ভারত সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা সৃষ্টি করলে, বাংলাদেশের মানুষ চুপ থাকবে না: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নৌ পরিবহন ও শ্রম এবং কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডয়ার জেনারেল (অব:) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, প্রতিবেশী দেশ ভারত যদি সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করে বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ চুপ করে বসে থাকবে না। ভারতীয় কিছু মিডিয়া ও রাজনৈতিকবিদ এই অস্থিরতা সৃষ্টির পেছনে ইঙ্গিত দিচ্ছে। ভারত- বাংলাদেশের যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে তা নষ্ট হলে ভারতের ক্ষতি হবে, বাংলাদেশ নয়। ভারতের কিছু মিডিয়া ও পলিটিক্যাল পার্টি ভোট পাওয়ার জন্য এটা (সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা) করছে। বাংলাদেশ যদি অস্থিতিশীল হয় তাহলে তারাও ভালো থাকতে পারবেন না। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের যে সম্পর্ক সেটি নিয়ে দেশটির সরকার সমতার ভিত্তিতে এগিয়ে যাবে।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) রায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের মাল্টিপল জেটি ও আধুনিক লঞ্চঘাট নির্মাণ পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, নারায়ণগঞ্জে এক সময় পাটের ব্যবসা ছিলো। এটাকে প্রাচ্যের ডান্ডি বলা হইতো। পাট না থাকলেও এখন নানা ধরণের ব্যবসা হচ্ছে। এখানে প্রোজেক্ট হচ্ছে আমরা যদি এসে না দেখি তাহলে সময় মতো এটা করবে না। এটা যদি বাধা দেয়া হয় তাহলে কাজ হবে না। ওয়ার্ড ব্যাংক যখন কিছু করে তখন টোটাল পরিকল্পনা করে করে। এখানে গাছ লাগবে কিনা লাগবে না সেটাও দেখবো। পরিবেশ নিয়ে আমরাও অনেক চর্চা করি। গরিবদের সম্পর্কে আমরা সচেতন। তাই তাদের এত হৈ চৈ করার দরকার ছিল না। এগুলো বলে লাভ নেই। উন্নয়ন হবে পাশাপাশি পরিবেশের দিকেও লক্ষ্য রাখা হবে। ডেভোলাপমেন্ট হবে পরিবেশ নিয়েও হবে। আমরা বুড়িগঙ্গা নদী পরিচ্ছন্নতার জন্যেও আলোচনা করেছি।
তিনি বলেন, যেসব এসব গার্মেন্ট বন্ধ হয়েছে। এখানে শ্রমিকের দোষ দিলে গবে না, কি ধরনের ষড়যন্ত্র হচ্ছে তা টের পাচ্ছে সরকার। এছাড়া যেসব পোশাক কারখানা ঋণগ্রস্থ, যেসব গার্মেন্টসের মালিক পাওয়া যাচ্ছে না, এগুলোর বিষয়ে আগামি সপ্তাহে নির্দেশনা দেওয়া হবে
এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আমি যদি পারি নিজে পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের ডেকে নিয়ে আসবো৷ শীতলক্ষ্যা নদীর পানি দূষণ হচ্ছে এটা আমাদেরও চিন্তার বিষয়। এখানে পানি ময়লা, মাছ হচ্ছে না। এগুলো তো চলতে পারে না। শীতলক্ষ্যা নদীসহ দেশের সব নদী দূষণ রোধে পরিবেশ ও নৌ-মন্ত্রণালয় সব ধরনের সহযোগিতা করবে। নদী রক্ষা কমিশনের মাধ্যমে নদী দখল রোধে অচিরেই কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।