নির্বাচনটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে মুকুল সাহেব অপহরণের ঘটনা সাজিয়েছেন: খান মাসুদ
লাইভ নারায়ণগঞ্জ: ‘নিজ কর্মীকে অপহরণ করা হয়েছে বলে গত ৬মে সন্ধ্যায় দাবি করেছিলেন বন্দর উপজেলা নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী আতাউর রহমান মুকুল। তবে, এই অভিযোগটি মিথ্যা ও বানোয়াট বলে দাবি করেছেন যুবলীগ নেতা খান মাসুদ। তিনি বলেছেন, ‘এই ঘটনাটি যখন ঘটে ওইদিন আমি রাত ১০টা পর্যন্ত ঘারমোড়া এলাকার একটি অনুষ্ঠানে ছিলাম। উনি নিজেই হয়তো এই ঘটনা ঘটিয়ে আমার নামে এই অভিযোগটা করে আমার দলের বদনাম করতে চেয়েছেন। নির্বাচনটাকে প্রশ্ন বিদ্ধ করার জন্য উনি এই অভিযোগটা করেছেন, যা সম্পুর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কোন ভাবেই প্রশ্নবিদ্ধ করা যাবে না। জনগনের ভোটেই জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হবে।’
মঙ্গলবার (৭ মে) বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে খান মাসুদ এই কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নিশ্চিত পরাজয় জেনে আতাউর রহমান মুকুল সাহেব আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন যে, আমি তার কর্মীকে অপহরণ করেছি। যা সম্পুর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আজ আমরা ২০দিন ধরে প্রচার-প্রচারণা করতেছি, কোথাও কোন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী কাউকে কোন রকমের বাঁধা দেয় নাই। এরকম কিছু হলে আপনারা সেটা জানতে পারতেন। অপহরণ তো দুরের কথা আমরা কাউকে কোন রকমের বাঁধাও দেই নাই। তিনি আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছে আমি এর সুষ্ঠু তদন্ত চাই।’
বন্দর উপজেলা যুবলীগের এই নেতা বলেন, ‘আমাদের মাননীয় সংসদ শামীম ওসমান ও সেলিম ওসমান সাহেব বলেছেন, শুধু ভোট চাও অন্য কিছু কররা দরকার নাই। আমরা তাই করেছি। রশিদ সাহেবের জনপ্রিয়তা দেখে আতাউর রহমান মুকুল সাহেবের মাথা নষ্ট হয়ে গেছে। আমি রশিদ সাহেবের পক্ষে ভোট চাচ্ছি, এটা দেখে তারা আমাকে থামাতে ও নির্বাচনটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বিভিন্ন পায়তারা করছে।’
তিনি বলেন, ‘বন্দরের মানুষ বোকা না। বন্দরের মানুষ উন্নয়ন চায়, তারা জানে ভালো ব্যাক্তি কে। আমরা প্রভাব বিস্তারে বিশ্বাসি না, আমরা জনগনের ভোটে বিশ্বাসি। গতকাল তারা যে ঘটনা সাজিয়েছে, নির্বাচনের দিন তারা এই ঘটনা আবারো ঘটনাতে পারে। আপনারা সবাই স্বজাগ থাকবেন। তারা যাতে নির্বাচনের দিন কোন ষড়যন্ত্র করতে না পারে। আমরা সম্পুর্ণ ভাবে প্রশাসনকে সহযোগীতা করবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘বন্দরের আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ যারা করে তারা ভালো মানুষ। না হলে আমরা ক্ষমতায় থাকার পরে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিরা কিভাবে প্রচার-প্রচারণা করেন, কালো টাকা বিলি করেন। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নির্বাচনের দিন মাঠে থাকবে। সবাই সবার আত্মীয় স্বজনকে নিয়ে ভোট দান করবে।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবীর মৃধা, বন্দর থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নাজমুল হাসান আরিফ, ২২ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি শেখ মমিন, ২২ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাসুম আহাম্মেদ, প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, বন্দর থানা যুবলীগ নেতা ডালিম হায়দার প্রমুখ।