বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ২৬, ২০২৪
Led05জেলাজুড়েরূপগঞ্জ

কারখানার ফ্লোর ধসে যাওয়ায় উদ্ধার কার্যক্রম সম্ভব নয় : তদন্ত কমিটি

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: রূপগঞ্জের গাজী টায়ার কারখানার ভবন পরিদর্শন করেছে ৮ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি। বুধবার (২৮ আগস্ট) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জেলা অতিরিক জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হামিদুর রহমানের নেতৃত্বে এ পরিদর্শণ করেন।

পরিদর্শণ শেষে গণমাধ্যমকে অতিরিক জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হামিদুর রহমান বলেন, ‘আমি ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে কথা বলেছি তারা উদ্ধার কার্যক্রম পারবেন কিনা, তারা আমাকে জানিয়েছেন ৪, ৫ ও ৬ তলার ফ্লোরটি ধসে গেছে এবং এখনও আগুন রয়েছে। এ মুহুর্তে উদ্ধার কার্যক্রম সম্ভব নয়। অগ্নিকান্ডের ঘটনায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৮ সদস্যর একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমরা তদন্ত কমিটি প্রাথমিক ভাবে পরিদর্শণে আসলাম। আমরা দেখি। পরিবর্তীতে আমরা একটি প্রতিবেদন আকারে দিবো। এই হলো আমাদের প্রাথমিক কথা। অগ্নিকান্ডের বিষয়ে টেকনিশিয়ানরা আমাদের মতামত দিবে। এছাড়া লোকালি যারা ফায়ার সার্ভিসের দায়িত্বে রয়েছেন তারা উদ্ধার কার্যক্রম চালাতে পারবেন কিনা তা জানাবেন নয়তো আমরা ন্যাশনালী সাপোর্টের জন্য সুপারিশ জানাবো যে এটা লোকালি করা সম্ভব নয়। আরো যারা বেশি টেকনিশিয়ান রয়েছে তাদের সহযোগীতা নিয়ে কার্যক্রম চালাবো। আমরা আশা করি ১০ দিনের মধ্যে একটি তদন্ত রিপোর্ট দিতে পারবো।

নিখোঁজদের বিষয়ে তিনি বলেন, নিখোঁজদের নাম ঠিকানা লিপিবদ্ধ করে রাখতেছি। আমরা আসলে কয়জন ভেতরে ছিলো বা কয়জন মারা গেছেন আমরা সঠিক ভাবে বলতে পারছিনা। আমরা আমাদের ফায়ার সার্ভিসের যে ড্রোন, সে ড্রোন দিয়ে তারা দেখেছেন। মৃত লাশ কিন্তু দেখেননি। আমরা মনে করতেছি যে হয়তো এখানে যেভাবে ক্যামিকেল পোড়ানো হয়েছে যদি আদৌ লাশ থেকে থাকলেও ঐভাবে আর পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। কারন ২১ থেকে ২২ ঘন্টা আগুন জলেছে, ততক্ষনে লাশের কিছু পাওয়ার মতো অবস্থা নেই। আপনারা বুঝতেই পারছেন ৩ থেকে ৪ ঘন্টার মধ্যেই একটি লাশ কয়লা হয়ে যাওয়ার কথা। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহযোগীতাও নেয়া হবে। ভেতরে কি হয়েছে বা বর্তমানে কি আছে এ বিষয়টি উদঘাটনের চেষ্টা করবো।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, শতাধীকের বেশি লোকজন ভেতরে ছিলো বলে আমরা স্থানীয় ভাবে জানতে পেরেছি। তবে, যারা নিখোঁজ রয়েছেন, স্বজনদের পক্ষ থেকে তাদের নাম ঠিকানা লিপিবদ্ধ করা হচ্ছে। যারা নিখোঁজ রয়েছে তাদের ব্যপারে গুরুত্ব দিয়ে দেখ। তবে, অনুপ্রবেশকারী ঢুকলে কিছু লোকজন নামতে পারেননি হয়তো তারা মারা গেছেন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, তদন্ত কমিটির সদস্য নারায়ণগঞ্জ গ সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান, নারায়ণগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শক অধিদপ্তরের উপ-মব্যবস্থাপক রাজিব চন্দ্র ঘোষ, নারায়ণগঞ্জ তিতাস গ্যাস এন্ড টি এন্ড টি কোম্পানির ব্যবস্থাপক মঞ্জুর আজিজ, নারায়ণগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ-১ এর উপ মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী হরেন্দ্র নাথ বর্মন, নারায়ণগঞ্জ-২ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর উপসহকারী পরিচালক আব্দুল মান্নান ও রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহসান মাহমুদ রাসেল।

RSS
Follow by Email