ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতিহত করতে হবে, ছাড় দেওয়া যাবে না: গিয়াসউদ্দিন
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: ‘ইতিহাস পড়লে জানতে পারবেন এমন স্বৈরাচারের এমন পতন, ইতিহাসে কেউ দেখে নাই। এই পতনের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ নতুন ভাবে স্বাধীন হয়েছে। তবে এখনো খুশি হওয়ার সময় হয় নাই। স্বৈরাচারেরা এখনো ষড়যন্ত্র করছে। আমাদের নেতা তারেক রহমান অত্যন্ত বিচক্ষণ, তাই তিনি তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। ১৪ ১৫ তারিখ সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আমাদের রাজপথে থাকতে হবে। ষড়যন্ত্রকারীদের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে হবে। তাদেরকে কোন ছাড় দেওয়া যাবে না। স্বৈরাচার সে শুধু নিজের কারণে হয় নাই। তার দলের নেতারা তাকে স্বৈরাচার বানিয়েছে, অনেক সাংবাদিক নিজের স্বার্থ নিয়ে তাদের স্বৈরাচার বানিয়েছে, অনেক ব্যবসায়ী নিজের স্বার্থ নিয়ে তাদের স্বৈরাচার বানিয়েছে, আইন বিভাগের অনেকে তাদের থেকে সুবিধা নিয়ে তাদের স্বৈরাচার বানিয়েছে। আমরা দাবি করবো এদের খুঁজে বের করে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।’
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির উদ্যোগে বুধবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে জেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন এইসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জে বিএনপি অত্যন্ত শক্তিশালী। আন্দোলন সারা দেশে হয়েছে, কিন্তু নারায়ণগঞ্জের মতো এত কঠিন আন্দোলন আর কোথাও হয়নি। এটা একটি ইতিহাস হয়ে থাকবে। এই স্বৈরাচার পতনের আন্দোলনে নারায়ণগঞ্জ নতুন ইতিহাস তৈরি করেছে। নারায়ণগঞ্জে স্বৈরাচারের দোসর তার বাহিনী এমনকি তার সন্তানকে নিয়ে নিরস্ত্র মানুষের উপার গুলি চালিয়েছে। যেখানে যেখানে অগ্নি সংযোগ হয়েছে, সেটা তার নির্দেশে হয়েছে। এখন এদেরকে কোন অবস্থায় ছাড়া যাবে না। আমরা আইনকে হাতে তুলে নিবো না, আমরা তাদেরকে আইনের হাতে তুলে দিবো। বিএনপির কাধে এখন অনেক বড় বোঝা। এই দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল বিএনপি। বিএনপির কাছে মানুষের অনেক প্রত্যাশা।
তিনি বলেন, আন্দোলনে ছাত্ররা যখন ভুমিকা রাখলো, তারেক রহমান বলেছিলেন এই আন্দোলনকে বিএনপিকে অবশ্যই রাজপথে থাকতে হবে। তখন আমরাও শিক্ষার্থীদের সমর্থন জানিয়ে আমরাও এই আন্দোলনে অংশগ্রহন করেছি। আমাদের অনেক নেতাকর্মী জীবন দিয়েছে, আহত হয়েছে। এছাড়া এই স্বৈরশাসকের আমলে এত গুম-খুন ও মিথ্যা মামলার শিকার হয়েছে; যে আমাদের অস্বিত্ব বিলিন হয়ে গেছে। তার পরেও আমরা তাদের রক্তচক্ষুকে ভয় করিনি। আন্দোলনের শেষ পর্যন্ত আমরা রাজপথে ছিলাম, আমাদের উপর গুলি করা হয়েছে। অগ্নিসংযোগ-লুটপাট স্বৈরাচারের লোকেরা করেছে। আমাদের নেতাকর্মীরা এতে অংশ নেয় নাই। অথচ আমাদের নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যে মামলা দেওয়া হয়েছে।
এসময় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজিব, এনসিসি ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন, ফতুল্লা থানা বিএনপির সাদারণ সম্পাদব এড. বারী ভুইয়া, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনিসহ জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের অসংখ্য নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।