না.গঞ্জে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৯ ঘন্টা ধরে তীব্র যানজট
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড থেকে বন্দরের লাঙ্গলবন্দ এলাকা পর্যন্ত চট্টগ্রামমুখী লেনে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। বুধবার (২৮ আগস্ট) ভোর থেকে শুরু হওয়া যানজটে প্রায় ১৮ কিলোমিটারের পথ জুড়ে গাড়ি আটকে যায়। বেলা বাড়ার সাথে সাথে যানজটের চাপ বাড়তে থাকে। দুপুরের দিকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর তদারকিতে যানজটের চাপ অনেকটা কমে আসে। কিন্তু প্রায় নয় ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও যানজট পুরোপুরি নিয়ন্ত্রনে আসে নি।
বুধবার ভোর সকালের দিকে যানজটের কারণে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চট্টগ্রামমুখী লেনে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সাইনবোর্ড, শীমড়াইল থেকে নিয়ে বন্দরের লাঙ্গলবন্দ এলাকা পর্যন্ত যান চলাচল ব্যাহত হয়।
চট্টগ্রামমুখী লেনে যাতায়াতকারী মানুষদের সাথে কথা হলে তারা জানান, ভোর থেকে মহাসড়কের চট্টগ্রামমুখী লেনে বিশাল যানজট বেধে আছে। অনেক যাত্রী মদনপুর যাওয়ার উদ্দেশ্যে শীমড়াইল থেকে বাসে উঠেন, কিন্তু দেড় থেকে দু ঘন্টা পার হলেও গন্তব্যে পৌছুতে পারেন নি। পরে বাধ্য হয়ে অনেকেই বাস থেকে নেমে পরেন। স্বল্প দূরেত্বের যাত্রীদের বেশিরভাগই পায়ে হেটে গন্তব্যে যাওয়া শুরু করেন। প্রাইভেট কার, ভ্যান, বাসসহ ভাড়ি যানের চালকরাও বেশ বিপাকে পরেন। সঠিক সময়ে কাঙ্খিত গন্তব্যে পৌছুতে না পেরে অনেকটাই আতঙ্কিত হন মালবাহি যানের চালকরা।
এদিকে, সড়কে যানচলাচলে বিশৃঙ্খলা হওয়ার কারণে এমন বিশাল যানজট তৈরী হয়েছে বলে জানিয়েছে হাইওয়ে পুলিশের কর্মকর্তারা।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার শিমরাইল ক্যাম্পের টিআই আবু নাইম লাইভ নারায়ণগঞ্জকে বলেন, রঙ ওয়েতে গাড়ি, কর্ভাড ভ্যানসহ বিভিন্ন যান ঢুকে পরায় এ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আমার যানজট নিয়ন্ত্রণের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। বর্তমানে শীমড়াইল অঞ্চলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। তবে কাঁচপুর ব্রিজ থেকে মেঘনা অঞ্চলের দিকে যানজটের চাপ বেশি।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার পুলিশ পরিদর্শক (অফিসার ইনচার্জ) রেজাউল করিম লাইভ নারায়ণগঞ্জকে জানান, হাইওয়েতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির কারণে মূলত এ যানজট সৃষ্টি হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে পুলিশ কাজ করছে। বর্তমানে ধীর গতিতে যান চলাচল করছে। আশা করছি শীগ্রই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে।