ব্যাটারি কারখানায় চাঁদা নেয়ার অভিযোগ, ভাগাভাগি নিয়ে দুই নেতার দ্বন্দ্ব
লাইভ নারায়ণগঞ্জ, বন্দর করেসপন্ডেন্ট: বন্দরে চাইনিজদের মালিকানাধীন একটি ব্যাটারি কারখানা থেকে ১০ লাখ টাকা চাঁদা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় দুই বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে। বন্দর থানাধীন লক্ষণখোলা এলাকায় ওই কারখানাটি বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দিয়েছেন তারা।
অভিযুক্তরা হলো, বন্দর ২৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ফারুক হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান সাউদ ওরফে চুন্নু মিয়া। তারা দুই দফায় ৫ লাখ টাকা করে চাঁদার টাকা গ্রহণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ডংজিন ব্যাটারী ফ্যাক্টরীর ভেতরে অবস্থিত সিসিটিভির ফুটেজে চাঁদা নেয়ার দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
কারখানা কর্তৃপক্ষ জানান, স্থানীয় ওয়ার্ড বিএনপির দুই নেতা সরাসরি এসে পরিবেশ দুষিত হচ্ছে এই অজুহাত তুলে ২০ লাখ টাকার চাঁদা দাবি করে। অন্যথায় ব্যাটারী কারখানাটি বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দেয়। পরে আপোষ রফায় গত ১০ অক্টোবর এবং ১৫ অক্টোবর দুই দফায় কারখানার অফিস থেকে ৫ লাখ করে চাঁদা নিয়ে যায় বিএনপির এই দুই নেতা।
এদিকে, আদায়কৃত টাকা ভাগাভাগি নিয়ে ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ফারুক হোসেনের সাথে সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান সাউদ ওরফে চুন্নু মিয়ার বিরোধ বাঁধে। এই বিরোধের জের ধরে গত পহেলা নভেম্বর সন্ধ্যা লক্ষণখোলা মাদ্রাসা স্ট্যান্ড সংলগ্ন চুন্নুর অফিসে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জের ধরে ওয়ার্ড বিএনপির সেক্রেটারী কামরুল হাসান সাউদ ওরফে চুন্নু মিয়া তারই সংগঠনের সভাপতি ফারুক হোসেন,স্থানীয় ব্যবসায়ী সাজু,রাজু,বাবুসহ ১২ জনকে মাদক ব্যবসায়ী বানিয়ে বন্দর থানায় এজাহার দায়ের করেন।
এদিকে চুন্নু মিয়া টেলিফোনে এ প্রতিবেদককে জানান, তার সংগঠনের সভাপতি ফারুক হোসেন এবং তার পরিবারের সদস্যরা দীর্ঘদিন থেকে মাদক ব্যবসায় জড়িত। এছাড়া মামলার এজাহারের যাদের নাম দেয়া হয়েছে তারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি ও মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। পহেলা নভেম্বর মাদক বিরোধী শোডাউন করায় ২৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ফারুক হোসেন ও বাহিনীর সদস্যরা তার অফিসে ঢুকে হামলা চালিয়েছে। ডংজিন ব্যাটারী ফ্যাক্টরী থেকে ১০ লাখ টাকা চাঁদা উঠানোর অফিযোগ সত্য নয় বলে দাবি করেন তিনি।