উলামা পরিষদের সমাবেশে বক্তারা ‘আওয়ামী লীগ ইসলাম বিরোধী’
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: আওয়ামী লীগকে ইসলাম বিরোধী দল বলে আখ্যায়িত করেছে নারায়ণগঞ্জ উলামা পরিষদের নেতৃবৃন্দরা। তারা বলেন, ওলামায়ে কেরামরা নবীদের ওয়ারিস। যারা নবীদেরকে কষ্ট দিয়েছে তারা পৃথিবীর বুকে ধ্বংস হয়েছে। আমরা চাইনা আপনারা ওই ফেরাউন-নমরুদদের দলে নিজেদের নাম লেখান। তাই অনতিবিলম্বে সকল ওলামায়ে কেরমদের মুক্ত করে দিন।
শুক্রবার (১৮ আগস্ট) বিকেলে শহরের ডিআইটি এলাকায় হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক ও মনির হোসেন কাশেমীসহ সব আলেম উলামাদের মুক্তির দাবিতে ওলামা পরিষদের আয়োজিত সমাবেশে তারা এসব কথা বলেন।
এসময় নারায়ণগঞ্জ মহানগর উলামা পরিষদের সভাপতি মাওলানা ফেরদাউসুর রহমানের সভাপতিত্বে ও মহানগর উলামা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুফতি হারুনুর রশিদের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর ও ডিআইটি জামে মসজিদের খতিব আব্দুল আউয়াল।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আব্দুল আউয়াল বলেন, ওলামাদের কষ্ট দিয়েছেন হয়রানি করেছেন। নিশ্চয়ই আপনাদের আল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধ করতে হবে। সে শক্তি কী আপনাদের আছে। অতিদ্রুত ওলামাদের মুক্তি দিয়ে সুসম্পর্ক গড়ুন। আগামী দিনে ক্ষমতায় বসে থাকতে চান, আলেমদের সঙ্গে সুসম্পর্ক ছাড়া ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবেন না। আপনাদের মসনদ তছনছ হয়ে যাবে। আমি সবাইকে আহ্বান করব আল্লাহর কাছে দোয়া করুন হে আল্লাহ তুমি এই জালেম সরকারকে হেদায়েত দাও অথবা এর পতন ঘটিয়ে দাও।
তিনি আরও বলেন, তাদের কাছে আর দাবি পেশ করতে মনে চায় না। আল্লাহ যেন অতিদ্রুত তাদের মুক্তির ব্যাবস্থা করে দেন। আমরা বৃহত্তর আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। নবীপ্রেমিকরা প্রয়োজনে সেদিন জীবন দেবে। তবুও তাদের দাবি আদায় করে ছাড়বে। আমরা বিভিন্নভাবে সরকারের সঙ্গে আলাপ আলোচনার চেষ্টা করেছি। আমাদের দাবি বুঝতে যদি তারা ভুল করে প্রয়োজনে সাইবোর্ডে রাস্তা বন্ধ করে দেব। আমাদের দাবির জন্য আমরা বসে পড়বো।
সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান বলেন, এই মুহুর্তে যদি সিদ্ধান্ত নেই যে নেতারে মুক্ত করবো, যদি সিদ্ধান্ত নেই এই লৌহ কপাট ভেঙ্গে চুরমার করবো; এইখান থেকে সিদ্ধান্ত হলে মামুনুল হক সহ সকলকে সেই লৌহ কপাট ভেঙ্গে মুক্ত করা হবে। ২০১৩ সালে যখন আমাদের তিনবার রিমান্ড দেয়, বলা হয় আমি সোনারগাঁয়ে ভাংচুর রে, কাঁচপুর তারপরে সাইনবোর্ড আইসা ভাংচুর করছি। তখন আমার সেই রিমান্ড শুনানি করতেছিলো তৈমুর আলম খন্দকার। তিনি বলেন, স্যার একটি লোক কিভাবে একই সময় ৩ জায়গায় ভাংচুর করে। বিচারক বলে, কিছু করার নাই উপরের নির্দেশ।
তিনি আরও বলেন, যদি আপনারা আমাদের কথা শুনতে ব্যর্থ হন, তাহলে পালাইবারও জায়গা পাইবেন না। আপনারা রাজনীতি কইরেন না। যান গিয়া দেখেন ফতুল্লায় মানুষ কিভাবে আছে, সিদ্ধিরগঞ্জের মানুষ কি দুর্ভোগে আছে, কই আপনাদের উন্নয়ন। এগুলো চাপাবাজি ছাড়া আর কিচ্ছু না।
সমাবেশ শেষে গণমিছিল হওয়ার কথা থাকলেও পরে না করার ঘোষণা দিয়ে সমাবেশ শেষ করে নেতৃবৃন্দরা।