প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে বিকেএমইএ’র অভিনন্দন
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অভিনন্দন জানিয়েছে বিকেএমইএ।
এক বার্তায় বিকেএমইএ’র নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম জানান, কোন সন্দেহ নেই আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ বিগত একমাস ধরে যে বিভীষিকাময় পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে অতিবাহিত করেছে তা বর্ণনাতীত। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত তরুন শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের উপর বিগত সরকারের অমানবিক জুলুম নির্যাতন এবং প্রাণহানি সবই দেখেছি আমরা। এরই মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগ ও সাহসিকতার মধ্য দিয়ে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে নতুন এক দেশ ও নতুন এক সূর্যের অভ্যুদয় ঘটিয়েছে। সেজন্য বিকেএমইএ এর পক্ষ থেকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত সকল শিক্ষার্থীদের প্রতি আমরা চির কৃতজ্ঞ। তরুণ শিক্ষার্থীদের এই অভ্যুদয় নবজাগরণের, অর্থনৈতিক গতিশীলতার মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের এবং রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারের মাধ্যমে একটি আধুনিক ও উন্নত বাংলাদেশ সৃষ্টির!
অভ্যুত্থানের ফলে দেশে যখন রাষ্ট্রীয় নেতৃত্ব শূন্যতা দেখা দেয় ঠিক তখনই দেশের এই চরম ক্লান্তি লগ্নে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শান্তিতে নোবেল জয়ী, বিশ্বনন্দিত অর্থনীতিবিদ ও ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে দারিদ্রতা বিমোচন তত্ত্বের প্রবক্তা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সম্মতি প্রদান এবং দায়িত্বভার গ্রহণ করায় বিকেএমইএ এর পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি। আমরা বিশ্বাস করি আপনার দূরদর্শী নেতৃত্বে ও প্রজ্ঞায় দেশ খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে এই ক্রান্তিকাল কাটিয়ে ওঠে একটি অর্থনৈতিক রোল মডেলের দেশ হিসেবে বিশ্বের দরবারে আবির্ভূত হবে।
এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ্য, গত এক মাস যে ভয়াবহ পরিস্থিতি আমাদের দেশ অতিক্রম করেছে, তার ক্ষতিকর প্রভাব দেশের প্রধানতম রপ্তানি খাত নিট শিল্পও পড়েছে। পরিসংখ্যান দিয়ে এই ক্ষতির পরিমাপ করা যাবে না। আমরা বিশ্বাস করি, অর্থনৈতিক শাস্ত্রের অনুসন্ধিৎসু ব্যক্তিত্ব হিসেবে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা মহোদয় শিল্পের বিকাশের বাধাগুলো দূরীকরণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। এমনকি এ শিল্প খাতের উন্নয়নে যেখানে যেখানে সংস্কার প্রয়োজন, শেখানো তিনি তার মেধা এবং চিন্তার প্রয়োগ ঘটাবেন। একইভাবে আমিরাতে শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা প্রাপ্তি নিশ্চিত করণে এবং সারা বিশ্বের নীতশিল্পের বাজার সম্প্রসারণে আপনার আন্তর্জাতিক পরিচিতি এবং কৌশলগত ব্যবস্থাপনা কে আপনি কাজে লাগাবেন বলে আমরা বিশ্বাস করি। আপনাতে আমাদের আস্থা, আপনাতেই আমাদের বিশ্বাস।
আমরা প্রতিশ্রুতি দিতে চাই, আপনার পরিবর্তিত বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্নের সাথে বাংলাদেশের নীত শিল্পঘাত সব সময় প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করে যাবে।