না.গঞ্জে নিরাপত্তা ও ট্রাফিকের দায়িত্বে ছাত্রসমাজ-রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জে আইনশৃঙ্খলা ও ট্রাফিক সদস্যরা না থাকায় বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে। সাধারণ মানুষের জরুরি প্রয়োজন, বিভিন্ন স্থাপনা ও ভবন রক্ষনা বেক্ষনে কাজ করছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মী এবং আনসার সদস্যরা। সেই সাথে পাহাড়া দিচ্ছেন থানাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। বিভিন্ন ধর্মীয় উপাসনালয়ে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সদস্যরা। রাস্তায় ট্রাফিকের দায়িত্ব ও শহর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজও করছে তারা।
জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার পর থেকেই নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন জায়গায় হামলা ভাংচুর লুটপাট অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটছে। বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের উপর হামলার পর থেকে থানাগুলো পুলিশ শূন্য হয়ে পরেছে। যার দরুণ বিভিন্ন জায়গায় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি চলছে। এমন নানা কারণে বড় বড় মার্কেট ও দোকানপাট এখনো খোলেনি। তবে মুদিদোকান, পাড়ার হোটেল, কাঁচাবাজারসহ গলির বাজারগুলো স্বাভাবিক চলছে। নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন ভবন ও স্থাপনা রক্ষণাবেক্ষণে কাজ করছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্রআন্দোলনের নেতাকর্মী এবং আনসার সদস্যরা। পাহাড়া দিচ্ছে থানাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। বিভিন্ন ধর্মীয় উপাসনালয়ে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সদস্যরা।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের সাথে কথা হলে তারা জানান, নারায়ণগঞ্জ সদর থানাসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান পুলিশ শূন্য হয়ে পরায় এখন আনসার বাহিনীর সদস্য ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্রআন্দোলনের নেতাকর্মী পাহাড়া দিচ্ছে। রাস্তায় ট্রাফিকের দায়িত্ব ও শহর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজও করছে তারা। শিক্ষার্থীরা সবাইকে দেখিয়ে দিয়েছে তারা দেশের প্রয়োজনে সব করতে পারে।
বুধবার (৭ আগস্ট) সকাল থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে যানবাহন চলাচল বেড়েছে। তবে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সড়কে গত দুইদিন যাবত বিআরটিসি’র বাস চলাচল করলেও বেসরকারী পরিবহনের বাস গুলো চলছে না। নিরাপত্তার অভাবে ও বাস চলাচল বন্ধ থাকায় শ্রমিক কর্মচারীরা অর্থ কষ্টে দিনাতিপাত করছে। সেই সাথে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সড়কে বাস চলাচল স্বাভাবিক না হওয়ায় দুর্ভোগে পরছেন যাত্রীরা।
দুর্ভোগে পড়েছেন নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন ব্যবসায়ীরাও। কালির বাজার শিল্প শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি বিশ্বনাথ কর্মকার জানান, গত ৫ আগস্ট নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন জায়গায় হামলা ভাংচুর লুটপাট অগ্নিসংযোগের ঘটনায় স্বর্ণশিল্প ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতংকের সৃষ্টি হওয়ায় নগরীর কালীর বাজার ও মীনা বাজার এলাকার স্বর্ণপট্টি বন্ধ আছে। এতে শ্রমিকরা আর্থীক কষ্টে দিন কাটাচ্ছে। তাই ব্যবসা চালুর জন্য দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার দাবী ব্যবসায়ী ও শ্রমিক নেতাদের।
এদিকে, বিভিন্ন স্থানে দখল ও ভাঙচুর লুটপাটের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বিএনপি নেতারা বলছেন এমন কিছু সহ্য করা হবে না।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি’র সদস্য সচিব এডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু জানান, যারা এসবের সাথে জড়িত তারা দলের কেউ না। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্বাধীনতার সুফল নষ্ট ও বিএনপির ভাবমুর্তি নষ্ট করতে আওয়ামীলীগের প্রেতাত্ম্যারা এসব করছে।