আদমজী জুট মিল চলাকালে এখানে কেউ আত্মীয়তা করতে চাইতো না: মাজেদুল ইসলাম
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি মাজেদুল ইসলাম বলেন, যখন আদমজী জুট মিল চালু ছিল, তখন এই কদমতলী এলাকায় কেউ আত্মীয়তা করতে চাইতো না। কারণ এই আদমজী জুটমিলে ককটেল এবং বাংলা মদের সৃষ্টি হয়েছে। তখন গিয়াস উদ্দিন দোয়া করেছিলেন যদি আল্লাহ কখনো তাকে ক্ষমতা দেন তাহলে এই আদমজী ঝুট মিলকে বন্ধ করবে। এরই প্রেক্ষিতে ২০০১ সালে যখন বিএনপি ক্ষমতায় আসে তখন গিয়াস উদ্দিন ম্যাডাম খালেদা জিয়ার সামনে বলেছিল, এই জুটমিল বন্ধ করে ইপিজেড সিস্টেমে চালু করতে হবে। তাহলে এই এলাকার উন্নয়ন হবে। সেই সুবাদে আজ এই ইপিজেড এর সৃষ্টি হয়েছে।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী এলাকায় এম ডব্লিউ স্কুল এন্ড কলেজের প্রাঙ্গনে মাদক-চাদাবাজী-সন্ত্রাস রোধে জনসমাবেশজনসভায় করে জেলা বিএনপি। জনসাঅয় এক বক্তব্য একথা বলেন মাজেদুল ইসলাম।
এসময় তিনি আরও বলেন, এখান থেকে আওয়ামী লীগের সন্ত্রসীরা অনেক টাকা নিয়ে যাচ্ছে। এই টাকাটা আমাদের দলের কিছু নেতৃবৃন্দের সুবাদে তারা নিয়ে যেতে পারছে৷ আমরাই ব্যবসা চলতে দিতে পারি না। দুষ্কৃতিকারীদের এলাকায় থাকার সুযোগ নাই। যারা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সাথে ঘর সংসার করেন, প্রয়োজনে তাদেরকেও বয়কট করব। আমরা সিদ্ধিরগঞ্জ বিএনপি হচ্ছে জেলা কমিটির সাথে জড়িত এবং অন্য সংগঠন গুলো মহানগর বিএনপির সাথে জড়িত। আমার দাবি অন্য সব অঙ্গসংগঠনগুলোর, জেলা বিএনপির সাথে এবং সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সাথে সম্পৃক্ত করা হোক।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি মো: মাজেদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক মো: আকবর হোসেনের সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজীব, কেন্দ্রীয় জাসাস এর সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আনিসুল ইসলাম সানি, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন, ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি খন্দকার মনিরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি সুলতান মাহমুদ মোল্লা, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন, ফতুল্লা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারী ভূঁইয়া, বিএনপি নেতা এডভোকেট হাবিবুর রহমান মাসুম, যুবদল নেতা শহীদু ইসলাম প্রমূখ।