কাউন্সিলর মনিরের ভাই আনু হত্যা মামলা, আসামী ৮
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: নগরীর মাসদাইর নিজ বাসার লিফট থেকে কাউন্সিলর মনিরের ভাই ও বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন আনুর লাশ উদ্ধার ঘটনায় ফতুল্লা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) নিহতের ভাই হাজী আবুল কাশেম বাদশা বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করে।
মামলার বিষয়টি নিশ্চত করেছে ফতুল্লা থানার ওসি অফিসার ইনচার্জ নূরে আজম মিয়া। এ মামলায় আসামীরা হলেন,
১. রাসেল মাহমুদ (৪২) পিতা-গোল মোহাম্মদ মাতা- স্থায়ী: (বিসিক মার্টিন গার্মেন্টেস এর গলি) , উপজেলা/থানা- ফতুল্লা, জেলা -নারায়ণগঞ্জ, বাংলাদেশ
২. পাপিয়া আক্তার পান্না(৪২) পিতা-করিম মিয়া মাতা- স্থায়ী: (বাবুরাইল) , উপজেলা/থানা- ফতুল্লা, জেলা -নারায়ণগঞ্জ, বাংলাদেশ
৩. জান্নাত আরা জাহান প্রেরনা (২১) পিতা-মৃত আনোয়ার হোসেন মাতা- স্থায়ী: গ্রাম- দেওভোগ (৫৪ এল এন এ রোড ) , উপজেলা/থানা- ফতুল্লা, জেলা -নারায়ণগঞ্জ, বাংলাদেশ:বর্তমান: (কেন্দ্রীয় ঈদগাহ্ সংলগ্ন মাসদাইর আদর্শ স্কুল রোড হেলেনা কটেজ এর ৯ম তলার ভাড়াটিয়া) , উপজেলা/থানা- ফতুল্লা, জেলা -নারায়ণগঞ্জ, বাংলাদেশ
৪. সারিদ হোসেন(১৯) পিতা-মৃত আনোয়ার হোসেন মাতা- স্থায়ী: গ্রাম- দেওভোগ (৫৪ এল এন এ রোড) , উপজেলা/থানা- ফতুল্লা, জেলা -নারায়ণগঞ্জ, বাংলাদেশ:বর্তমান: (কেন্দ্রীয় ঈদগাহ্ সংলগ্ন মাসদাইর আদর্শ স্কুল রোড হেলেনা কটেজ এর ৯ম তলার ভাড়াটিয়া) , উপজেলা/থানা- ফতুল্লা, জেলা -নারায়ণগঞ্জ, বাংলাদেশ
৫. নুর আলম (৪৫) পিতা-করিম মিয়া মাতা- স্থায়ী: (বাবুরাইল) , উপজেলা/থানা- ফতুল্লা, জেলা -নারায়ণগঞ্জ, বাংলাদেশ
৬. কাজল(৩২) পিতা-করিম মিয়া মাতা- স্থায়ী: (বাবুরাইল) , উপজেলা/থানা- ফতুল্লা, জেলা -নারায়ণগঞ্জ, বাংলাদেশ
৭. রোকসানা আক্তার পুতুল(৪৬) পিতা-করিম মিয়া মাতা- স্থায়ী: (বাবুরাইল) , উপজেলা/থানা- ফতুল্লা, জেলা -নারায়ণগঞ্জ, বাংলাদেশ
৮. গোল মোহাম্মদ (৬৫) পিতা-মৃত আজগর সরদার মাতা- স্থায়ী: (বিসিক মার্টিন গার্মেন্টেস এর গলি) , উপজেলা/থানা- ফতুল্লা, জেলা -নারায়ণগঞ্জ, বাংলাদেশ
৯. অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জন
প্রসঙ্গত, সোমবার (২৬ আগস্ট) মাসদাইর নিজ বাস ভবনের লিফট থেকে আনোয়ার হোসেন আনুর লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত বিএনপি নেতা আনু হলেন দেওভোগ এল এন রোড এলাকার মৃত হাজী সায়েদ আলীর ছেলে ও মহানগর যুবদলের সাবেক সহ সভাপতি, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান মনিরের ছোট ভাই। নিহতের ভাগিনা রাকিব জানায়, রাগ করে বাসা থেকে বের হয়ে যায় আনু। সাথে ছিলো না মোবাইল আর সেন্ডেল। পরে অনেক খুঁজাখোজির পর তাকে লিফটের ভিতরে পরে থাকতে দেখা যায়। উদ্ধারের পর হাতে-পিঠে খামচির দাগ ও আঘাতের চিহ্ন দেখেছে পরিবারের সদস্য। পরিবারের সদস্যরা আরও জানায়, আনুর স্ত্রীর পান্নার সাথে অন্যদের অবৈধ সম্পর্ক ছিলো।