কোটা আন্দোলন নিয়ে এস এ মালেকের চমৎকার রিকশাচিত্র
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: কোটা সংস্কার আন্দোলনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারান আবু সাঈদ ও মীর মাহফুজুর রহমান (মুগ্ধ)। তাদের স্মরণে রিকশাচিত্র তৈরী করেছেন আর্টিষ্ট এস.এ.মালেক ।
রংতুলিতে আঁকা সেই ছবিতে দেখা যায় ,কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত ব্যক্তিদের কোলে করে নিয়ে যাচ্ছে আন্দোলনকারীরা। এক পাশে পুলিশ গাড়ির উপর থেকে নিহত ব্যক্তির লাশ নিচে ফেলে দিচ্ছে । অন্যপাশে রিক্সায় করে আহত ব্যক্তিদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ৷ এক পাশে আন্দোলনের একটা চিত্র তুলে ধরেন ৷
আর্টিষ্ট এস. এ. মালেক বলেন,রিকশাচিত্র শিল্পীদের নিয়ে কুমিল্লায় এক কর্মশালার আয়োজন করা হয় ৷ সেখানে কর্মশালায় আমি প্রশিক্ষক হিসাবে ছিলাম ৷
কর্মশালায় আমি কোটা সংস্কার আন্দোলনে কিছু চিত্র তুলে ধরেছি। কোটা সংস্কার আন্দোলনে গিয়ে শহীদ সাইদ ও মুগ্ধর মতোই প্রাণ দিয়েছেন আরও অনেক শিক্ষার্থী ও বহু মানুষ। পর্যায়ক্রমে কোটা সংস্কার আন্দোলন সংগ্রামে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগের আরও গল্প ছবিতে তুলে ধরব। কোটা সংস্কার আন্দোলন সংগ্রামের চিত্র তুলে ধরতে হবে নতুন প্রজন্মের কাছে ।
তিনি বলেন,রাজধানী ঢাকায় প্রবেশ করলেই যে বাহনটি সবচেয়ে বেশি চোখে পড়রে সেটি হলো তিন চাকার বাহন রিকশা। বছরের পর বছর ধরে রিকশা চিত্রে শুধু আমাদের চলচ্চিত্র জগতের তারকা, ফুল, পাখি ও প্রকৃতিই স্থান পায়নি, আমাদের রাজনৈতিক ও সাস্কৃতিক পটপরিবর্তনের সাক্ষীও এটি। আমাদের দেশে এ রিকশাচিত্র আশির দশকে বেশ দাপটে ছিল। রিকশাচিত্রে আমাদের দেশের মানুষের কথা বলে, এই অনন্য শিল্পটি সম্পূর্ণভাবেই আমাদের। ইউনেসকো ঢাকার রিকশা ও রিকশাচিত্রকে অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এটি নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের জন্য এক বিরাট সম্মান ও প্রাপ্তি।
তিনি আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় আমাদের বাড়ি ৷ আমার বাবা এস.এ. হাকিম বেবি টেক্সিরও অনেক নাম করা আর্টিষ্ট ছিলেন। আমার শৈশবে বাবার ছবি আঁকা দেখতে অনেক ভালো লাগত।এবং বড় ভাই এস.এ.রহিম,মামা, চাচা বাবার স্টুডিওর শিষ্যরা এরা সবাই রং তুলি দিয়ে ছবি আঁকত। তখন আমিও চিন্তা করতাম এদের মত আমিও একদিন আর্টিষ্ট হব।তাই স্কুল জীবনের পাশাপাশি বাবার কাছে প্রশিক্ষন নিয়ে আমি অনেক প্রতিষ্ঠানে কাজ করি এবংআমার এই কাজের জন্য পুরস্কারও পেয়েছি ৷