না.গঞ্জে চলছে দূরপাল্লার বাস, রয়েছে যাত্রী সংকট
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: শিক্ষার্থীদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ও পরবর্তীতে কারফিউ ঘোষণার পর থেকেই নারায়ণগঞ্জ থেকে সারা দেশের সড়ক পথে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু পরিস্থিতি এখন অনেকটা স্বাভাবিক হওয়াতে সীমিত আকারে চলছে দূরপাল্লার বাসগুলো। সকালে ও রাতে বিভিন্ন শিফট অনুযায়ী বাস চলাচল করলেও যাত্রীর দেখা মিলছে না কাউন্টারগুলোতে। যার দরুণ সময়মতো বাস ছাড়া হচ্ছে না, এতে ভোগান্তিতে পড়ছেন অনেক যাত্রী।
শনিবার (২৭ জুলাই) সকালে নগরীর মেট্রোহল, চাষাঢ়ার চানমারীসহ বিভিন্ন এলাকায় বাস কাউন্টারগুলোতে ঘুড়ে এ তথ্য জানা যায়। কাউন্টারের কর্মীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বর্তমানে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত খোলা থাকছে দুরপাল্লার বাস কাউন্টারগুলো। অন্যান্য সময়ের তুলনায় যাত্রীদের চাপ কম থাকায় ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করছে বাসগুলো। এদিকে বাসের শিফট কমিয়ে ও স্টাফদের খোরাকি নিজ পকেট থেকে দিয়েও লোকশান পোহাতে হচ্ছে কর্তপক্ষকে।
মেট্রোহল এলাকার পাবনা পরিবহন কাউন্টারের সবুজ বলেন, বাস বন্ধ থাকলে আমাদের ব্যবসার অবস্থা ও খারাপ থাকে। সকালে আর রাতে আমাদের বাস চলতেসে কিন্তু যাত্রী খুব কম। এখন একটা বাসের আসা যাওয়া খরচ উঠাইতে যদি সেই পরমিান যাত্রী না নিয়ে যাই তাহলে তো লোকশান হবেই। কারফিউর আগে বাস ছাড়ে নাই। রাস্তা ঘাটে কখন কি হয় সেই ভয়ে। এখন বাস চলতে কোনরকম। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি ঠিক হলে আরও বাড়বে।
ডলফিন পরিবহনের স্টাফ আজাদ বলেন, মালিক পক্ষ আমাদের খোরাকি দেয় ঠিকই কিন্তু সেটা তো পোসায় না। এখন সারা দেশের অবস্থা খারাপ ছিলো ধীরে ধীরে ঠিক হইতেছে। সামনে হয়তো আবার আগের মতো হইবো। নারায়ণগঞ্জের মানুষ একসাথে ৩ দিন ছুটি পাইলেই বাড়ি যায়। পরিস্থিতি এখন যেমন আছে, লাগে না সরকার আরও কারফিউ রাখবো। কারফিউ উঠে গেলে আবার সব ঠিক হইবো।
যাত্রি মশিউর রহমান বলেন,আমি পটুয়াখালি যাবো, বাড়িতে বাবা অসুস্থ আর জমি নিয়েও একটু কাজ বাকি। কিন্তু সকাল থেকে দাড়িয়ে আছি। আগের দিন রাতে কাউন্টার থেকে বলেছিলো যে সকালে বাস কিন্তু এসে শুনি যাত্রী কম বাস ছাড়তে ২ ঘন্টা সময় বাড়িছে এখন পর্যন্ত প্রায় ২ ঘণ্টা অপেক্ষা করেও কোনো বাস পেলাম না। চিন্তা করছি ভেঙে ভেঙে বাড়িতে যাওয়ার চেষ্টা করবো।
শ্যামলী বাস কাউন্টার মাস্টার বলেন, গত বুধবার থেকে কারফিউ শিথিলকালীন সময়ে বাস ছেড়েছি। শুক্রবার সারাদিনে মাত্র ৩টা বাস ছেড়ে গেছে। যাত্রীর সংখ্যা একেবারেই কম। যে বাসগুলো গেছে সেগুলোর একটি বাসে চার জন এবং অপরটিতে ছয় এবং তৃতীয় বাসে মাত্র ১১ জন যাত্রী ছিল।