চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের মুক্তির দাবিতে নগরীতে বিক্ষোভ
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সনাতনী জাগরণ জোট নারায়ণগঞ্জ জেলার উদ্যোগে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় সংগঠনের মুখপাত্র হিসেবে মানিক চন্দ্র সরকার, লিটন চন্দ্র পাল, এড. রঞ্জিত চন্দ্র দে, লিটন ঘোষ, কৃষ্ণ দাস কাজল, সুজন দাসসহ বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকে আগত হিন্দু নেতৃবৃন্দরা বক্তব্য রাখেন। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু রোডে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মানববন্ধন থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেন নেতৃবৃন্দ।
এতে তারা উল্লেখ করেন, দীর্ঘ ১৫ বছর ও এর আগে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের উপর যে পরিমাণ নির্যাতন ও নিপীড়ন হয়েছে, আজও তার কোন বিচার হয়নি। বর্তমানে ১৫ ই আগস্ট এর পর বেশকিছু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে ,আপনারা সবাই তা জানেন। অন্তর্বর্তী সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা বিদেশ সফরের সময় সংখ্যালঘু নির্যাতন চিরতরে বন্ধ করতে একটা ইন্টারন্যাশনাল সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। তাতে হিন্দু সম্প্রদায় আপনার প্রতি তাদের আশার আলো খুঁজে পেয়েছে। পরিবর্তীতে বিগত সরকারের আমলে বঞ্চিত বাংলাদেশের সনাতনী সম্প্রদায়ের পক্ষে সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোট সনাতনী সম্প্রদায়ের সুরক্ষায় বাংলাদেশে সনাতনীদের অভিভাবক সাধু সন্ত মন্ডলীর মুখপাত্র শ্রীমান চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর নেতৃত্বে সরকার বরাবর ৮দফা দাবি পেশ করেন এবং বিভিন্ন বিভাগীয় পর্যায়ে কয়েকটি সনাতনী মহাসমাবেশ করেন। তাতে দেশের হিন্দু আপামর জনতা স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করে তারা সাধু সন্তদের সাথে ঐক্যমত প্রকাশ করেন।
পূর্ব সরকারের দোসরাসহ প্রশাসনে ঘাপটি মেরে থাকা ও হিন্দু বিদ্বেষী মনোভাব সম্পন্ন কিছু চক্র বর্তমান সরকারের ভাবমূর্তি দেশ ও আন্তর্জাতিকভাবে নষ্ট করতে শ্রীমান চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী সহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা, চট্টগ্রামের হাজারী গলিতে কিছু নিরপরাধ ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলাসহ গত ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রাম যাওয়ার সময়সময় ঢাকা এয়ারপোর্ট থেকে শ্রীমান চিনময় দাস ব্রহ্মচারী প্রভুকে গ্রেফতার করে ডিবি অফিসে নিয়ে যায় এবং সেখান থেকে তাকে চট্টগ্রামে প্রেরণ করা হয়। সে সময় তার মুক্তির দাবিতে ঢাকার শাহবাগে আন্দোলনকারীদের উপর একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. কুশল বরণ চক্রবর্তী সহ কিছু আন্দোলনকারীদের উপর আচমকা অতর্কিত বর্বরোচিত হামলা পরিচালনা করে তাদের মাথা ফাটিয়ে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখম করে আহত করে। বর্তমানে তারা চিকিৎসাধীন আছে। তাই অন্তর্বর্তী সরকার সহ রাষ্ট্রের নাগরিকদের সুরক্ষা করা প্রতিটা সরকারের পবিত্র দায়িত্ব।
ইতিমধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আট দফা দাবির মধ্যে দূর্গাপূজায় পাঁচদিনের ছুটির দাবির জায়গায় একদিন থেকে দুইদিন করেছেন, এজন্য সনাতনী সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে সরকারকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা অভিনন্দন জানাই। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সনাতনী সম্প্রদায়ের বিনীত নিবেদন, অবিলম্বে যুগোপযোগী ৮ দফা দাবি বাস্তবায়ন ও দাবী আদায় করতে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে যে সমস্ত মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে তা অবিলম্বে প্রত্যাহার সহ শ্রীমান চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর নিঃশর্ত মুক্তি ও শাহাবাগে আন্দোলকারীদের উপর হামলাকারীদের খুঁজে বের করে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। তাহলে হিন্দু সম্প্রদায় তারা তাদের ঘরে ফিরে যাবে।