হিন্দু ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের মানুষকে সংখ্যালঘু বলা যাবে না: সাখাওয়াত
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের থেকে শুরু করুন অন্যান্য সম্প্রদায়ের মানুষকে পূজার পর থেকে আর সংখ্যালঘু বলা যাবে না। হিন্দু, মুসলিম বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান আমরা হাজার বছর ধরে পাশাপাশি থেকে আমরা সবাই বসবাস করে আসছি। আমরা হিন্দু সম্প্রদায়কে আমাদের বুকে টেনে নিতে চাই। আমরা মুসলিম সম্প্রদায় সব সময় হিন্দু সম্প্রদায়ের সাথে সৎ আচরণ করব। আমরা যেমনটি করে হিন্দু সম্প্রদায়ের থেকে বুকে টেনে নিয়েছে ঠিক একইভাবে হিন্দু সম্প্রদায়ও আমাদেরকে বুকে টেনে নেবে।
শনিবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে বন্দরের ১নং ঢাকেশ্বরী দেব মন্দির পূজা মন্ডপ পরিদর্শন শেষে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। হিন্দু সম্প্রদায়ের সাথে এই সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন এড. সাখাওয়াত।
এ সময় তিনি আরও বলেন, আমাদের বিএনপির চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নির্দেশ দিয়েছেন আপনাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য। পাশে দাঁড়ানো শুধুমাত্র পূজার সময়ের জন্য না সব সময়ের জন্য। আমি একজন আইনজীবী হিসেবে বলতে চাই বাংলাদেশের সংবিধানে বাংলাদেশের সকল নাগরিকের সমান অধিকার। মূলনীতি হলো সকলের জন্য সমতাল অধিকার থাকবে। আজকে আমাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করার জন্য একটি কুচক্রী মহল সবসময় কাজ করে। এবং তাদের রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল করার চেষ্টা করে। আমরা যারা হিন্দু-মুসলিম সম্প্রদায়ের বাইরে রয়েছি আমরা আর সেই সুযোগটি ভবিষ্যতে আর দিবোনা।
তিনি বলেন, আমরা দেখেছি গত ৫ আগস্ট এর পরে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় হিন্দু সম্প্রদায়কে ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু নারায়ণগঞ্জের হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ ও আমাদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় আমরা সেটা নারায়ণগঞ্জে হতে দেই নাই। আমাদের এই অবস্থান অনন্তকাল থাকবে। আমাদের এই অবস্থানে কেউ চির ধরাতে পারবে না এবং বিভেদ সৃষ্টি করতে পারবে না। হিন্দুদের জায়গা সম্পত্তি বিএনপির নেতারা কিন্তু দখল করে নাই। ইতিপূর্বে আমরা বলেছি হিন্দু সম্প্রদায় জায়গা সম্পত্তি যারা দখল করেছে আমরা যদি আগামীতে ক্ষমতায় আসতে পারি তবে সে সকল জায়গা জমি উদ্ধার করে আপনাদেরকে ফিরিয়ে দেওয়া হবে। হিন্দু সম্প্রদায়কে আমি বলতে চাই মনের ভিতর দুর্বলতা রাখবেন না। যেকোনো সমস্যা যে কোন কাজে আপনারা আমাদের স্বরপূর্ণ হবেন আমরা আপনাদের পাশে আছি। আমাদের দলেও কিন্তু অনেক বড় বড় নেতারা রয়েছে তারা বিএনপির নেতৃত্ব দিচ্ছেন। বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও বাবু নিতাই চন্দ্র রায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান। আমি চাই নারায়ণগঞ্জের হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে এমন নেতৃত্ব গড়ে উঠুক। আমি চাই তারা আগামী যেনো নারায়ণগঞ্জ বিএনপিকে নেতৃত্বে দিবে। নারায়ণগঞ্জে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান মুসলিমদের মধ্যে কোন বিভেদ সৃষ্টি করা যাবে না। যদি কেউ তা করতে চায় তাহলে আমাদেরকে জানাবেন আর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে জানাবেন।
সভায় বন্দরের ১নং ঢাকেশ্বরী দেব মন্দির পূজা মন্ডপ কমিটির সভাপতি এড. গৌতম পালের সভাপতিত্বে ও বন্দর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল বিশ্বাসের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন, প্রধান বক্তা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু। যুগ্ম আহ্বায়ক ফতেহ মোহাম্মদ রেজা রিপন, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা, বন্দর থানা বিএনপির সভাপতি শাহেন শাহ আহম্মেদ,বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণ, নারায়ণগঞ্জ মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুশীল দাস, সহ- সভাপতি সাংবাদিক উত্তম কুমার সাহা, মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য শাহিন আহমেদ, কামরুল হাসান চুন্নু সাউদ, ফারুক হোসেন, মাকিত মোস্তাকিম শিপলু, সদর থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হক, বন্দর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন শিশির, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাদুল্লাহ মুকুল, বন্দর থানা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান বাদল, নাসির উল্লাহ টিপু, সোহেল খান বাবু, ইকবাল হোসেন, ২৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শফি উদ্দিন সোহেল, ২৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ফিরোজ আহমেদ, মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি তাঁরা মিয়া, সাধারণ সম্পাদক শাহিন আহম্মেদ, মদনপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মামুন ভূঁইয়া,বন্দর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রাজু আহমেদ, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জাহিদ খন্দকার, ১৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হিরা সরদার, যুবদল নেতা খায়রুল কবির মুন্না, মিনহাজুল মিঠু, সম্রাট হাসান সুজন, অদুদ সাগর, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাহিদ ইসতিয়াক শিকদারসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।