বৃহস্পতিবার, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৪
Led04জেলাজুড়েরাজনীতিসদর

ছাত্রদের উপর গুলি চালিয়ে তারাই ছাত্রদের সাথে ট্রাফিকিং করছে: তরিকুল সুজন

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: জেলা গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়কারী তরিকুল সুজন বলেছেন, আন্দোলনে নারায়ণগঞ্জের ছাত্র ও জনতা ঐক্যবদ্ধ ছিল। তারা লড়াইটা চালিয়ে গিয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ ৫ তারিখের পর বুকে নতুন করে আশা বেধেছে। জনগণ স্বাধীনভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে। জনগণ তার কথা বলার স্বাধীনতা পাবে। পুলিশ প্রশাসন, থানায় গিয়ে নির্দ্বিধায় অভিযোগ কিংবা মামলার মাধ্যমে বিচার চাইতে পারবে। যেদিন এমটি হবে, বুঝবেন জনগণ সেদিন ক্ষমতা পেয়েছে। সুষ্ঠুভাবে ভোট দিয়ে যখন জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হবেন, তখন দেশের মানুষ, নারায়ণগঞ্জের মানুষ ক্ষমতা পাবেন।

রবিবার (১৮ আগস্ট) বিকেলে নগরীর ডিআইটি এলাকায় দোয়া ও আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি। স্বৈরাচার ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত আবু সাঈদ, আমানত ও মগুদ্ধসহ সকল শহীদ ছাত্র-জনতার রূহের মাগফিরাত কামনায় এ দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এর আয়োজনে ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও সাধারণ জনতা।

তরিকুল সুজন বলেন, কাজ এখনও শেষ হয় নি, যারা আমাদের ছাত্র ও জনতার উপর গুলি চালিয়েছে দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে। এসমস্ত কুলোষিত মানুষরা এলাকায় এলাকায় আত্মগোপণে আছে। তারা কেউ কেউ যুক্ত হয়ে ছাত্রদের সাথে ট্রাফিকিং করছে। কেউ কেউ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নামে কমিটি করছে। তারা গা ঢাকা দিচ্ছে। যারা জনগণের বিরুদ্ধে গিয়ে বাড়ি-ঘরে হামলা ভাঙচুর চালিয়েছে, ছাত্র-জনতার উপর গুলি চালিয়েছে তাদেরকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। জেলা প্রশাসন এখনও যথাযথ দায়িত্ব পালন করেন নি।

তিনি বলেন, যারা আন্দোলনে বুকের রক্ত দিয়ে শহীদ হলেন তারা কি পেলেন। আবু সাঈদ, আমানত, মুগ্ধসহ যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের সকলকে একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ দিতে চাই। মনে রাখতে হবে শেখ হাসিনার মতো স্বৈরাচারী, নিপীড়নকারী যেন ক্ষমতায় না আসেন। ৫ তারিখের পর ক্ষমতায় পট পরিবর্তনের পর কেউ কেউ হাতির পাঁচ পা দেখছেন। তারা নিজেরা এলাকা এলাকায় লুটপাট, দখল, চাঁদাবাজি করছেন। তাদের বলতে চাই, খেলা এখনও শেষ হয়নি। অন্তর্বতীকালীন সরকারের যারা দায়িত্ব নিয়েছেন তারা হয়ত এক মাসের মামলা উইথড্র করবেন, কিন্তু বিগত সময়ে বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে যে মামলা হয়েছে তা বাতিল হয়নি। যদি মনে করেন সব মামলা বাতিল হবে, এটা এত সহজ নয়।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের নামে এখন যে সকল মামলা হচ্ছে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে করা হয়েছে, মামলা দিয়ে দুর্বল করে রাখার চেষ্টা হচ্ছে। যাদের কথায় এ সকল মামলা হচ্ছে, শামীম ওসমান-অয়নদের আশ্রয়ে থেকেই নিরাপদে জীবন-যাপন করে আসছে। বিএনপির হাজারো নেতাকর্মী পালিয়ে বেড়িয়েছেন। কিন্তু এখানকার বহু নেতা দাপটের সহিত বহাল ছিলেন। সুতরাং বলতে চাই, যারা দেশের জন্য দায়িত্ব নিবেন আপনাদের সজাগ থাকতে হবে। যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের নামে শপথ নিন। তাদের রক্তের সাথে বেঈমানি করা যাবে না। তাদের রক্তের সাথে বেঈমানি করলে ভবিষ্যৎ খারাপ হবে।

RSS
Follow by Email