদুর রহমান আরও বলেন, গতকাল শহীদ মানিক মিয়ার বাসায় যাওয়ার পর তার বাবা আমাদের কাছে দাবি জানিয়েছেন তাদের গ্রামের পার্শ্ববর্তী মুক্তারপুর ব্রীজ কে শহীদ মানিক মিয়া শাহরিকের নামে নামান্তর করার। আমরা তার এই দাবির সাথে ঐক্যমত্য পোষণ করি এবং এই নামান্তরের জন্য আমাদের চেষ্টা চালিয়ে যাবো।
আমাদের এই চেষ্টার সাথে সকলের অংশগ্রহণ এবং সমর্থন আশা করছি।
উল্লেখ্য, আগামী ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষে “বিজয় মেলা” অনুষ্ঠিত হবে। বিজয় মেলায় “শহীদ মানিক-রহমান-পান্থ-নাঈম স্মৃতি সংসদ” এর স্টল থাকবে যেখানে প্রদর্শন করা হবে চার শহীদের বিভিন্ন স্মৃতি।