এমপি হওয়ার প্রত্যাশায় যারা মনোনয়ন চান তাদের স্বাগত জানাই: গিয়াসউদ্দিন
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন বলেন, এই সারা এলাকায় এমপি হওয়ার প্রত্যাশা রাখে এবং আমার দল বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেতে চায় এমন সবাইকে আমি স্বাগত জানাই। কারণ তারা আন্দোল সংগ্রাম করেছেন, আর এখন তারা নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য এগিয়ে এসেছেন। আমি তাদেরকে অগ্রিম শুভেচ্ছা জানাই। নির্বাচনে যে ই মনোনয়ন পাক আমরা ধানের শীষের পক্ষে কাজ করবো। কিন্তু এর আগে কোন গ্রুপিং করবেন না। উল্টো আর চেষ্টা করবেন আমার দলের ক্যান্ডিডেটের সংখ্যা বেড়ে যাক, হোক সেটা কাউন্সিলর মেয়র বা পার্লামেন্টের মেম্বার। এভাবেই দল এগিয়ে গেলেই আপনি আমি গর্ব করতে পারবো আমাদের নিয়ে। নারায়ণগঞ্জের প্রত্যেকটি এলাকায় মনোনয়নের জন্য বিভাজন শুরু হয়েছে। আমরা চাই আপনারা এগুলো পরিহার করুন। আল্লাহ না চাইলে আপনি কখনো জিততে পারবেন না।
শনিবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জে ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি দিদারুল আলমের মৃত্যুতে এক দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এসময় উপস্থিত থেকে একথা বলেন সাবেক সংসদ সদস্য গিয়াসউদ্দিন।
এসময় তিনি আরও বলেন, আমরা দিদারুল আলমের রুহের মাগফেরাত কামনা করি। সে জীবনের শেষ সময়ও রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করে গেছেন। বিএনপির জন্য সে অনেক অবদান রেখেছেন। আগামীতে কাউন্সিলার নির্বাচন, মেয়র নির্বাচন ও সংসদ নির্বাচন হবে। এখনো অনেকে মনের মধ্যে স্থির করে রেখেছেন আগামীতে নির্বাচন হলে আপনি কোন পদে দাঁড়াবেন কারণ এখন আর কোন আটক হবার বা অন্যকিছুর ভয় নেই। দলের নেতাকর্মীরা নির্বাচন করার আশা পোষন করবে এটাই স্বাভাবিক। তবে আমি কাউন্সিলারে পদে দাঁড়ালাম, আমার প্রতিদ্বন্দ্বী কেউ যখনই দাঁড়াবে তখন থেকে তার বিরুদ্ধে কথা বলবো, তার বিরুদ্ধে কাজ করবো এটা ঠিক নয়। আমি বাদে যদি কেউ মনোনয়ন চায় তাহলে আমি তাকে দুশমন ভেবে নিবো এই চিন্তা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। এটা নির্বাচনে কাউন্সিলর মেয়র বা সংসদ সদস্য পদে যত বেশি প্রার্থী হবে ততই আমার দল শক্তিশালী হবে। মনোনয়ন চাওয়া একটা কর্মীর অধিকার। একটা অধিকার যদি কেউ প্রয়োগ করার জন্য চায়, তাহলে কেন তার বিরুদ্ধে আমরা কাজ করবো। আমাদের চিন্তা করতে হবে যে আমাদের দল এতই বড় মাপকাঠির যে অনেক কর্মীরা কাউন্সিলর হওয়ার যোগ্যতা রাখে। এটা আমাদের দলের গৌরব আমাদের গৌরব। আমাদের আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রাখতে হবে কিন্তু অনেকে যখন কাজ করেন তখন আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রাখেন না।
সাবেক সংসদ সদস্য আরও বলেন, নির্বাচন আমার যা প্রতিদ্বন্দী আছে তারা যদি মেরে বা সরিয়ে ফেলতে না পারি বা সাইজ করতে না পারি তাহলে তো আমি জিততে পারবো না এই চিন্তা থাকে অনেকের। আজ আপনি যার বিরুদ্ধে এ চিন্তা করছেন, নির্বাচন পর্যন্ত আপনি বেঁচে থাকবেন তার কি গ্যারান্টি আছে। তাহলে আপনি কোন আশায় এ ধরনের কাজগুলো করেন। মনোনয়ন আসলে এমপি হবো কিন্তু মনোনয়ন আসার আগে যদি বেঁচে না থাকি? নির্বাচনের দিন আমি বেছে নাও থাকতে পারি। বিজয় দেওয়ার মালিক একমাত্র আল্লাহ। তাই আসেন আল্লাহর উপর বিশ্বাস রাখি। দলের কোনো নেতার বা কর্মীর বিরুদ্ধে আমরা কোন ধরনের কাজ করবো না, কারো বিরুদ্ধে কিছু বলবোও না। আমাকে আল্লাহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান করেছেন, একপর্যায়ে পার্লামেন্টের মেম্বার ও করেছেন। আমি সিদ্ধিরগঞ্জের একটি ছোট পরিবারের সন্তান। কিন্তু আমাকে এতদূর নিয়ে গেছেন একমাত্র আল্লাহ। আর সাথে সহযোগিতা করেছে আমার বিশাল কর্মী বাহিনী। তারাই এগিয়ে এসে আমার জন্য সাহায্য সহযোগিতা করেছে। আল্লাহ যদি না চাইতেন তাহলে আমি এতদূর আসতে পারতাম না।
গিয়াস উদ্দিন বলেন, দলের অনেকে ৫ তারিখের পর বিপথগামী হয়েছে। তারা নিজেরাই সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে বক্তৃতা দেয়। এই লজ্জা ঢাকার না। যারা এই অপকর্মে লিপ্ত তাদের বলতে চাই, সাবধান হয়ে যান মানুষের চোখ কান্নার সব খোলা। তারা সব দেখতে পায়, এরপর আপনি হাজারটা ভালো কাজ করলেও আপনার এই দাগ মুছবে না।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি মো: মাজেদুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক কাউন্সিলর মো: ইকবাল হোসেনের সঞ্চালনায় এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন, মোস্তফা কামাল, রওশন আলী, ডিএইচ বাবুল, এস এম আসলাম, জিএম সাদরিল, একেএম সামছুল হক, সেলিম মাহমুদ, যুগ্ন সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন স্বাধীন, সাংগঠনিক সম্পাদক আকবর হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ও নাসিক ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ডা. মাসুদ করিম, ত্রান ও পূনর্বাসন সম্পাদক এবং ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো: তৈয়ব হোসেন, ১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন, ২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি মোহাম্মদ আলী, সাধারণ সম্পাদক মোক্তার হোসেন, ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব আলী মুন্সি, ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান, ৬ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি মোস্তফা, ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি সহ-সভাপতি সাইফুর রহমান বাদল, সাধারণ সম্পাদক জামান মির্জা, ১০ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি আনিস শিকদার ও সাধারণ সম্পাদক জামাল হোসেনসহ প্রমূখ।