বিএনপিতে মাদকসেবী-চাঁদাবাজদের ঠাই নেই: গিয়াসউদ্দিন
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন বলেছেন, বিএনপিতে কখনই মাদকসেবি, মাদক ব্যবসায়ীর স্থান হবে না। কোনো চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসের ঠাঁই হবে না বিএনপিতে। বিএনপি হবে সুন্দর, স্বচ্ছ, নম্র, ভদ্র মানুষের দল। এর ব্যাত্যয় যদি কেউ ঘটায় সে যে দলেরই হোক, তাকে শক্ত হাতে প্রতিহত করবেন।
রবিবার (১১ আগস্ট) বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জের হীরাঝিল এলাকায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১নং ওয়ার্ড পঞ্চায়েত কমিটির সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন তিনি।
থানা পুলিশের কার্যক্রম শুরু হয়েছে জানিয়ে গিয়াসউদ্দিন স্থানীয় পঞ্চায়েত কমিটির নেতাকর্মীদের বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে পুলিশকে সর্বাধিক সহযোগিতা করবেন। যারা সমাজের খারাপ মানুষ তাদেরকে প্রতিহত করবেন। প্রশাসনের হাতে সোর্প করবেন। তবে কোনো অবস্থাতেই নিজের হাতে কেউ আইন তুলে নিবেন না।
গিয়াসউদ্দিন বলেন, আমরা একটি সুন্দর সমাজ গড়তে চাই। এই সমাজ নির্মাণে ভালো মানুষদের এগিয়ে আসতে হবে। আপনারা যদি সামনে না আসেন তাহলে সেই স্থানটি খারাপ মানুষেরা দখল করে নিবে। তখন এত রক্ত ঝরিয়ে, এত প্রাণ বিলিয়ে, যেই স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়ে নতুন একটি দিনের সূচনা করা হয়েছে তা ম্লান হয়ে যাবে।
সমাজে যারা মাদক সেবি আছেন এবং যারা মাদক বিক্রি করেন তারে তালিকা প্রস্তুত করাসহ এদেরকে প্রতিহত করার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মুহাম্ম গিয়াসউদ্দিন। তিনি বলেন, আমারে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান স্পষ্ট নির্শেনা দিয়েছেন, বৈষম্যহীন একটি সমাজ ব্যবস্থা নির্মাণের পথে যারা বাধা হয়ে দাঁড়াবে। যারা দলের নাম ব্যবহার করে মানুষের শান্তি নষ্ট করবে, তাদের কোনো স্থান হবে না বিএনপিতে। সুতরাং দলের সুনাম নষ্ট করে কেউ যি অরাজকতা করে, সে যদি আমার সন্তান হয়, ভাই হয়, কর্মী হয় তাকেও ছাড় দেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, আপনারা কেউ ভয় পাবেন না। থানাগুলো আবারও সচল হয়েছে। মাঠে সেনাবাহিনী কাজ করছে। সুতরাং অপরাধি যে হোক, যে দলের হোক, যে পরিচয়ই থাকুক না কেন, তাকে একজন অপরাধি হিসেবেই গণ্য করুন এবং তাকে আটক করে আইনের হাতে সোর্প করুন। ছাত্র-জনতার ত্যাগের বিনিময়ে যে মুক্ত বাংলাশে পেলাম, যাদের ত্যাগের বিনিময়ে স্বৈরাচার সরকারের পতন হলো। এই বিজয় এসেছে তা কোনোভাবেই ম্লান করা যাবে না। এই বিজয় আমাদের অক্ষুন্ন রাখতে হবে। আমাদের সজাগ থাকতে হবে। অতন্দ্রী প্রহরীর মতো আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সুন্দর একটি সমাজ বিনির্মাণে ছাত্র-জনতাকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করে যেতে হবে। এমন একটি সমাজ আমরা চাই, যে সমাজ হবে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খৃস্টান সকল ধর্ম, সকল বর্ণের মানুষের। আমাদের এই লক্ষ্য যেন কেউ নসাৎ করতে না পারে সেদিক সবাইকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।