বৃহস্পতিবার, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৪
জেলাজুড়েবন্দর

বন্দরে দেয়ালের গ্রাফিতিতে সাঈদ-মুগ্ধ-ফেলানী

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নানা কর্মসূচী অব্যাহত রয়েছে সারা দেশে। গণঅভ্যুত্থানের পর নিজেদের প্রতিবাদের ইতিহাস দেয়ালে দেয়ালে গ্রাফিতি আকারে রেখে যাচ্ছে। সারাদেশের ন্যায় নারায়ণগঞ্জের বন্দরেও অধিকাংশ দেয়ালে রয়েছে এই প্রতিবাদের ছাপ। রুং তুলি দিয়ে দেয়ালগুলো সাজানো হচ্ছে আবু সাঈদ, মুগ্ধ ও ফেলানীর চিত্র এঁকে। কেন্দ্রীয় পরিষদের নির্দেশে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা রোববার হতে তাদের কার্যক্রম কিছুটা শিথিল করলেও কিছু কিছু স্থানে এখনো তারা গ্রাফিতি ও ট্রাফিকের ভূমিকায় দায়িত্ব পালণ করছে।

সরেজিমিনে দেখা যায়, বন্দরের বাবুপাড়াস্থ পুলিশ ফাঁড়ি দেয়াল, সোনাকান্দা ডকইয়ার্ডের বিপরীতে অবস্থিত আওয়ামীলীগ নেতা সাগরের দেয়াল, সরকারি হাজী ইব্রাহিম আলমচান মডেল স্কুল এন্ড কলেজের দেয়াল, মদনগঞ্জ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দেয়াল, এইচ এম সেন রোডের জামাইপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দেয়াল এবং বন্দর শাহী মসজিদের দেয়াল, চৌরাপাড়া সোমবাড়িয়া বাজার ঘাট সংলগ্ন সোহাগপুর টেক্সটাইল মিলস্ এর দেয়াল ও ঘাটের আঙিনা ফুটে আছে নানান গ্রাফিতিতে।

এসব গ্রাফিতিতে অধিকাংশই আবু সাঈদ ও মীর মুগ্ধ’র চিত্রই বেশি নজরে আসছে। তবে শিক্ষার্থীরা ভারতীয় সীমান্ত বাহিনীর গুলিতে নিহত ফেলানীর কথা ভুলে নি। তার মৃত্যুকালীন চিত্রও প্রতিবাদস্বরূপ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। এ ছাড়াও শিল্পীদের গ্রাফিতিতে বিদ্রোহী কাজী নজরুল ইসলামের ‘কারার ঐ লৌহ কপাট, বল বীর চির উন্নত মম শীর, নব জাগরণ, স্বাধীন নগর, কারাগার মুক্ত, এদেশের সোনার ছেলে কারা রেমিটেন্স যোদ্ধারা, ধর্ম যার যার দেশ সবার, মুক্তির মন্দির সোপান তুলে, আমি গর্বিত আমি ছাত্র ৩৬শে জুলাই, মোরা ঝঞ্জার মতো উদ্দাম’ ইত্যাদি শ্লোগান দিয়ে সাজানো হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে এক শিক্ষার্থী জানান, যে কোন অন্যায়ের প্রতিবাদ করা উচিত। একটা ছোট অপরাধ প্রশ্রয় পেলে আরেকটা বড় অপরাধ জন্ম নেয়। কাজেই দেশে যেন আর অন্যায় অবিচার না হয় সেটার আগাম বার্তা হিসেবে দেয়ালে গ্রাফিতিকে প্রতিবাদ হিসেবে বেছে নেয়া হয়েছে। এসব কাজের জন্য কোন আনুষ্ঠানিকতার প্রয়োজন নেই। এটা চলছে চলবে। যেখানেই অন্যায়-অপরাধ হবে সেখানেই ছাত্রদের প্রতিবাদ অব্যাহত থাকবে।

RSS
Follow by Email