শুক্রবার, নভেম্বর ১, ২০২৪
Led02Led03স্বাস্থ্য

ডেঙ্গু সংক্রমণ রোধে এনসিসির ৩৯টি ‘হটস্পট’ চিহ্নিত হয়েছে

# হটস্পটে কাজ করবে মেডিকেল টিম: সিইও জাকির হোসেন
#ডেঙ্গু সংক্রমন রোধে মশার উৎপত্তি স্থলে আমাদের কাজ করতে হবে: সিইও জাকির হোসেন

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: প্রতিনিয়তই বাড়ছে ডেঙ্গু সংক্রমণ জনিত রোগীর সংখ্যা। সরকারি হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে রোগীর চাপ, বেড খালি না থাকায় বাধ্য হয়ে ফ্লোরেই চিকিৎসা নিচ্ছেন অনেকে। ডেঙ্গুর এই প্রকোপ ঠেকাতে নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে জেলা স্বাস্থ বিভাগ ও নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন। সেই ধারাবাহিকতায় ডেঙ্গু মশা জন্ম ও ভাইরাস ছড়ায় এমন ৩৯ টি স্থান চিহ্নিত করেছে সিটি কর্পোরেশন। এই স্থানগুলোকে ডেঙ্গুর ‘হটস্পট’ বলে আখ্যা দিয়েছে তারা। সিটি কর্পোরেশন অঞ্চলের চিহ্নিত এই হটস্পট গুলোতেই পরিষ্কার-পরিচ্ছেন্ন অভিযান চালাবে এক মেডিকলে টিম।

তালিকা অনুযায়ি সিটি কর্পোরেশনের সেই ৩৯টি হটস্পট হলো,

১। ৪ নং ওয়ার্ডে আটিগ্রামের ভাঙ্গাপ্রেস এলাকার ডোবা,
২। ৪ নং ওয়ার্ডে মাঠবাড়ি পুকুরপাড় ও তার আশেপাশের ডোবা,
৩। ৬ নং ওয়ার্ডে সুমিলপাড়া রেললাইনে পাশের ডোবা,
৪। ৮ নং ওয়ার্ডে ডিএন্ডডি এর খাল,
৫। ৮ নং ওয়ার্ডে আইলপাড়া এলাকায় বদ্ধডোবা,
৬। ১৬ নং ওয়ার্ডে বাবুরাইল লেকের দক্ষিনের ডোবা,
৭। ১৬ নং ওয়ার্ডে নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও হাসপাতালের পূর্বসাইডে পুকরের সাথে ময়লা ফেলার জায়গা,
৮। ১৬ নং ওয়ার্ডে এলএন রোডের ডোবা,
৯। ১৮ নং ওয়ার্ডে নইল্লাপাড়া ডোবা,
১০। ১৮ নং ওয়ার্ডে আলামিন নগর এলাকার ডাম্পিং স্পট,
১১। ১৬ নং ওয়ার্ডে দেওভোগ বড় মসজিদ পাক্কা রোড পুকুর,
১২। ১১ নং ওয়ার্ডে তল্লা নতুন রোড রেললাইন পুকুর,
১৩। ১১ নং ওয়ার্ডে তল্লা কিল্লারপুর পুকুর,
১৪। ১৫ নং ওয়ার্ডে ডাইলপট্টি পরিত্যক্ত প্লট,
১৫। ১৬ নং ওয়ার্ডে নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্র-৩ আবর্জনাযুক্ত পুকুর,
১৬। ১৪ নং ওয়ার্ডে বাজনাপাড়া এর পিছনে পুকুর,
১৭। ১২ নং ওয়ার্ডে উত্তর চাষাড়া রামবাবুর পুকুর পাড়ের পূর্ব দিকে পুকুর,
১৮। ১৭ নং ওয়ার্ডে নয়াপাড়া আবর্জনাযুক্ত পুকুর,
১৯। ১৮ নং ওয়ার্ডে ডিয়ারা সরদারগলি আবর্জনাযুক্ত পুকুর,
২০। ৯ নং ওয়ার্ডে সস্স্তাপুর খাল,
২১। ৭ নং ওয়ার্ডে ফকিরাপুল খাল,
২২। ১২ নং ওয়ার্ডে বার একাডেমি আবর্জনা,
২৩। ২২ নং ওয়ার্ডে বি, এম, স্কুল ঘাট আবর্জনা,
২৪। ১৬ নং ওয়ার্ডে বায়তুন নূর জামে মসজিদ এর পশ্চিমে ডোবা,
২৫। ১৬ নং ওয়ার্ডে ডা: ফাতেমা শিরীন এর বাড়ির পিছনে ডোবা,
২৬। ১৭ নং ওয়ার্ডে ভূঁইয়াপাড়া ডোবা ও আবর্জনা,
২৭। ১৩ নং ওয়ার্ডে শ্বাশ্মানের পিছনে ডোবা,
২৮। ১৪ নং ওয়ার্ডে দাতা সড়ক, মাদ্রাসা গুলি ডোবা,
২৯। ১২ নং ওয়ার্ডে বউবাজার ডোবা,
৩০। ১৬ নং ওয়ার্ডে কাজীর দেওয়ানের বাড়ী আবর্জনা,
৩১। ১৮ নং ওয়ার্ডে কৃষিপাড়া আবর্জনা নিম্নভূমি আবর্জনা,
৩২। ২ নং ওয়ার্ডে হিরাঝিল খাল,
৩৩। ৩ নং ওয়ার্ডে ডেমরা রোড ৪টি ডোবা,
৩৪। ১৪ নং ওয়ার্ডে জিউস পুকুর আবর্জনাযুক্ত পুকুর,
৩৫। ১৭ নং ওয়ার্ডে আমেনা মঞ্জিল পাইকপাড়া আবর্জনা,
৩৬। ১৬ নং ওয়ার্ডে এল. এন. রোড বদু এর বাড়ি ডোবা,
৩৭। ১১ নং ওয়ার্ডে তল্লা বড় মসজিদ ডোবা,
৩৮। ১০ নং ওয়ার্ডে চিত্তরঞ্জন খাল ও
৩৯। ১৪ নং ওয়ার্ডে পানির ট্যাংকি শাহপাড়া খাল।

এ বিষয়ে সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকির হোসেন লাইভ নারায়ণগঞ্জকে বলেন, আমরা ডেঙ্গু প্রতিরোধে কাজ করছি। সিটি কর্পোরেশন এলাকায় প্রায়ই মশা নিধন গ্যাস দিচ্ছি। তবে বিভিন্ন হাসপাতাল কতৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি। রোগীদের অবস্থান ও এলাকা পর্যালোচনা করে আমরা সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ৩৯ টির মতো স্থান বা স্পট চিহ্নিত করেছি যেখানে ডেঙ্গু মশার জন্ম হচ্ছে এবং সংক্রমন ছড়াচ্ছে। এই স্পটগুলোতে আমাদের বিশেষ টিম যাবে। দৈনিক মশক নিধন কাজের পাশাপাশি এই হটস্পটগুলোতে ডেঙ্গু জ্বরের উৎপত্তিস্থল অর্থাৎ, এডিস মশা জন্ম নেয় এমন অঞ্চলে আমরা কাজ করবো। নোংরা জায়গা পরিষ্কার করে এডিস মশার বাসস্থান দূর করবো। ডেঙ্গুর সংক্রমন রোধ করতে হলে মশার উৎপত্তি স্থলেও আমাদের কাজ করতে হবে।

RSS
Follow by Email