৪০ লাখ দেওয়ানি মামলার অধিকাংশ জমি সংক্রান্ত: ভূমি মন্ত্রলায়ের সচিব
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: ভূমি মন্ত্রনালয়ের সচিব খলিলুর রহমান বলেন, ‘যখন ডিজিটাল জরিপ হবে সেটিই হবে বাংলাদেশের সর্বশেষ জরিপ। তখন আর কেউকে ঘুড়তে হবে না যে জমিটি কি সিএস নাকি আরএস জরিপের। আজ যে ৪০ লক্ষ দেওয়ানি মামলা চলছে সেখানে কিন্তু অধিকাংশ জমি সংক্রান্ত। আমরা অনেকগুলো কাজ অনলাইনে করছি। পরচা ও ট্যাক্স কিন্তু আমরা অনলাইনে প্রদান করছি। আজ আমি এখান থেকে বলে দিতে পারবো যে বাংলাদেশের ট্রেজারীতে কত টাকা আছে বা আজ কয়টি পরচা জমা হয়েছে। মাননীয় মন্ত্রীর নেতৃত্বে আজ আমরা এই ডিজিটাল পদ্ধতিতে কাজ গুলো এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।’
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সকাল ১১টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ডিজিটাল ভূমি জরিপ ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে এ কথা বলেন ভূমি মন্ত্রনালয়ের সচিব খলিলুর রহমান।
অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ডিজিটাল পদ্ধতিতে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ভূমি জরিপ ও ভূমি ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম উদ্বোধন করেন ভূমি মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ। কোরিয়ান ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন ফান্ড এর আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীন এস্টাবলিশমেন্ট অফ ডিজিটাল ল্যান্ড ম্যানাজমেন্ট সিস্টেম (EDLMS) প্রকল্পের আওতায় কার্যক্রমটি পরিচালনা করা হবে।
সচিব আরও বলেন, ভূমি সংক্রান্ত এই কাজে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক একটি শক্তি হিসেবে কাজ করবেন। জেলা প্রশাসকের মধ্যে ভূমি নিয়ে খুবিই একটি পরিষ্কার একটি ধরণা আছে। আমি মন্ত্রীকে অবগত করতে চাই, এখানে ভূমির কাজে সেটেলমেন্টসহ অন্যান্য কাজে বড় একটি ভূমিকা পালন করবে জেলা প্রশাসক এবং তার টিম। আমরা ভূমি সহয়তা কেন্দ্র করার চিন্তা করছি। যেখানে ভূমি সংক্রান্ত কোন বিষয়ে সহয়তা প্রয়োজন হলে যেন জনগণকে কোন দোকান বা দালালের কাছে গিয়ে প্রতারিত হতে না হয়। তারা ভূমি সংক্রান্ত বিষয়ে একটি সরকারী সু-নির্দিষ্ট ফি প্রদান করেই সহয়তা করবে। সামনে একটি ভূমি প্রচারের কার্যক্রম চালাবো।
তিনি বলেন, আমি বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করি কারণ, আজ যে ভূমি সংস্কারের কাজ চলছে সেটার সূত্রপাত তিনিই ঘটিয়ে ছিলেন। বঙ্গবন্ধু শুধু স্বাধীনতায় ভূমিকা রাখেননি। ১৯৫৩ সালের ১১ দফার মধ্যে ২ দফা কিন্তু ভূমি ও খাজনা সংক্রান্ত বিষয়ে ছিলো। যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, সেখানে ভূমি সংক্রান্ত বিষয়ে তিনি বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছে। ২০১৪ সালে ভূমি মন্ত্রনালয়ে প্রধানমন্ত্রী যখন পরিদর্শনে এসেছিলেন সেখানে তিনি ৩১ দফা নির্দেশনা দিয়েছিলেন। সে নির্দেশনায় তিনি কিন্তু বারবার রেকর্ড এর্বং জরিপ কার্যক্রমটিকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে করার নির্দেশনা দিয়েছে। এ বিষয়টি আমাদের মন্ত্রী খুবই গুরুত্বের সাথে দেখছে। এই কার্যক্রমে আমরা সহযোগী হিসেবে দক্ষিন কোরিয়াকে সাথে পেয়েছি, যাদের বিস্তর অভিজ্ঞতা আছে। ভূমি জরিপের ক্ষেত্রে তারা বিশ্বের মধ্যে অন্যতম।
যখন ডিজিটাল জরিপ হবে সেটিই হবে বাংলাদেশের সর্বশেষ জরিপ। তখন আর কেউকে ঘুড়তে হবে না যে জমিটি কি সিএস নাকি আরএস জরিপের। আজ যে ৪০ লক্ষ দেওয়ানি মামলা চলছে সেখানে কিন্তু অধিকাংশ জমি সংক্রান্ত। আমরা অনেকগুলো কাজ অনলাইনে করছি। পরচা ও ট্যাক্স কিন্তু আমরা অনলাইনে প্রদান করছি। আজ আমি এখান থেকে বলে দিতে পারবো যে বাংলাদেশের ট্রেজারীতে কত টাকা আছে বা আজ কয়টি পরচা জমা হয়েছে। মাননীয় মন্ত্রীর নেতৃত্বে আজ আমরা এই ডিজিটাল পদ্ধতিতে কাজ গুলো এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।
সেমিনারে ভূমি মন্ত্রনালয়ের সচিব মো. খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন, ভূমি মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আনিস মাহমুদ, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হক, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই, কাউন্সিলর আব্দুল করিম বাবু, মনিরুজ্জামান মনির, শওকত হাশেম শকু, মতিউর রহমান মতি, অহিদুল ইসলাম ছক্কু, আফজাল হোসেনসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।