সিটি কর্পোরেশন ও সিভিল সার্জনের ব্যর্থতার প্রতিবাদে গণসংহতির পথসভা
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: ডেঙ্গু প্রতিরোধে সিটি কর্পোরেশন ও সিভিল সার্জনের ব্যর্থতার প্রতিবাদে গণসংহতি আন্দোলন পথসভা করেছেন। সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকাল ১১ টায় গণসংহতি আন্দোলন, ১২ নং ওয়ার্ড কমিটির উদ্যোগে ওই পথসভা করেন। এ সময় পথসভাটি ১২ নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে গণসংযোগ করে। ডনচেম্বারের মোড়ে পথসভা শুরু হয়ে খানপুর হাসপাতাল, সর্দারপাড়া, খানপুর বৌ বাজার হয়ে মিশনপাড়ার মোড়ে এসে শেষ হয়।
গণসংহতি আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ মহানগরের ১২ নং ওয়ার্ড কমিটির সদস্য সচিব মানিক হাওলাদার’র সঞ্চালনায় ও যুগ্ম আহ্বায়ক শাহজালাল খন্দকারের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন গণসংহতি আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলার সমন্বয়কারী তরিকুল সুজন, মহানগর কমিটির সমন্বয়কারী নিয়ামুর রশীদ বিপ্লব, জেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী সমন্বয়কারী আলমগীর হোসেন আলম, নারী সংহতি’র জেলা আহ্বায়ক নাজমা বেগম, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি ফারহানা মানিক মুনা, সহ-সভাপতি সাইদুর রহমান, মহানগর কমিটির সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ বকুল, ১২ নং ওয়ার্ড কমিটির সদস্য স্বাধীন মিয়া, ১৩ নং ওয়ার্ড সংগঠক জয়দেব প্রমুখ।
পথসভায় ডনচেম্বার এলাকার বাসিন্দা এবং জেলা কমিটির ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী সমন্বয়কারী আলমগীর হোসেন আলম বলেন, বর্তমানে সারা দেশের মতো নারায়ণগঞ্জেও ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব প্রচন্ডভাবে দেখা দিয়েছে। নারায়ণগঞ্জেট ডেঙ্গু পরিস্থিতির এই অবস্থার জন্য দায়ী নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন ও সিভিল সার্জনের উদাসীনতা ও নিষ্ক্রিয়তা এবং জনগণের অসচেতনতাও দায়ী।
নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা নারায়ণগঞ্জ সিভিল সার্জনকে এক সাপ্তাহ সময় দিয়েছি, যদি এর মধ্যে ডেঙ্গু পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হয় তাহলে আমরা সিভিল সার্জন অফিস ঘেরাও করবো। প্রয়োজনে সিটি কর্পোরেশনও আমরা ঘেরাও করব এবং নারায়ণগঞ্জের জনগণকে নিয়ে কঠোর থেকে কঠোরতর আন্দোলন গড়ে তুলবো।
আমাদের এই আন্দোলন জনগণের অধিকারের আন্দোলন এবং জনগণের অধিকার বাস্তবায়নের জন্য আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
সভাপতির বক্তব্যে শাহজালাল খন্দকার বলেন, জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাস এডিস মশার প্রজনন কাল হিসেবে ধরা হয়। কিন্তু এডিস মশার প্রজনন রোধে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন পুরোপুরি ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। যার কারনে এখন ঘরে ঘরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। বিগত কয়েক বছর যাবত ডেঙ্গুতে আক্রান্তের গ্রাফ উর্ধ্বমূখী। আমরা বার বার সিটি কর্পোরেশন কতৃপক্ষকে ডেঙ্গু প্রতিরোধ বিষয়ে যথাযথ উদ্যেগ গ্রহনে আহ্বান জানিয়েছি। কিন্তু নাসিক প্রশাসন ডেঙ্গু প্রতিরোধে পুরোপুরি ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। সরকারি হাসপাতালের বাইরে বেসরকারি হাসপাতাল ও বাসা বাড়িতে অসংখ্য ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। ডেঙ্গু এখন মহামারি আকার ধারন করেছে। এখনই ডেঙ্গু প্রতিকারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন না করলে নারায়ণগঞ্জের মানুষজন জীবন নিয়ে হুমকিতে পড়বে।